পাকিস্তানের সঙ্গে টি-টোয়েন্টি অভিষেকে আলো ছড়ানো, এরপর ক্যারিয়ারের
প্রথম ওয়ানডেতেই ভারতের বিপক্ষে ৫ উইকেট। মুস্তাফিজুর রহমানকে ঘিরে তখনই
সংশয় ছিল অনেকের, ‘আরে দ্বিতীয় ম্যাচেই ভারত ওকে খেলার পথ বের করে ফেলবে।’
দ্বিতীয় ওয়ানডেতে বাংলাদেশি বাঁহাতি বোলার উইকেট পেলেন ৬টি। এবার নতুন ঠোঁট
উল্টানো মন্তব্য, ‘অজন্তা মেন্ডিস ও তো এমন শুরু করে পরে হারিয়ে গেছে।
মুস্তাফিজের অবস্থাও শ্রীলঙ্কান স্পিনারের মতো হবে।’
হয়নি। শুধু ভারত-পাকিস্তানের নয়, বিধ্বংসী কাটার আর মায়াবী স্লোয়ারে এরপর বিশ্বের বাঘা বাঘা অনেক ব্যাটসম্যানকেই চমকে দিয়েছেন মুস্তাফিজ। এবার আইপিএলেও আলো ছড়াচ্ছেন ২০ বছর বয়সী বাঁহাতি, ডাক পড়েছে ইংল্যান্ডের কাউন্টি দল সাসেক্সেও। গত এক বছরে মুস্তাফিজের এমন অবিশ্বাস্য পারফরম্যান্স দেখে মুগ্ধ ডার্ক ন্যানেস। সাবেক অস্ট্রেলিয়ান পেসারের উপলব্ধি, মেন্ডিসের মতো হারিয়ে যেতে নয়, মুস্তাফিজ এসেছেন আরেক শ্রীলঙ্কান পেসার লাসিথ মালিঙ্গার মতো করে ক্রিকেট বিশ্ব শাসন করতে।
মুস্তাফিজের আগে বাঁহাতি বোলারদের মধ্যে কাটার আর স্লোয়ারটা সবচেয়ে ভালো করতে পারতেন সম্ভবত এই ন্যানেসই। ৪০ বছর বয়সী সাবেক বোলারের কথাগুলো তাই একটু বেশিই গুরুত্ব বহন করে। ক্রিকইনফোকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে সেই ন্যানেসই বলেছেন, ‘কবজিতে কোনো বদল না এনেই ও যেভাবে স্লোয়ার বল করে, এটি মুস্তাফিজকে আলাদা করে তুলেছে। ওকে অজন্তা মেন্ডিসের সঙ্গে তুলনা করা যাবে না। মিডিয়াম পেসারদের খেলে খেলে ব্যাটসম্যানরা মেন্ডিসকেও পড়ে ফেলেছে। কিন্তু মুস্তাফিজের ক্ষেত্রে সেটি কাজে আসছে না, কারণ ও মিডিয়াম পেসার হলেও বলটাকে মাঝে মাঝে বেশ ভালো ঘোরাতে পারে।’ ক্যারিয়ারের শুরু থেকেই চমকে দিয়েছেন, পরেও ব্যাটসম্যানরা তাঁকে বুঝে উঠতে পারেনি—এমন অন্য একজনের সঙ্গেই বরং মুস্তাফিজকে মেলাচ্ছেন ন্যানেস, ‘মুস্তাফিজ আসলে অনেকটা লাসিথ মালিঙ্গার মতো। সবাই কত চেষ্টা করল ওর (মালিঙ্গা) বোলিং বোঝার, কিন্তু পারলই না। কারণ, ও অনেক দক্ষ একজন বোলার। ও এতই ভালো, বল ছাড়ার সময়ে এতটাই দক্ষ যে সবার চেয়ে আলাদা হয়ে আছে। যেমনটা এখন হয়ে আছে মুস্তাফিজুর।’
তবে প্রায় এক যুগের আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ারে সব মিলিয়ে ৪৭০ উইকেট পাওয়া মালিঙ্গার সঙ্গে মাত্রই হাঁটি হাঁটি পা পা চলতে শুরু করা মুস্তাফিজের তুলনা করা একটু বাড়াবাড়িই। এখনো নতুন অনেক চ্যালেঞ্জ সামনে বাংলাদেশ পেসারের, নতুন অনেক কিছু শেখার বাকি। এই আইপিএলেই দেখা গেছে, ব্যাটসম্যানরা নতুন নতুন পদ্ধতি বের করছেন হায়দরাবাদ সানরাইজার্স পেসারকে খেলার।
ন্যানেসও সেটিই বলছেন। সামনে ইংল্যান্ডের কাউন্টিতে খেলতে যাওয়াও মুস্তাফিজকে নতুন অনেক কিছু শেখাবে বলে মনে করছেন সাবেক পেসার, ‘যুক্তরাজ্যে খেলতে যাওয়ার ব্যাপারে সুযোগ ছাড়া তো কিছু দেখছি না। সব মিলিয়েই একটা ভিন্ন ক্রিকেটীয় অভিজ্ঞতা হবে মুস্তাফিজের জন্য—ভিন্ন ধরনের দল, ভিন্ন আবহাওয়া, ব্যাটিংয়ের ধরনে ভিন্নতা...। ওর জন্য ভিন্ন একটা চ্যালেঞ্জ হবে।’
আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ারে এখনো উপমহাদেশের বাইরে না খেলা মুস্তাফিজের জন্য এই চ্যালেঞ্জে জেতা একটা বড় পরীক্ষাও, ‘ভিন্ন কন্ডিশনে ওর বোলিংয়ের গভীরতা কতটা হয়, সেটা দেখতে চাচ্ছি। ওর তো এখনো অভিজ্ঞতাও কম। সবাই ভুলে যায়, মাত্র দুই বছর আগেই ও প্রথম শ্রেণির ক্রিকেট খেলা শুরু করেছে, আন্তর্জাতিক ক্রিকেট খেলছে এক বছর ধরে। অপরিচিত কন্ডিশনে মুস্তাফিজ কীভাবে মানিয়ে নেয়, সেটাও দেখার বিষয়।’
শুধু ইংল্যান্ড নয়, আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের অনেক কানাগলিও এখনো দেখার বাকি মুস্তাফিজের। তবে একে একে সেগুলোতেও তাঁকে জিতে ফিরতেই দেখতে চায় বাংলাদেশ।
হয়নি। শুধু ভারত-পাকিস্তানের নয়, বিধ্বংসী কাটার আর মায়াবী স্লোয়ারে এরপর বিশ্বের বাঘা বাঘা অনেক ব্যাটসম্যানকেই চমকে দিয়েছেন মুস্তাফিজ। এবার আইপিএলেও আলো ছড়াচ্ছেন ২০ বছর বয়সী বাঁহাতি, ডাক পড়েছে ইংল্যান্ডের কাউন্টি দল সাসেক্সেও। গত এক বছরে মুস্তাফিজের এমন অবিশ্বাস্য পারফরম্যান্স দেখে মুগ্ধ ডার্ক ন্যানেস। সাবেক অস্ট্রেলিয়ান পেসারের উপলব্ধি, মেন্ডিসের মতো হারিয়ে যেতে নয়, মুস্তাফিজ এসেছেন আরেক শ্রীলঙ্কান পেসার লাসিথ মালিঙ্গার মতো করে ক্রিকেট বিশ্ব শাসন করতে।
মুস্তাফিজের আগে বাঁহাতি বোলারদের মধ্যে কাটার আর স্লোয়ারটা সবচেয়ে ভালো করতে পারতেন সম্ভবত এই ন্যানেসই। ৪০ বছর বয়সী সাবেক বোলারের কথাগুলো তাই একটু বেশিই গুরুত্ব বহন করে। ক্রিকইনফোকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে সেই ন্যানেসই বলেছেন, ‘কবজিতে কোনো বদল না এনেই ও যেভাবে স্লোয়ার বল করে, এটি মুস্তাফিজকে আলাদা করে তুলেছে। ওকে অজন্তা মেন্ডিসের সঙ্গে তুলনা করা যাবে না। মিডিয়াম পেসারদের খেলে খেলে ব্যাটসম্যানরা মেন্ডিসকেও পড়ে ফেলেছে। কিন্তু মুস্তাফিজের ক্ষেত্রে সেটি কাজে আসছে না, কারণ ও মিডিয়াম পেসার হলেও বলটাকে মাঝে মাঝে বেশ ভালো ঘোরাতে পারে।’ ক্যারিয়ারের শুরু থেকেই চমকে দিয়েছেন, পরেও ব্যাটসম্যানরা তাঁকে বুঝে উঠতে পারেনি—এমন অন্য একজনের সঙ্গেই বরং মুস্তাফিজকে মেলাচ্ছেন ন্যানেস, ‘মুস্তাফিজ আসলে অনেকটা লাসিথ মালিঙ্গার মতো। সবাই কত চেষ্টা করল ওর (মালিঙ্গা) বোলিং বোঝার, কিন্তু পারলই না। কারণ, ও অনেক দক্ষ একজন বোলার। ও এতই ভালো, বল ছাড়ার সময়ে এতটাই দক্ষ যে সবার চেয়ে আলাদা হয়ে আছে। যেমনটা এখন হয়ে আছে মুস্তাফিজুর।’
তবে প্রায় এক যুগের আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ারে সব মিলিয়ে ৪৭০ উইকেট পাওয়া মালিঙ্গার সঙ্গে মাত্রই হাঁটি হাঁটি পা পা চলতে শুরু করা মুস্তাফিজের তুলনা করা একটু বাড়াবাড়িই। এখনো নতুন অনেক চ্যালেঞ্জ সামনে বাংলাদেশ পেসারের, নতুন অনেক কিছু শেখার বাকি। এই আইপিএলেই দেখা গেছে, ব্যাটসম্যানরা নতুন নতুন পদ্ধতি বের করছেন হায়দরাবাদ সানরাইজার্স পেসারকে খেলার।
ন্যানেসও সেটিই বলছেন। সামনে ইংল্যান্ডের কাউন্টিতে খেলতে যাওয়াও মুস্তাফিজকে নতুন অনেক কিছু শেখাবে বলে মনে করছেন সাবেক পেসার, ‘যুক্তরাজ্যে খেলতে যাওয়ার ব্যাপারে সুযোগ ছাড়া তো কিছু দেখছি না। সব মিলিয়েই একটা ভিন্ন ক্রিকেটীয় অভিজ্ঞতা হবে মুস্তাফিজের জন্য—ভিন্ন ধরনের দল, ভিন্ন আবহাওয়া, ব্যাটিংয়ের ধরনে ভিন্নতা...। ওর জন্য ভিন্ন একটা চ্যালেঞ্জ হবে।’
আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ারে এখনো উপমহাদেশের বাইরে না খেলা মুস্তাফিজের জন্য এই চ্যালেঞ্জে জেতা একটা বড় পরীক্ষাও, ‘ভিন্ন কন্ডিশনে ওর বোলিংয়ের গভীরতা কতটা হয়, সেটা দেখতে চাচ্ছি। ওর তো এখনো অভিজ্ঞতাও কম। সবাই ভুলে যায়, মাত্র দুই বছর আগেই ও প্রথম শ্রেণির ক্রিকেট খেলা শুরু করেছে, আন্তর্জাতিক ক্রিকেট খেলছে এক বছর ধরে। অপরিচিত কন্ডিশনে মুস্তাফিজ কীভাবে মানিয়ে নেয়, সেটাও দেখার বিষয়।’
শুধু ইংল্যান্ড নয়, আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের অনেক কানাগলিও এখনো দেখার বাকি মুস্তাফিজের। তবে একে একে সেগুলোতেও তাঁকে জিতে ফিরতেই দেখতে চায় বাংলাদেশ।
info:
Prothom-alo
No comments:
Post a Comment