Saturday, May 28, 2016

মুস্তাফিজের অভাব পূরণ করতে পারেননি বোল্ট

আর্জেন্টিনার মুখোমুখি হওয়ার আগে ‘ধাক্কা’ চ্যাম্পিয়নদের

কোপার আগে জ্যামাইকার কাছে হারল চিলি। ছবি: রয়টার্স। 
 গত বছর আর্জেন্টিনাকে হারিয়ে কোপার শিরোপা ঘরে তুলেছিল চিলি। এক বছর পর কোপা আমেরিকা প্রতিযোগিতার শতবর্ষ উদ্‌যাপন উপলক্ষে আয়োজিত বিশেষ আসরের আগে সেই চিলিকেই বড় ধরনের ধাক্কা দিল জ্যামাইকা। ভিনা দেল মারে এক প্রীতিম্যাচে জ্যামাইকার কাছে ২-১ গোলে হেরেছে কোপার বর্তমান চ্যাম্পিয়নরা। হোক না প্রীতিম্যাচ, জ্যামাইকার কাছে হার চিলির জন্য একটা সতর্কবার্তা হয়ে থাকবে সন্দেহ নেই। চিলিকে চ্যাম্পিয়ন বানানো আর্জেন্টাইন কোচ হোর্হে সাম্পাওলিও কিন্তু নেই।
পরিষ্কার ফেবারিট হিসেবেই জ্যামাইকার বিপক্ষে খেলতে নেমেছিল চিলি। কিন্তু গোলের সুযোগ অপচয়ের মাশুলটা শেষ পর্যন্ত হার দিয়েই শোধ করতে হয়েছে চিলিকে। ৩৬ মিনিটে ক্লাইটন ডোনাল্ডসনের গোলে এগিয়ে যাওয়া জ্যামাইকা ম্যাচের ৫৩ মিনিটেই গ্রান্ট জোয়েলের গোলে মোটামুটি নিশ্চিত করে ফেলে ম্যাচ। ৮২ মিনিটে নিকোলাস ক্যাস্টিলো একটি গোল পরিশোধ করলেও তা যথেষ্ট হয়নি চিলির জন্য।

দুই গোলে পিছিয়ে পড়ার আগে নিজেরাই এগিয়ে যেতে পারত চিলি। কিন্তু গোল মিসের মহড়ায় তা হয়নি। শুরুতেই এডুয়ার্ডো ভারগাসের দূরপাল্লার শট অল্পের জন্য বাইরে চলে যায়। জ্যামাইকাও এ সময় ছেড়ে কথা বলেনি। গ্যারেথ ম্যাকক্লেরে ডান দিক দিয়ে ঢুকে চিলির সীমানায় যে পাস বাড়ান, তা থেকে গোলের একেবারে সামনে দাঁড়িয়েও গোল করতে ব্যর্থ হন জাইলস বার্নেস। একটি পেনাল্টিও পেতে পারত জ্যামাইকা। চিলির গোলকিপার জনি হেরেরা ডেনাল্ডসনকে ফেলে দিলেও রেফারি তা এড়িয়ে যান।

ম্যাচের ৩৬ মিনিটে জ্যামাইকার প্রথম গোলের উৎস ছিলেন ম্যাকক্লেরে। তাঁর পাস থেকেই দলকে এগিয়ে দেন ডোনাল্ডসন। পিছিয়ে পড়ার পর আলেক্সিস সানচেজের একটি ফ্রি কিক থেকে জ্যামাইকাকে রক্ষা করেন গ্যারি মেডাল। প্রথমার্ধের একেবারে শেষ দিকে চিলির হুয়ান বোশেজোঁর একটি বাঁকানো শট লক্ষ্যভ্রষ্ট হয়।

দ্বিতীয়ার্ধে গোল শোধে মরিয়া হয়ে ওঠে চিলি। শুরুতেই মরিসিও পিনিলার একটি হেড কোনোমতে রক্ষা করেন জ্যামাইকার বদলি গোলকিপার ডোয়াইন কের। ৫৩ মিনিটে বার্নেসের ক্রস থেকে জ্যামাইকাকে ২-০ গোলে এগিয়ে দেন গ্রান্ট জোয়েল। ৮২ মিনিটে ক্যাস্টিলার প্রথম আন্তর্জাতিক গোলটি চিলির জন্য ছিল সান্ত্বনার।

এই ম্যাচ জিতে, আত্মবিশ্বাসের রসদ জমিয়েই আগামী ৫ জুন গ্রুপ ‘সি’র ম্যাচে ভেনেজুয়েলার মুখোমুখি হবে জ্যামাইকা। তবে ৬ জুন আর্জেন্টিনার বিপক্ষে খেলতে নামার আগে জ্যামাইকার বিপক্ষে হারটি কিন্তু তাড়িয়ে বেড়াবে কোপার বর্তমান চ্যাম্পিয়নদের
infoProthom-alo
 

কোপার আগে মেসির চোট!

কোমরে চোট পেয়ে মাঠের বাইরে চলে যাচ্ছেন মেসি। ছবি: এএফপি। 
আর্জেন্টাইন সমর্থকদের বুকে কাঁপন ধরে যাওয়ার কথা। আর কদিন পরেই শুরু কোপা আমেরিকা শতবর্ষ উদ্‌যাপনী আসর। আর তার আগেই কিনা চোট পেলেন লিওনেল মেসি! কোপার প্রস্তুতি হিসেবে কাল সান হুয়ানে হন্ডুরাসের মুখোমুখি হয়েছিল বিশ্বকাপ ফাইনালিস্টরা। কিন্তু ৬৪ মিনিটে হন্ডুরিয়ান খেলোয়াড় অলিভার মোরাজানের সঙ্গে সংঘর্ষে কোমরে আঘাত পেয়ে মাঠ ত্যাগ করেন মেসি। পরে তাঁকে হাসপাতালে নেওয়া হয়। ম্যাচটা অবশ্য গঞ্জালো হিগুয়েইনের গোলে ১-০ গোলে জিতেছে আর্জেন্টিনা।

ম্যাচ শেষে আর্জেন্টাইন ফুটবল দলের পক্ষ থেকে টুইটারে জানানো হয়েছে, ‘মেসি বাঁ কোমরের নিচের দিকে ব্যথা পেয়েছেন। হাসপাতালে তাঁকে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে।

আর্জেন্টাইন কোচ জেরার্ডো মার্টিনোও নিশ্চিত করে কিছু বলেননি, ‘বাঁ কোমরের নিচের দিকে মেসি আঘাত পেয়েছেন। আঘাতটা কতটা গুরুতর, সেটা এখনই বলা সম্ভব নয়। তবে হাসপাতালে চিকিৎসকেরা তাঁকে পরীক্ষা করেছেন।’

আগামী ৩ জুন থেকে শুরু হচ্ছে কোপা আমেরিকা প্রতিযোগিতার শতবর্ষ উদ্‌যাপনী আসর। সেখানে ৬ জুন চিলির সঙ্গে নিজেদের প্রথম ম্যাচটি খেলবে আর্জেন্টিনা।

আর্জেন্টিনা সর্বশেষ বড় কোনো আন্তর্জাতিক প্রতিযোগিতা জিতেছিল ২৩ বছর আগে। গত দুই বছর বিশ্বকাপ ও কোপার ফাইনালে উঠেও সাফল্য পায়নি আর্জেন্টিনা। মেসির চোটের সময়টা এর চেয়ে খারাপ সম্ভবত হতে পারত না!

ম্যাচের ৩১ মিনিটে জয়সূচক গোলটি করেন হিগুয়েইন। গোলটি অবশ্য মুগ্ধতা ছড়িয়েছে দারুণভাবেই। দুর্দান্ত এক ‘ক্রুইফ টার্নে’ হন্ডুরিয়ান ডিফেন্ডার মেনর ফিগুয়েরোয়াকে বোকা বানিয়ে গোলকিপার ডনিস এসকোবারের মাথার ওপর দিয়ে তিনি বল পাঠিয়ে দেন গোলে।

এর আগে অবশ্য মেসির দারুণ এক পাসে বল পেয়ে অ্যাঙ্গেল ডি মারিয়া বাইরে পাঠিয়ে দেন। ২৮ মিনিটে ডি মারিয়ার কর্নার থেকে নিকোলাস ওটামেন্ডির ভলিও অল্পের জন্য লক্ষ্যভ্রষ্ট হয়। ৩৯ মিনিটে এরিক লামেলার পাস থেকে মার্কোস রোহোর শট ঠেকিয়ে দেন করেন এসকোবার।  
info
Prothom-alo

ফাইনালে খেলবেন তো মুস্তাফিজ?

কালকের ম্যাচটিতে দেখা যাবে তো মুস্তাফিজকে? ফাইল ছবি 
কাল মহা গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচ ছিল সানরাইজার্স হায়দরাবাদের। সেই ম্যাচেই নেই মুস্তাফিজুর রহমান! বাদ পড়ার একটাই কারণ থাকতে পারে। আর সেই শঙ্কাটাই সত্যি হলো। হ্যামস্ট্রিংয়ে চোট পেয়েছেন কাটার মাস্টার। কাল তাঁর অভাব ভীষণ অনুভবও করেছেন হায়দরাবাদ। মুস্তাফিজের বদলে খেলা ট্রেন্ট বোল্ট ৪ ওভারে দিয়েছেন ৩৯ রান। শেষ ৫ ওভারে হায়দরাবাদ দিয়েছে ৫৩ রান, মুস্তাফিজ থাকলে শেষের ওভারগুলোতে রানে বাঁধ দিতে পারে হায়দরাবাদ।
পুরো টুর্নামেন্টে এখনো সাতের নিচে ইকোনমি রেট রেখে ১৬ উইকেট নেওয়া মুস্তাফিজকে ছাড়াই শেষ পর্যন্ত অবশ্য জিতেছে ডেভিড ওয়ার্নারের দল। তাতে ​অধিনায়ক নেতৃত্বও দিয়েছেন সামনে থেকে। কিন্তু এখনো বড় প্রশ্ন, মুস্তাফিজ কি খেলবেন ফাইনালে?

মুস্তাফিজের সঙ্গে যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি। তবে তাঁর ভাই মোখলেছুর রহমান জানিয়েছেন, ফাইনালে খেলার সম্ভাবনা আছে মুস্তাফিজের, ‘মুস্তাফিজের সঙ্গে তো নিয়মিতই ফোনে কথা হয়। গতকালও হয়েছে। আজ এখনো হয়নি। তবে কথা বলব। ওর সঙ্গে কথা বলে যতটুকু মনে হলো, চোট অতটা গুরুতর নয়। আসলে ওকে নিয়ে কোনো ঝুঁকি নিতে চায়নি সানরাইজার্স। দলও খুব করে চায় ওকে ফাইনালে খেলাতে। অবস্থা ভালো হলে আগামীকাল খেলতেও পারে। তবে এখনো কোনো কিছু চূড়ান্ত নয়। আজকেও ওর অবস্থা দেখবে দলের চিকিৎ​সকেরা। কথা বলে মনে হলো, আগামীকাল শেষ মুহূর্ত পর্যন্ত অপেক্ষা করবে ওর জন্য। তবে আমার মনে হচ্ছে খেলার সম্ভাবনা আছে ভালোই।’

মোখলেছুরের প্রত্যাশা, ভাই যেন দ্রুত সেরে ওঠে। এমনিতেই মুস্তাফিজ এবারের আইপিএলের সেরা উদীয়মান খেলোয়াড়। এর সঙ্গে ফাইনালে দুর্দান্ত কিছু করলে সেটি তাঁর দল তো বটেই, পরিবারের জন্যও হবে আনন্দের। বাংলাদেশের জন্যও কি নয়?
info
 Prothom-alo

Monday, May 23, 2016

আরও একবার ‘সুপারম্যান’ কোহলি

বেঙ্গালুরুকে প্লে অফে নিলেন কোহলি। ছবি: এএফপি রূপকথার গল্পই তো! একটা সময় আইপিএলের পয়েন্ট তালিকার ৭ নম্বরে অবস্থান করছিল রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরু। একের পর এক বাধা পেরিয়ে এই দলই তালিকার দ্বিতীয় স্থানে থেকে প্লে অফে! কীভাবে সম্ভব হলো এটি! আইপিএলে একমাত্র এই দলটিতেই যে খেলেন এক ‘সুপারম্যান’, এক অতিমানব—বিরাট কোহলি। এক মৌসুমে ১৪ ম্যাচ খেলে ৯১৯ রান করেন যে ব্যাটসম্যান, তিনি তো অতিমানবই। নিজের দুর্দান্ত ব্যাটিং ফর্মের আরও একটি নমুনা রাখলেন কোহলি কাল। দিল্লি ডেয়ারডেভিলসের বিপক্ষে ৪৫ বলে ফিফটি করে দলকে নিয়ে গেলেন প্লে অফে।

প্রথমে ব্যাট করে দিল্লির করা ১৩৮ রানকে খুব সহজে টপকাতে পারেনি বেঙ্গালুরু। দলের দুই সেরা ব্যাটসম্যান ক্রিস গেইল ও এবি ডি ভিলিয়ার্স দ্রুত ফিরে গেলে পুরো দায়িত্বই নিজের কাঁধে তুলে নেন কোহলি। দলকে জয়ের বন্দরে পৌঁছাতে যতটুকু করা দরকার, করেছেন ততটুকুই। ঠান্ডা মাথায় ৪৫ বলে ৬টি চারের সাহায্যে ৫৪ রান করে শেষ পর্যন্ত অপরাজিত থাকলেন। তাঁকে দারুণ সঙ্গ দিয়েছেন অবশ্য লোকেশ রাহুল, ৩৮ রান করে। এ ছাড়া শেন ওয়াটসনের ১৪ আর স্টুয়ার্ট বিনির ১৬ রানে ১১ বল বাকি থাকতেই জয়ের জন্য প্রয়োজনীয় ১৩৯ রান তুলে নেয় বেঙ্গালুরু।

এমন খেলা কীভাবে খেলেন কোহলি? কিছুদিন আগেই বলেছিলেন, ‘আমার চেষ্টাটা খুবই সাধারণ, সত্যি বলছি। নিয়ম মেনে খাও, নিয়ম মেনে অনুশীলন কর, নিয়ম মেনে ঘুমাতে যাও। দিনের পর দিন এই নিয়ম মেনেই নিজেকে গড়ে তুলছি। ব্যাপারটা অনেকের কাছেই খুব একঘেয়ে মনে হবে। কিন্তু সত্যি বলছি, আমি এভাবেই নিজেকে মাঠের লড়াইয়ের জন্য প্রস্তুত করি। একজন ক্রীড়াবিদ হিসেবে সবাইকেই এই একঘেয়ে জীবনই মেনে নিতে হবে।’

নিজেকে তৈরি করার কেতা ‘একঘেয়ে’ হলেও মাঠে কিন্তু মোটেও একঘেয়ে মনে হয় না কোহলির লড়াই! বরং সেটা রঙিন রাংতায় মোড়া আকর্ষণীয় এক উপহারই হয়ে আসে সকলের জন্য। হয়ে ওঠে রূপকথার এক গল্প। এবারের এক আইপিএলে করেছেন চারটা সেঞ্চুরি, ফিফটি করেছেন ছয়টি! ১৪ ইনিংসের ১০টিতেই তাঁর ব্যাটিংটা একটু খেয়াল করে দেখুন!
info:
  Prothom-alo

Sunday, May 22, 2016

কোপাতেও নেই তেভেজ

গত বছর কোপা আমেরিকার নিয়মিত আসরে খেলেছিলেন কার্লোস তেভেজ, কোয়ার্টার ফাইনালে কলম্বিয়ার বিপক্ষে টাইব্রেকারে শেষ শটটা নিয়ে গোল করে দলকেও জিতিয়েছিলেন। ফাইনালে অবশ্য একাদশে জায়গা পাননি, বদলি হিসেবেও তাঁকে নামাননি কোচ জেরার্দো মার্তিনো। কোপা আমেরিকার শতবর্ষপূর্তিতে আয়োজিত বিশেষ ‘কোপা সেন্টেনারিও’তেও তেভেজকে সুযোগ দিলেন না ‘তাতা’। শুক্রবার বুয়েনস এইরেসে কোপা সেন্টেনারিওর জন্য ২৩ জনের দল ঘোষণা করেছেন মার্তিনো, সেখানে ঠাঁই হয়নি অভিজ্ঞ তেভেজ এবং তরুণ তুর্কি পাওলো দিবালার। এই দুই ফরোয়ার্ডকে বাদ দিয়ে আক্রমণভাগে মার্তিনো ভরসা রাখছেন নাপোলির হয়ে ৩৬ গোল করা গনসালো হিগুয়েইন আর ম্যানসিটির হয়ে মৌসুমে ৩২ গোল করা সের্হিয়ো আগুয়েরোর ওপর। সঙ্গে লিওনেল মেসি তো থাকছেনই! এএফপি
আর্জেন্টিনা দল : গোলরক্ষক : সের্হিয়ো রোমেরো, নাহুয়েল গুজমান ও মারিয়ানো আন্দুজার; রক্ষণ : গ্যাব্রিয়েল মারসেদো, ফাকুন্দো রনকাগলিয়া, নিকোলাস ওতামেন্দি, জোনাথন মাইদানা, রামিরো ফুনেস মোরি, মার্কোস রোহো ও ভিক্টর কুয়েস্তা; মাঝমাঠ : মাতিয়াস ক্রেনভিটার, অগুস্তো ফার্নান্দেস, হাভিয়ের মাসচেরানো, এভার বানেগা, লুকাস বিগলিয়া, হাভিয়ের পাস্তোরে ও এরিক লামেলা; আক্রমণভাগ : আনহেল দি মারিয়া, এসেকিয়েল লাভেজ্জি, লিওনেল মেসি, সের্হিয়ো আগুয়েরো, গনসালো হিগুয়েইন ও নিকোলাস গাইতান।
- See more at: http://www.kalerkantho.com/print-edition/sports/2016/05/22/361291#sthash.YiExLR1i.dpufগত বছর কোপা আমেরিকার নিয়মিত আসরে খেলেছিলেন কার্লোস তেভেজ, কোয়ার্টার ফাইনালে কলম্বিয়ার বিপক্ষে টাইব্রেকারে শেষ শটটা নিয়ে গোল করে দলকেও জিতিয়েছিলেন। ফাইনালে অবশ্য একাদশে জায়গা পাননি, বদলি হিসেবেও তাঁকে নামাননি কোচ জেরার্দো মার্তিনো। কোপা আমেরিকার শতবর্ষপূর্তিতে আয়োজিত বিশেষ ‘কোপা সেন্টেনারিও’তেও তেভেজকে সুযোগ দিলেন না ‘তাতা’। শুক্রবার বুয়েনস এইরেসে কোপা সেন্টেনারিওর জন্য ২৩ জনের দল ঘোষণা করেছেন মার্তিনো, সেখানে ঠাঁই হয়নি অভিজ্ঞ তেভেজ এবং তরুণ তুর্কি পাওলো দিবালার। এই দুই ফরোয়ার্ডকে বাদ দিয়ে আক্রমণভাগে মার্তিনো ভরসা রাখছেন নাপোলির হয়ে ৩৬ গোল করা গনসালো হিগুয়েইন আর ম্যানসিটির হয়ে মৌসুমে ৩২ গোল করা সের্হিয়ো আগুয়েরোর ওপর। সঙ্গে লিওনেল মেসি তো থাকছেনই! এএফপি

আর্জেন্টিনা দল : গোলরক্ষক : সের্হিয়ো রোমেরো, নাহুয়েল গুজমান ও মারিয়ানো আন্দুজার; রক্ষণ : গ্যাব্রিয়েল মারসেদো, ফাকুন্দো রনকাগলিয়া, নিকোলাস ওতামেন্দি, জোনাথন মাইদানা, রামিরো ফুনেস মোরি, মার্কোস রোহো ও ভিক্টর কুয়েস্তা; মাঝমাঠ : মাতিয়াস ক্রেনভিটার, অগুস্তো ফার্নান্দেস, হাভিয়ের মাসচেরানো, এভার বানেগা, লুকাস বিগলিয়া, হাভিয়ের পাস্তোরে ও এরিক লামেলা; আক্রমণভাগ : আনহেল দি মারিয়া, এসেকিয়েল লাভেজ্জি, লিওনেল মেসি, সের্হিয়ো আগুয়েরো, গনসালো হিগুয়েইন ও নিকোলাস গাইতান।

www.kalerkantho.com
কোপাতেও নেই তেভেজগত বছর কোপা আমেরিকার নিয়মিত আসরে খেলেছিলেন কার্লোস তেভেজ, কোয়ার্টার ফাইনালে কলম্বিয়ার বিপক্ষে টাইব্রেকারে শেষ শটটা নিয়ে গোল করে দলকেও জিতিয়েছিলেন। ফাইনালে অবশ্য একাদশে জায়গা পাননি, বদলি হিসেবেও তাঁকে নামাননি কোচ জেরার্দো মার্তিনো। কোপা আমেরিকার শতবর্ষপূর্তিতে আয়োজিত বিশেষ ‘কোপা সেন্টেনারিও’তেও তেভেজকে সুযোগ দিলেন না ‘তাতা’। শুক্রবার বুয়েনস এইরেসে কোপা সেন্টেনারিওর জন্য ২৩ জনের দল ঘোষণা করেছেন মার্তিনো, সেখানে ঠাঁই হয়নি অভিজ্ঞ তেভেজ এবং তরুণ তুর্কি পাওলো দিবালার। এই দুই ফরোয়ার্ডকে বাদ দিয়ে আক্রমণভাগে মার্তিনো ভরসা রাখছেন নাপোলির হয়ে ৩৬ গোল করা গনসালো হিগুয়েইন আর ম্যানসিটির হয়ে মৌসুমে ৩২ গোল করা সের্হিয়ো আগুয়েরোর ওপর। সঙ্গে লিওনেল মেসি তো থাকছেনই! এএফপি

আর্জেন্টিনা দল : গোলরক্ষক : সের্হিয়ো রোমেরো, নাহুয়েল গুজমান ও মারিয়ানো আন্দুজার; রক্ষণ : গ্যাব্রিয়েল মারসেদো, ফাকুন্দো রনকাগলিয়া, নিকোলাস ওতামেন্দি, জোনাথন মাইদানা, রামিরো ফুনেস মোরি, মার্কোস রোহো ও ভিক্টর কুয়েস্তা; মাঝমাঠ : মাতিয়াস ক্রেনভিটার, অগুস্তো ফার্নান্দেস, হাভিয়ের মাসচেরানো, এভার বানেগা, লুকাস বিগলিয়া, হাভিয়ের পাস্তোরে ও এরিক লামেলা; আক্রমণভাগ : আনহেল দি মারিয়া, এসেকিয়েল লাভেজ্জি, লিওনেল মেসি, সের্হিয়ো আগুয়েরো, গনসালো হিগুয়েইন ও নিকোলাস গাইতান।
info
www.kalerkantho.com
কোপা আমেরিকার জন্য ঘোষিত আর্জেন্টিনার ২৩ জনের চুড়ান্ত স্কোয়াডে জায়গা হয়নি কার্লোস তেবেজের। যেখানে ঠাঁই হয়নি জুভেন্টাস তারকা পাওলো দিবালা ও ম্যানচেস্টার সিটি ডিফেন্ডার পাবলো জাবালেটারও।
বিগত চার আসরের তিনবার রানার্স আপ হওয়া আর্জেন্টাইন দলে তেবেজ ও দিবালা না থাকলেও আক্রমনভাগে কোন ধরনের খেলোয়াড় সংকট তাদের নেই। কোচ জেরার্ডো মার্টিনোর কোপা স্কোয়াডে ঠিকই জায়গা করে নিয়েছেন চাইনিজ সুপার লীগে যোগ দেয়া ৩১ বছর বয়সী এজেকুয়েল লাভেজ্জি। দিবালাকে অলিম্পিক দলে অন্তর্ভুক্ত করতে পারেন কোচ। তবে কোপা আমেরিকায় আক্রমনভাগের দায়িত্ব দেয়ার জন্য তিনি স্কোয়াডভুক্ত করেছেন লিওনেল মেসি, সার্জিও এগুয়েরো ও গঞ্জালো হিগুইনকে। আর এই ত্রিমুর্তিকে সহায়তার সুযোগ পাচ্ছেন নিকোলাস গাইতান, এঞ্জেল ডি মারিয়া এবং এরিক লামেলা।
কোপা আমেরিকায় ডি’ গ্রুপ থেকে অংশ নিতে যাওয়া আর্জেন্টিনা প্রতিপক্ষ হিসেবে পাচ্ছে পানামা, বলিভিয়া ও বর্তমান চ্যাম্পিয়ন চিলিকে।
আর্জেন্টিনা স্কোয়াড
গোলরক্ষক : ম্যারিনো আন্দুজার, ন্যাহুয়েল গুজম্যান ও সার্জিও রোমেরো।
ডিফেন্ডার : ভিক্টর কুয়েস্টা, রামিরো ফুনেস মোরি, জোনাথন মাইদানা, গ্যাব্রিয়েল মার্সাডো, নিকোলাস ওটামেন্ডি, মার্কোস রোহো ও ফাকুন্ডো রনচাগলিয়া।
মিডফিল্ডার : এভার বানেগা, লুকাস বিগলিয়া, আগুস্তো ফেমান্দেজ, মাটিয়াস ক্রেনভিটার, এরিক লামেলা, জেভিয়ার মাচেরানো ও জাভিয়ার পাস্তোরে।
ফরোয়ার্ড : সার্জিও এগুয়েরো, এঞ্জেল ডি মারিয়া, নিকোলাস গাইতান, গঞ্জালো হিগুইন, এজেকুয়েল লাভেজ্জি ও লিওনেল মেসি। - See more at: http://www.dailynayadiganta.com/

মেন্ডিসের মতো হারাতে নয়, মালিঙ্গার মতো থাকতে এসেছেন মুস্তাফিজ

মালিঙ্গার সঙ্গে মুস্তাফিজের তুলনা দিচ্ছেন ন্যানেস। ফাইল ছবি 
পাকিস্তানের সঙ্গে টি-টোয়েন্টি অভিষেকে আলো ছড়ানো, এরপর ক্যারিয়ারের প্রথম ওয়ানডেতেই ভারতের বিপক্ষে ৫ উইকেট। মুস্তাফিজুর রহমানকে ঘিরে তখনই সংশয় ছিল অনেকের, ‘আরে দ্বিতীয় ম্যাচেই ভারত ওকে খেলার পথ বের করে ফেলবে।’ দ্বিতীয় ওয়ানডেতে বাংলাদেশি বাঁহাতি বোলার উইকেট পেলেন ৬টি। এবার নতুন ঠোঁট উল্টানো মন্তব্য, ‘অজন্তা মেন্ডিস ও তো এমন শুরু করে পরে হারিয়ে গেছে। মুস্তাফিজের অবস্থাও শ্রীলঙ্কান স্পিনারের মতো হবে।’
হয়নি। শুধু ভারত-পাকিস্তানের নয়, বিধ্বংসী কাটার আর মায়াবী স্লোয়ারে এরপর বিশ্বের বাঘা বাঘা অনেক ব্যাটসম্যানকেই চমকে দিয়েছেন মুস্তাফিজ। এবার আইপিএলেও আলো ছড়াচ্ছেন ২০ বছর বয়সী বাঁহাতি, ডাক পড়েছে ইংল্যান্ডের কাউন্টি দল সাসেক্সেও। গত এক বছরে মুস্তাফিজের এমন অবিশ্বাস্য পারফরম্যান্স দেখে মুগ্ধ ডার্ক ন্যানেস। সাবেক অস্ট্রেলিয়ান পেসারের উপলব্ধি, মেন্ডিসের মতো হারিয়ে যেতে নয়, মুস্তাফিজ এসেছেন আরেক শ্রীলঙ্কান পেসার লাসিথ মালিঙ্গার মতো করে ক্রিকেট বিশ্ব শাসন করতে।
মুস্তাফিজের আগে বাঁহাতি বোলারদের মধ্যে কাটার আর স্লোয়ারটা সবচেয়ে ভালো করতে পারতেন সম্ভবত এই ন্যানেসই। ৪০ বছর বয়সী সাবেক বোলারের কথাগুলো তাই একটু বেশিই গুরুত্ব বহন করে। ক্রিকইনফোকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে সেই ন্যানেসই বলেছেন, ‘কবজিতে কোনো বদল না এনেই ও যেভাবে স্লোয়ার বল করে, এটি মুস্তাফিজকে আলাদা করে তুলেছে। ওকে অজন্তা মেন্ডিসের সঙ্গে তুলনা করা যাবে না। মিডিয়াম পেসারদের খেলে খেলে ব্যাটসম্যানরা মেন্ডিসকেও পড়ে ফেলেছে। কিন্তু মুস্তাফিজের ক্ষেত্রে সেটি কাজে আসছে না, কারণ ও মিডিয়াম পেসার হলেও বলটাকে মাঝে মাঝে বেশ ভালো ঘোরাতে পারে।’  ক্যারিয়ারের শুরু থেকেই চমকে দিয়েছেন, পরেও ব্যাটসম্যানরা তাঁকে বুঝে উঠতে পারেনি—এমন অন্য একজনের সঙ্গেই বরং মুস্তাফিজকে মেলাচ্ছেন ন্যানেস, ‘মুস্তাফিজ আসলে অনেকটা লাসিথ মালিঙ্গার মতো। সবাই কত চেষ্টা করল ওর (মালিঙ্গা) বোলিং বোঝার, কিন্তু পারলই না। কারণ, ও অনেক দক্ষ একজন বোলার। ও এতই ভালো, বল ছাড়ার সময়ে এতটাই দক্ষ যে সবার চেয়ে আলাদা হয়ে আছে। যেমনটা এখন হয়ে আছে মুস্তাফিজুর।’
তবে প্রায় এক যুগের আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ারে সব মিলিয়ে ৪৭০ উইকেট পাওয়া মালিঙ্গার সঙ্গে মাত্রই হাঁটি হাঁটি পা পা চলতে শুরু করা মুস্তাফিজের তুলনা করা একটু বাড়াবাড়িই। এখনো নতুন অনেক চ্যালেঞ্জ সামনে বাংলাদেশ পেসারের, নতুন অনেক কিছু শেখার বাকি। এই আইপিএলেই দেখা গেছে, ব্যাটসম্যানরা নতুন নতুন পদ্ধতি বের করছেন হায়দরাবাদ সানরাইজার্স পেসারকে খেলার।
ন্যানেসও সেটিই বলছেন। সামনে ইংল্যান্ডের কাউন্টিতে খেলতে যাওয়াও মুস্তাফিজকে নতুন অনেক কিছু শেখাবে বলে মনে করছেন সাবেক পেসার, ‘যুক্তরাজ্যে খেলতে যাওয়ার ব্যাপারে সুযোগ ছাড়া তো কিছু দেখছি না। সব মিলিয়েই একটা ভিন্ন ক্রিকেটীয় অভিজ্ঞতা হবে মুস্তাফিজের জন্য—ভিন্ন ধরনের দল, ভিন্ন আবহাওয়া, ব্যাটিংয়ের ধরনে ভিন্নতা...। ওর জন্য ভিন্ন একটা চ্যালেঞ্জ হবে।’
আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ারে এখনো উপমহাদেশের বাইরে না খেলা মুস্তাফিজের জন্য এই চ্যালেঞ্জে জেতা একটা বড় পরীক্ষাও, ‘ভিন্ন কন্ডিশনে ওর বোলিংয়ের গভীরতা কতটা হয়, সেটা দেখতে চাচ্ছি। ওর তো এখনো অভিজ্ঞতাও কম। সবাই ভুলে যায়, মাত্র দুই বছর আগেই ও প্রথম শ্রেণির ক্রিকেট খেলা শুরু করেছে, আন্তর্জাতিক ক্রিকেট খেলছে এক বছর ধরে। অপরিচিত কন্ডিশনে মুস্তাফিজ কীভাবে মানিয়ে নেয়, সেটাও দেখার বিষয়।’
শুধু ইংল্যান্ড নয়, আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের অনেক কানাগলিও এখনো দেখার বাকি মুস্তাফিজের। তবে একে একে সেগুলোতেও তাঁকে জিতে ফিরতেই দেখতে চায় বাংলাদেশ।
info:
  Prothom-alo