Saturday, May 28, 2016

মুস্তাফিজের অভাব পূরণ করতে পারেননি বোল্ট

আর্জেন্টিনার মুখোমুখি হওয়ার আগে ‘ধাক্কা’ চ্যাম্পিয়নদের

কোপার আগে জ্যামাইকার কাছে হারল চিলি। ছবি: রয়টার্স। 
 গত বছর আর্জেন্টিনাকে হারিয়ে কোপার শিরোপা ঘরে তুলেছিল চিলি। এক বছর পর কোপা আমেরিকা প্রতিযোগিতার শতবর্ষ উদ্‌যাপন উপলক্ষে আয়োজিত বিশেষ আসরের আগে সেই চিলিকেই বড় ধরনের ধাক্কা দিল জ্যামাইকা। ভিনা দেল মারে এক প্রীতিম্যাচে জ্যামাইকার কাছে ২-১ গোলে হেরেছে কোপার বর্তমান চ্যাম্পিয়নরা। হোক না প্রীতিম্যাচ, জ্যামাইকার কাছে হার চিলির জন্য একটা সতর্কবার্তা হয়ে থাকবে সন্দেহ নেই। চিলিকে চ্যাম্পিয়ন বানানো আর্জেন্টাইন কোচ হোর্হে সাম্পাওলিও কিন্তু নেই।
পরিষ্কার ফেবারিট হিসেবেই জ্যামাইকার বিপক্ষে খেলতে নেমেছিল চিলি। কিন্তু গোলের সুযোগ অপচয়ের মাশুলটা শেষ পর্যন্ত হার দিয়েই শোধ করতে হয়েছে চিলিকে। ৩৬ মিনিটে ক্লাইটন ডোনাল্ডসনের গোলে এগিয়ে যাওয়া জ্যামাইকা ম্যাচের ৫৩ মিনিটেই গ্রান্ট জোয়েলের গোলে মোটামুটি নিশ্চিত করে ফেলে ম্যাচ। ৮২ মিনিটে নিকোলাস ক্যাস্টিলো একটি গোল পরিশোধ করলেও তা যথেষ্ট হয়নি চিলির জন্য।

দুই গোলে পিছিয়ে পড়ার আগে নিজেরাই এগিয়ে যেতে পারত চিলি। কিন্তু গোল মিসের মহড়ায় তা হয়নি। শুরুতেই এডুয়ার্ডো ভারগাসের দূরপাল্লার শট অল্পের জন্য বাইরে চলে যায়। জ্যামাইকাও এ সময় ছেড়ে কথা বলেনি। গ্যারেথ ম্যাকক্লেরে ডান দিক দিয়ে ঢুকে চিলির সীমানায় যে পাস বাড়ান, তা থেকে গোলের একেবারে সামনে দাঁড়িয়েও গোল করতে ব্যর্থ হন জাইলস বার্নেস। একটি পেনাল্টিও পেতে পারত জ্যামাইকা। চিলির গোলকিপার জনি হেরেরা ডেনাল্ডসনকে ফেলে দিলেও রেফারি তা এড়িয়ে যান।

ম্যাচের ৩৬ মিনিটে জ্যামাইকার প্রথম গোলের উৎস ছিলেন ম্যাকক্লেরে। তাঁর পাস থেকেই দলকে এগিয়ে দেন ডোনাল্ডসন। পিছিয়ে পড়ার পর আলেক্সিস সানচেজের একটি ফ্রি কিক থেকে জ্যামাইকাকে রক্ষা করেন গ্যারি মেডাল। প্রথমার্ধের একেবারে শেষ দিকে চিলির হুয়ান বোশেজোঁর একটি বাঁকানো শট লক্ষ্যভ্রষ্ট হয়।

দ্বিতীয়ার্ধে গোল শোধে মরিয়া হয়ে ওঠে চিলি। শুরুতেই মরিসিও পিনিলার একটি হেড কোনোমতে রক্ষা করেন জ্যামাইকার বদলি গোলকিপার ডোয়াইন কের। ৫৩ মিনিটে বার্নেসের ক্রস থেকে জ্যামাইকাকে ২-০ গোলে এগিয়ে দেন গ্রান্ট জোয়েল। ৮২ মিনিটে ক্যাস্টিলার প্রথম আন্তর্জাতিক গোলটি চিলির জন্য ছিল সান্ত্বনার।

এই ম্যাচ জিতে, আত্মবিশ্বাসের রসদ জমিয়েই আগামী ৫ জুন গ্রুপ ‘সি’র ম্যাচে ভেনেজুয়েলার মুখোমুখি হবে জ্যামাইকা। তবে ৬ জুন আর্জেন্টিনার বিপক্ষে খেলতে নামার আগে জ্যামাইকার বিপক্ষে হারটি কিন্তু তাড়িয়ে বেড়াবে কোপার বর্তমান চ্যাম্পিয়নদের
infoProthom-alo
 

কোপার আগে মেসির চোট!

কোমরে চোট পেয়ে মাঠের বাইরে চলে যাচ্ছেন মেসি। ছবি: এএফপি। 
আর্জেন্টাইন সমর্থকদের বুকে কাঁপন ধরে যাওয়ার কথা। আর কদিন পরেই শুরু কোপা আমেরিকা শতবর্ষ উদ্‌যাপনী আসর। আর তার আগেই কিনা চোট পেলেন লিওনেল মেসি! কোপার প্রস্তুতি হিসেবে কাল সান হুয়ানে হন্ডুরাসের মুখোমুখি হয়েছিল বিশ্বকাপ ফাইনালিস্টরা। কিন্তু ৬৪ মিনিটে হন্ডুরিয়ান খেলোয়াড় অলিভার মোরাজানের সঙ্গে সংঘর্ষে কোমরে আঘাত পেয়ে মাঠ ত্যাগ করেন মেসি। পরে তাঁকে হাসপাতালে নেওয়া হয়। ম্যাচটা অবশ্য গঞ্জালো হিগুয়েইনের গোলে ১-০ গোলে জিতেছে আর্জেন্টিনা।

ম্যাচ শেষে আর্জেন্টাইন ফুটবল দলের পক্ষ থেকে টুইটারে জানানো হয়েছে, ‘মেসি বাঁ কোমরের নিচের দিকে ব্যথা পেয়েছেন। হাসপাতালে তাঁকে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে।

আর্জেন্টাইন কোচ জেরার্ডো মার্টিনোও নিশ্চিত করে কিছু বলেননি, ‘বাঁ কোমরের নিচের দিকে মেসি আঘাত পেয়েছেন। আঘাতটা কতটা গুরুতর, সেটা এখনই বলা সম্ভব নয়। তবে হাসপাতালে চিকিৎসকেরা তাঁকে পরীক্ষা করেছেন।’

আগামী ৩ জুন থেকে শুরু হচ্ছে কোপা আমেরিকা প্রতিযোগিতার শতবর্ষ উদ্‌যাপনী আসর। সেখানে ৬ জুন চিলির সঙ্গে নিজেদের প্রথম ম্যাচটি খেলবে আর্জেন্টিনা।

আর্জেন্টিনা সর্বশেষ বড় কোনো আন্তর্জাতিক প্রতিযোগিতা জিতেছিল ২৩ বছর আগে। গত দুই বছর বিশ্বকাপ ও কোপার ফাইনালে উঠেও সাফল্য পায়নি আর্জেন্টিনা। মেসির চোটের সময়টা এর চেয়ে খারাপ সম্ভবত হতে পারত না!

ম্যাচের ৩১ মিনিটে জয়সূচক গোলটি করেন হিগুয়েইন। গোলটি অবশ্য মুগ্ধতা ছড়িয়েছে দারুণভাবেই। দুর্দান্ত এক ‘ক্রুইফ টার্নে’ হন্ডুরিয়ান ডিফেন্ডার মেনর ফিগুয়েরোয়াকে বোকা বানিয়ে গোলকিপার ডনিস এসকোবারের মাথার ওপর দিয়ে তিনি বল পাঠিয়ে দেন গোলে।

এর আগে অবশ্য মেসির দারুণ এক পাসে বল পেয়ে অ্যাঙ্গেল ডি মারিয়া বাইরে পাঠিয়ে দেন। ২৮ মিনিটে ডি মারিয়ার কর্নার থেকে নিকোলাস ওটামেন্ডির ভলিও অল্পের জন্য লক্ষ্যভ্রষ্ট হয়। ৩৯ মিনিটে এরিক লামেলার পাস থেকে মার্কোস রোহোর শট ঠেকিয়ে দেন করেন এসকোবার।  
info
Prothom-alo

ফাইনালে খেলবেন তো মুস্তাফিজ?

কালকের ম্যাচটিতে দেখা যাবে তো মুস্তাফিজকে? ফাইল ছবি 
কাল মহা গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচ ছিল সানরাইজার্স হায়দরাবাদের। সেই ম্যাচেই নেই মুস্তাফিজুর রহমান! বাদ পড়ার একটাই কারণ থাকতে পারে। আর সেই শঙ্কাটাই সত্যি হলো। হ্যামস্ট্রিংয়ে চোট পেয়েছেন কাটার মাস্টার। কাল তাঁর অভাব ভীষণ অনুভবও করেছেন হায়দরাবাদ। মুস্তাফিজের বদলে খেলা ট্রেন্ট বোল্ট ৪ ওভারে দিয়েছেন ৩৯ রান। শেষ ৫ ওভারে হায়দরাবাদ দিয়েছে ৫৩ রান, মুস্তাফিজ থাকলে শেষের ওভারগুলোতে রানে বাঁধ দিতে পারে হায়দরাবাদ।
পুরো টুর্নামেন্টে এখনো সাতের নিচে ইকোনমি রেট রেখে ১৬ উইকেট নেওয়া মুস্তাফিজকে ছাড়াই শেষ পর্যন্ত অবশ্য জিতেছে ডেভিড ওয়ার্নারের দল। তাতে ​অধিনায়ক নেতৃত্বও দিয়েছেন সামনে থেকে। কিন্তু এখনো বড় প্রশ্ন, মুস্তাফিজ কি খেলবেন ফাইনালে?

মুস্তাফিজের সঙ্গে যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি। তবে তাঁর ভাই মোখলেছুর রহমান জানিয়েছেন, ফাইনালে খেলার সম্ভাবনা আছে মুস্তাফিজের, ‘মুস্তাফিজের সঙ্গে তো নিয়মিতই ফোনে কথা হয়। গতকালও হয়েছে। আজ এখনো হয়নি। তবে কথা বলব। ওর সঙ্গে কথা বলে যতটুকু মনে হলো, চোট অতটা গুরুতর নয়। আসলে ওকে নিয়ে কোনো ঝুঁকি নিতে চায়নি সানরাইজার্স। দলও খুব করে চায় ওকে ফাইনালে খেলাতে। অবস্থা ভালো হলে আগামীকাল খেলতেও পারে। তবে এখনো কোনো কিছু চূড়ান্ত নয়। আজকেও ওর অবস্থা দেখবে দলের চিকিৎ​সকেরা। কথা বলে মনে হলো, আগামীকাল শেষ মুহূর্ত পর্যন্ত অপেক্ষা করবে ওর জন্য। তবে আমার মনে হচ্ছে খেলার সম্ভাবনা আছে ভালোই।’

মোখলেছুরের প্রত্যাশা, ভাই যেন দ্রুত সেরে ওঠে। এমনিতেই মুস্তাফিজ এবারের আইপিএলের সেরা উদীয়মান খেলোয়াড়। এর সঙ্গে ফাইনালে দুর্দান্ত কিছু করলে সেটি তাঁর দল তো বটেই, পরিবারের জন্যও হবে আনন্দের। বাংলাদেশের জন্যও কি নয়?
info
 Prothom-alo

Monday, May 23, 2016

আরও একবার ‘সুপারম্যান’ কোহলি

বেঙ্গালুরুকে প্লে অফে নিলেন কোহলি। ছবি: এএফপি রূপকথার গল্পই তো! একটা সময় আইপিএলের পয়েন্ট তালিকার ৭ নম্বরে অবস্থান করছিল রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরু। একের পর এক বাধা পেরিয়ে এই দলই তালিকার দ্বিতীয় স্থানে থেকে প্লে অফে! কীভাবে সম্ভব হলো এটি! আইপিএলে একমাত্র এই দলটিতেই যে খেলেন এক ‘সুপারম্যান’, এক অতিমানব—বিরাট কোহলি। এক মৌসুমে ১৪ ম্যাচ খেলে ৯১৯ রান করেন যে ব্যাটসম্যান, তিনি তো অতিমানবই। নিজের দুর্দান্ত ব্যাটিং ফর্মের আরও একটি নমুনা রাখলেন কোহলি কাল। দিল্লি ডেয়ারডেভিলসের বিপক্ষে ৪৫ বলে ফিফটি করে দলকে নিয়ে গেলেন প্লে অফে।

প্রথমে ব্যাট করে দিল্লির করা ১৩৮ রানকে খুব সহজে টপকাতে পারেনি বেঙ্গালুরু। দলের দুই সেরা ব্যাটসম্যান ক্রিস গেইল ও এবি ডি ভিলিয়ার্স দ্রুত ফিরে গেলে পুরো দায়িত্বই নিজের কাঁধে তুলে নেন কোহলি। দলকে জয়ের বন্দরে পৌঁছাতে যতটুকু করা দরকার, করেছেন ততটুকুই। ঠান্ডা মাথায় ৪৫ বলে ৬টি চারের সাহায্যে ৫৪ রান করে শেষ পর্যন্ত অপরাজিত থাকলেন। তাঁকে দারুণ সঙ্গ দিয়েছেন অবশ্য লোকেশ রাহুল, ৩৮ রান করে। এ ছাড়া শেন ওয়াটসনের ১৪ আর স্টুয়ার্ট বিনির ১৬ রানে ১১ বল বাকি থাকতেই জয়ের জন্য প্রয়োজনীয় ১৩৯ রান তুলে নেয় বেঙ্গালুরু।

এমন খেলা কীভাবে খেলেন কোহলি? কিছুদিন আগেই বলেছিলেন, ‘আমার চেষ্টাটা খুবই সাধারণ, সত্যি বলছি। নিয়ম মেনে খাও, নিয়ম মেনে অনুশীলন কর, নিয়ম মেনে ঘুমাতে যাও। দিনের পর দিন এই নিয়ম মেনেই নিজেকে গড়ে তুলছি। ব্যাপারটা অনেকের কাছেই খুব একঘেয়ে মনে হবে। কিন্তু সত্যি বলছি, আমি এভাবেই নিজেকে মাঠের লড়াইয়ের জন্য প্রস্তুত করি। একজন ক্রীড়াবিদ হিসেবে সবাইকেই এই একঘেয়ে জীবনই মেনে নিতে হবে।’

নিজেকে তৈরি করার কেতা ‘একঘেয়ে’ হলেও মাঠে কিন্তু মোটেও একঘেয়ে মনে হয় না কোহলির লড়াই! বরং সেটা রঙিন রাংতায় মোড়া আকর্ষণীয় এক উপহারই হয়ে আসে সকলের জন্য। হয়ে ওঠে রূপকথার এক গল্প। এবারের এক আইপিএলে করেছেন চারটা সেঞ্চুরি, ফিফটি করেছেন ছয়টি! ১৪ ইনিংসের ১০টিতেই তাঁর ব্যাটিংটা একটু খেয়াল করে দেখুন!
info:
  Prothom-alo

Sunday, May 22, 2016

কোপাতেও নেই তেভেজ

গত বছর কোপা আমেরিকার নিয়মিত আসরে খেলেছিলেন কার্লোস তেভেজ, কোয়ার্টার ফাইনালে কলম্বিয়ার বিপক্ষে টাইব্রেকারে শেষ শটটা নিয়ে গোল করে দলকেও জিতিয়েছিলেন। ফাইনালে অবশ্য একাদশে জায়গা পাননি, বদলি হিসেবেও তাঁকে নামাননি কোচ জেরার্দো মার্তিনো। কোপা আমেরিকার শতবর্ষপূর্তিতে আয়োজিত বিশেষ ‘কোপা সেন্টেনারিও’তেও তেভেজকে সুযোগ দিলেন না ‘তাতা’। শুক্রবার বুয়েনস এইরেসে কোপা সেন্টেনারিওর জন্য ২৩ জনের দল ঘোষণা করেছেন মার্তিনো, সেখানে ঠাঁই হয়নি অভিজ্ঞ তেভেজ এবং তরুণ তুর্কি পাওলো দিবালার। এই দুই ফরোয়ার্ডকে বাদ দিয়ে আক্রমণভাগে মার্তিনো ভরসা রাখছেন নাপোলির হয়ে ৩৬ গোল করা গনসালো হিগুয়েইন আর ম্যানসিটির হয়ে মৌসুমে ৩২ গোল করা সের্হিয়ো আগুয়েরোর ওপর। সঙ্গে লিওনেল মেসি তো থাকছেনই! এএফপি
আর্জেন্টিনা দল : গোলরক্ষক : সের্হিয়ো রোমেরো, নাহুয়েল গুজমান ও মারিয়ানো আন্দুজার; রক্ষণ : গ্যাব্রিয়েল মারসেদো, ফাকুন্দো রনকাগলিয়া, নিকোলাস ওতামেন্দি, জোনাথন মাইদানা, রামিরো ফুনেস মোরি, মার্কোস রোহো ও ভিক্টর কুয়েস্তা; মাঝমাঠ : মাতিয়াস ক্রেনভিটার, অগুস্তো ফার্নান্দেস, হাভিয়ের মাসচেরানো, এভার বানেগা, লুকাস বিগলিয়া, হাভিয়ের পাস্তোরে ও এরিক লামেলা; আক্রমণভাগ : আনহেল দি মারিয়া, এসেকিয়েল লাভেজ্জি, লিওনেল মেসি, সের্হিয়ো আগুয়েরো, গনসালো হিগুয়েইন ও নিকোলাস গাইতান।
- See more at: http://www.kalerkantho.com/print-edition/sports/2016/05/22/361291#sthash.YiExLR1i.dpufগত বছর কোপা আমেরিকার নিয়মিত আসরে খেলেছিলেন কার্লোস তেভেজ, কোয়ার্টার ফাইনালে কলম্বিয়ার বিপক্ষে টাইব্রেকারে শেষ শটটা নিয়ে গোল করে দলকেও জিতিয়েছিলেন। ফাইনালে অবশ্য একাদশে জায়গা পাননি, বদলি হিসেবেও তাঁকে নামাননি কোচ জেরার্দো মার্তিনো। কোপা আমেরিকার শতবর্ষপূর্তিতে আয়োজিত বিশেষ ‘কোপা সেন্টেনারিও’তেও তেভেজকে সুযোগ দিলেন না ‘তাতা’। শুক্রবার বুয়েনস এইরেসে কোপা সেন্টেনারিওর জন্য ২৩ জনের দল ঘোষণা করেছেন মার্তিনো, সেখানে ঠাঁই হয়নি অভিজ্ঞ তেভেজ এবং তরুণ তুর্কি পাওলো দিবালার। এই দুই ফরোয়ার্ডকে বাদ দিয়ে আক্রমণভাগে মার্তিনো ভরসা রাখছেন নাপোলির হয়ে ৩৬ গোল করা গনসালো হিগুয়েইন আর ম্যানসিটির হয়ে মৌসুমে ৩২ গোল করা সের্হিয়ো আগুয়েরোর ওপর। সঙ্গে লিওনেল মেসি তো থাকছেনই! এএফপি

আর্জেন্টিনা দল : গোলরক্ষক : সের্হিয়ো রোমেরো, নাহুয়েল গুজমান ও মারিয়ানো আন্দুজার; রক্ষণ : গ্যাব্রিয়েল মারসেদো, ফাকুন্দো রনকাগলিয়া, নিকোলাস ওতামেন্দি, জোনাথন মাইদানা, রামিরো ফুনেস মোরি, মার্কোস রোহো ও ভিক্টর কুয়েস্তা; মাঝমাঠ : মাতিয়াস ক্রেনভিটার, অগুস্তো ফার্নান্দেস, হাভিয়ের মাসচেরানো, এভার বানেগা, লুকাস বিগলিয়া, হাভিয়ের পাস্তোরে ও এরিক লামেলা; আক্রমণভাগ : আনহেল দি মারিয়া, এসেকিয়েল লাভেজ্জি, লিওনেল মেসি, সের্হিয়ো আগুয়েরো, গনসালো হিগুয়েইন ও নিকোলাস গাইতান।

www.kalerkantho.com
কোপাতেও নেই তেভেজগত বছর কোপা আমেরিকার নিয়মিত আসরে খেলেছিলেন কার্লোস তেভেজ, কোয়ার্টার ফাইনালে কলম্বিয়ার বিপক্ষে টাইব্রেকারে শেষ শটটা নিয়ে গোল করে দলকেও জিতিয়েছিলেন। ফাইনালে অবশ্য একাদশে জায়গা পাননি, বদলি হিসেবেও তাঁকে নামাননি কোচ জেরার্দো মার্তিনো। কোপা আমেরিকার শতবর্ষপূর্তিতে আয়োজিত বিশেষ ‘কোপা সেন্টেনারিও’তেও তেভেজকে সুযোগ দিলেন না ‘তাতা’। শুক্রবার বুয়েনস এইরেসে কোপা সেন্টেনারিওর জন্য ২৩ জনের দল ঘোষণা করেছেন মার্তিনো, সেখানে ঠাঁই হয়নি অভিজ্ঞ তেভেজ এবং তরুণ তুর্কি পাওলো দিবালার। এই দুই ফরোয়ার্ডকে বাদ দিয়ে আক্রমণভাগে মার্তিনো ভরসা রাখছেন নাপোলির হয়ে ৩৬ গোল করা গনসালো হিগুয়েইন আর ম্যানসিটির হয়ে মৌসুমে ৩২ গোল করা সের্হিয়ো আগুয়েরোর ওপর। সঙ্গে লিওনেল মেসি তো থাকছেনই! এএফপি

আর্জেন্টিনা দল : গোলরক্ষক : সের্হিয়ো রোমেরো, নাহুয়েল গুজমান ও মারিয়ানো আন্দুজার; রক্ষণ : গ্যাব্রিয়েল মারসেদো, ফাকুন্দো রনকাগলিয়া, নিকোলাস ওতামেন্দি, জোনাথন মাইদানা, রামিরো ফুনেস মোরি, মার্কোস রোহো ও ভিক্টর কুয়েস্তা; মাঝমাঠ : মাতিয়াস ক্রেনভিটার, অগুস্তো ফার্নান্দেস, হাভিয়ের মাসচেরানো, এভার বানেগা, লুকাস বিগলিয়া, হাভিয়ের পাস্তোরে ও এরিক লামেলা; আক্রমণভাগ : আনহেল দি মারিয়া, এসেকিয়েল লাভেজ্জি, লিওনেল মেসি, সের্হিয়ো আগুয়েরো, গনসালো হিগুয়েইন ও নিকোলাস গাইতান।
info
www.kalerkantho.com
কোপা আমেরিকার জন্য ঘোষিত আর্জেন্টিনার ২৩ জনের চুড়ান্ত স্কোয়াডে জায়গা হয়নি কার্লোস তেবেজের। যেখানে ঠাঁই হয়নি জুভেন্টাস তারকা পাওলো দিবালা ও ম্যানচেস্টার সিটি ডিফেন্ডার পাবলো জাবালেটারও।
বিগত চার আসরের তিনবার রানার্স আপ হওয়া আর্জেন্টাইন দলে তেবেজ ও দিবালা না থাকলেও আক্রমনভাগে কোন ধরনের খেলোয়াড় সংকট তাদের নেই। কোচ জেরার্ডো মার্টিনোর কোপা স্কোয়াডে ঠিকই জায়গা করে নিয়েছেন চাইনিজ সুপার লীগে যোগ দেয়া ৩১ বছর বয়সী এজেকুয়েল লাভেজ্জি। দিবালাকে অলিম্পিক দলে অন্তর্ভুক্ত করতে পারেন কোচ। তবে কোপা আমেরিকায় আক্রমনভাগের দায়িত্ব দেয়ার জন্য তিনি স্কোয়াডভুক্ত করেছেন লিওনেল মেসি, সার্জিও এগুয়েরো ও গঞ্জালো হিগুইনকে। আর এই ত্রিমুর্তিকে সহায়তার সুযোগ পাচ্ছেন নিকোলাস গাইতান, এঞ্জেল ডি মারিয়া এবং এরিক লামেলা।
কোপা আমেরিকায় ডি’ গ্রুপ থেকে অংশ নিতে যাওয়া আর্জেন্টিনা প্রতিপক্ষ হিসেবে পাচ্ছে পানামা, বলিভিয়া ও বর্তমান চ্যাম্পিয়ন চিলিকে।
আর্জেন্টিনা স্কোয়াড
গোলরক্ষক : ম্যারিনো আন্দুজার, ন্যাহুয়েল গুজম্যান ও সার্জিও রোমেরো।
ডিফেন্ডার : ভিক্টর কুয়েস্টা, রামিরো ফুনেস মোরি, জোনাথন মাইদানা, গ্যাব্রিয়েল মার্সাডো, নিকোলাস ওটামেন্ডি, মার্কোস রোহো ও ফাকুন্ডো রনচাগলিয়া।
মিডফিল্ডার : এভার বানেগা, লুকাস বিগলিয়া, আগুস্তো ফেমান্দেজ, মাটিয়াস ক্রেনভিটার, এরিক লামেলা, জেভিয়ার মাচেরানো ও জাভিয়ার পাস্তোরে।
ফরোয়ার্ড : সার্জিও এগুয়েরো, এঞ্জেল ডি মারিয়া, নিকোলাস গাইতান, গঞ্জালো হিগুইন, এজেকুয়েল লাভেজ্জি ও লিওনেল মেসি। - See more at: http://www.dailynayadiganta.com/

মেন্ডিসের মতো হারাতে নয়, মালিঙ্গার মতো থাকতে এসেছেন মুস্তাফিজ

মালিঙ্গার সঙ্গে মুস্তাফিজের তুলনা দিচ্ছেন ন্যানেস। ফাইল ছবি 
পাকিস্তানের সঙ্গে টি-টোয়েন্টি অভিষেকে আলো ছড়ানো, এরপর ক্যারিয়ারের প্রথম ওয়ানডেতেই ভারতের বিপক্ষে ৫ উইকেট। মুস্তাফিজুর রহমানকে ঘিরে তখনই সংশয় ছিল অনেকের, ‘আরে দ্বিতীয় ম্যাচেই ভারত ওকে খেলার পথ বের করে ফেলবে।’ দ্বিতীয় ওয়ানডেতে বাংলাদেশি বাঁহাতি বোলার উইকেট পেলেন ৬টি। এবার নতুন ঠোঁট উল্টানো মন্তব্য, ‘অজন্তা মেন্ডিস ও তো এমন শুরু করে পরে হারিয়ে গেছে। মুস্তাফিজের অবস্থাও শ্রীলঙ্কান স্পিনারের মতো হবে।’
হয়নি। শুধু ভারত-পাকিস্তানের নয়, বিধ্বংসী কাটার আর মায়াবী স্লোয়ারে এরপর বিশ্বের বাঘা বাঘা অনেক ব্যাটসম্যানকেই চমকে দিয়েছেন মুস্তাফিজ। এবার আইপিএলেও আলো ছড়াচ্ছেন ২০ বছর বয়সী বাঁহাতি, ডাক পড়েছে ইংল্যান্ডের কাউন্টি দল সাসেক্সেও। গত এক বছরে মুস্তাফিজের এমন অবিশ্বাস্য পারফরম্যান্স দেখে মুগ্ধ ডার্ক ন্যানেস। সাবেক অস্ট্রেলিয়ান পেসারের উপলব্ধি, মেন্ডিসের মতো হারিয়ে যেতে নয়, মুস্তাফিজ এসেছেন আরেক শ্রীলঙ্কান পেসার লাসিথ মালিঙ্গার মতো করে ক্রিকেট বিশ্ব শাসন করতে।
মুস্তাফিজের আগে বাঁহাতি বোলারদের মধ্যে কাটার আর স্লোয়ারটা সবচেয়ে ভালো করতে পারতেন সম্ভবত এই ন্যানেসই। ৪০ বছর বয়সী সাবেক বোলারের কথাগুলো তাই একটু বেশিই গুরুত্ব বহন করে। ক্রিকইনফোকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে সেই ন্যানেসই বলেছেন, ‘কবজিতে কোনো বদল না এনেই ও যেভাবে স্লোয়ার বল করে, এটি মুস্তাফিজকে আলাদা করে তুলেছে। ওকে অজন্তা মেন্ডিসের সঙ্গে তুলনা করা যাবে না। মিডিয়াম পেসারদের খেলে খেলে ব্যাটসম্যানরা মেন্ডিসকেও পড়ে ফেলেছে। কিন্তু মুস্তাফিজের ক্ষেত্রে সেটি কাজে আসছে না, কারণ ও মিডিয়াম পেসার হলেও বলটাকে মাঝে মাঝে বেশ ভালো ঘোরাতে পারে।’  ক্যারিয়ারের শুরু থেকেই চমকে দিয়েছেন, পরেও ব্যাটসম্যানরা তাঁকে বুঝে উঠতে পারেনি—এমন অন্য একজনের সঙ্গেই বরং মুস্তাফিজকে মেলাচ্ছেন ন্যানেস, ‘মুস্তাফিজ আসলে অনেকটা লাসিথ মালিঙ্গার মতো। সবাই কত চেষ্টা করল ওর (মালিঙ্গা) বোলিং বোঝার, কিন্তু পারলই না। কারণ, ও অনেক দক্ষ একজন বোলার। ও এতই ভালো, বল ছাড়ার সময়ে এতটাই দক্ষ যে সবার চেয়ে আলাদা হয়ে আছে। যেমনটা এখন হয়ে আছে মুস্তাফিজুর।’
তবে প্রায় এক যুগের আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ারে সব মিলিয়ে ৪৭০ উইকেট পাওয়া মালিঙ্গার সঙ্গে মাত্রই হাঁটি হাঁটি পা পা চলতে শুরু করা মুস্তাফিজের তুলনা করা একটু বাড়াবাড়িই। এখনো নতুন অনেক চ্যালেঞ্জ সামনে বাংলাদেশ পেসারের, নতুন অনেক কিছু শেখার বাকি। এই আইপিএলেই দেখা গেছে, ব্যাটসম্যানরা নতুন নতুন পদ্ধতি বের করছেন হায়দরাবাদ সানরাইজার্স পেসারকে খেলার।
ন্যানেসও সেটিই বলছেন। সামনে ইংল্যান্ডের কাউন্টিতে খেলতে যাওয়াও মুস্তাফিজকে নতুন অনেক কিছু শেখাবে বলে মনে করছেন সাবেক পেসার, ‘যুক্তরাজ্যে খেলতে যাওয়ার ব্যাপারে সুযোগ ছাড়া তো কিছু দেখছি না। সব মিলিয়েই একটা ভিন্ন ক্রিকেটীয় অভিজ্ঞতা হবে মুস্তাফিজের জন্য—ভিন্ন ধরনের দল, ভিন্ন আবহাওয়া, ব্যাটিংয়ের ধরনে ভিন্নতা...। ওর জন্য ভিন্ন একটা চ্যালেঞ্জ হবে।’
আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ারে এখনো উপমহাদেশের বাইরে না খেলা মুস্তাফিজের জন্য এই চ্যালেঞ্জে জেতা একটা বড় পরীক্ষাও, ‘ভিন্ন কন্ডিশনে ওর বোলিংয়ের গভীরতা কতটা হয়, সেটা দেখতে চাচ্ছি। ওর তো এখনো অভিজ্ঞতাও কম। সবাই ভুলে যায়, মাত্র দুই বছর আগেই ও প্রথম শ্রেণির ক্রিকেট খেলা শুরু করেছে, আন্তর্জাতিক ক্রিকেট খেলছে এক বছর ধরে। অপরিচিত কন্ডিশনে মুস্তাফিজ কীভাবে মানিয়ে নেয়, সেটাও দেখার বিষয়।’
শুধু ইংল্যান্ড নয়, আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের অনেক কানাগলিও এখনো দেখার বাকি মুস্তাফিজের। তবে একে একে সেগুলোতেও তাঁকে জিতে ফিরতেই দেখতে চায় বাংলাদেশ।
info:
  Prothom-alo

Tuesday, May 17, 2016

‘রিয়াল জিতলে বেশি কষ্ট পেতাম’

 
 ২০১৫-১৬ মৌসুমে স্প্যানিশ লা-লিগার শিরোপা জিততে পারেনি মাদ্রিদের দুই ক্লাবের কেউ। জিতেছে কাতালুনিয়ার বার্সেলোনা। তাদের সঙ্গে শিরোপার লড়াইয়ে ছিল মাদ্রিদের দুই ক্লাব রিয়াল ও অ্যাটলেটিকো। তবে শেষ দুই রাউন্ডে শিরোপার লড়াই বাকি থাকে রিয়াল মাদ্রিদ ও বার্সেলোনার মধ্যে। শেষ রাউন্ডে দুই দলই জেতায় শিরোপা যায় বার্সেলোনার ঘরে। এতে সর্বশেষ ৮ মৌসুমে ষষ্ঠ শিরোপা জিতে নেয় তারা। বার্সেলোনা এই শিরোপা জেতায় নিজের মতামত দিলেন অ্যাটলেটিকো মাদ্রিদের অধিনায়ক দিয়েগো গদিন। নিজেরা শিরোপা জিততে না পারায় কষ্ট পাচ্ছেন। তবে কাতালানের ক্লাবটি শিরোপা জেতায় তার কষ্টটা নাকি কম। রিয়াল মাদ্রিদ জিতলে নাকি কষ্ট বেশি পেতেন। নগরপ্রতিদ্বন্দ্বীদের শিরোপা না জেতায় নিজের ‘খুশি’র ব্যাখ্যাও দিলেন অ্যাটলেটিকোর অধিনায়ক। উরুগুয়ের এ ডিফেন্ডার বলেন, ‘বার্সেলোনার শিরোপা জেতায় কষ্ট একটু কম। রিয়াল মাদ্রিদ জিতলে বেশি কষ্ট পেতাম। কারণ, তারা আমাদের নগরপ্রতিদ্বন্দ্বী। রিয়াল মাদ্রিদের প্রতি আমার পূর্ণ সম্মান রয়েছে। কোনোভাবেই তাদের ঘৃণা কিংবা অপছন্দ করি না। তবে সবসময় আমি তাদের হারাতে চাই’। রিয়াল মাদ্রিদকে নিয়ে অ্যাটলেটিকো অধিনায়কের এমন মন্তব্যের পেছনে রয়েছে অন্য এক কারণও। চলতি মৌসুমে লা-লিগার লড়াই শেষ। বার্সেলোনার সঙ্গে আর কোনো প্রতিদ্বন্দ্বিতা এখন বাকি নেই। কিন্তু রিয়াল মাদ্রিদের সঙ্গে বাকি অনেক বড় লড়াই। ২৮ মে ইতালির মিলানে ইউয়েফা চ্যাম্পিয়ন্স লীগের ফাইনালে মুখোমুখি হবে তারা। ওই লড়াইয়ের আগে রিয়াল লা-লিগার শিরোপা জিতলে মানসিকভাবে অনেক এগিয়ে থাকতো। সেটা চাননি গদিন। এক মৌসুম আগে চ্যাম্পিয়ন্স লীগের ফাইনালে খেলে নগরপ্রতিদ্বন্দ্বী রিয়াল ও অ্যাটলেটিকো। সেবার লিসবনে অতিরিক্ত সময়ে গড়ানো ম্যাচটি ৪-১ গোলে জেতে রিযাল মাদ্রিদ। এবারের ফাইনালে সেই প্রতিশোধ নিতে চায় অ্যাটলেটিকো। বিষয়টি নিয়ে দিয়েগো গদিন বলেন, ‘লিসবনের ওই ম্যাচ থেকে আমরা অনেককিছু শিখেছি। এখন আমরা জানি- রিয়ালের বিপক্ষে কিভাবে খেলতে হয়। আর সর্বশেষ তাদের বিপক্ষের পরিসংখ্যানটাও আমাদের জন্য প্রেরণাদায়ক। আমদের দলের খেলোয়াড়দের কৌশল ও শারীরিক সক্ষমতাটা অনেক। ফাইনালে দলের খেলোয়াড়রা নিজেদের ১৫০ শতাংশ দিয়ে খেলবে।’
info; Manab Zamin

মুস্তাফিজদের হায়দরাবাদের সাফল্য-রহস্য কী?

ডেভিড ওয়ার্নার পথ দেখাচ্ছেন হায়দরবাদকে। ছবিঃ এএফপি। 
রহস্যময়’ মুস্তাফিজ, ফর্মে থাকা ভুবনেশ্বর কুমার, দুর্দান্ত ওয়ার্নার—হায়দরাবাদ সানরাইজার্সের সাফল্যের অনেকগুলো কারণই চাইলে বের করা যায়। এবারের আইপিএলে এখন পর্যন্ত ১৬ পয়েন্ট নিয়ে সবার ওপরে হায়দরাবাদ। প্লে অফে খেলাটাও এখন প্রায় নিশ্চিত। কিন্তু আইপিএলে কখনোই বড় দলের পরিচিতি না পাওয়া সেই দলটার এমন বদলে যাওয়ার রহস্য কী?

ডেভিড ওয়ার্নার নির্দিষ্ট কারও নাম বলেননি, বরং একদম সোজাসাপটা ভাষাতেই জবাব দিয়েছেন, ‘আমরা এই বছর অনেক পরিশ্রম করেছি। সব সময় ক্ষুধার্ত ছিলাম, নিজেদের ওপর আস্থা রেখেছি। আমাদের বিশ্বাস ছিল, আমরা পারব। মধ্যে কয়েকটা ম্যাচ আমাদের পক্ষে যায়নি, এরপর আবার আমরা জয়ের ধারায় ফিরেছি। এরপর একটা বাজে ম্যাচের পর আবার ভালো খেলেছি। এই মুহূর্তে আমাদের নিজেদের সেরাটাই খেলতে হবে।’

পরের পর্ব একরকম নিশ্চিত করে ফেলার পর নিজের স্বস্তিও জানালেন হায়দরাবাদ ​অধিনায়ক, ‘আমরা খুবই রোমাঞ্চিত, পরের পর্বে যেতে পেরে খুশি। কিন্তু জয়টাই আসলে সবকিছু। এই সংস্করণে জয়টাই শেষ কথা। আমরা এই ধারাটা ধরে রেখে শীর্ষ দুইয়ে থাকতে চাই। এই মুহূর্তে সেটাই আমাদের লক্ষ্য।’

হায়দরাবাদের পরের ম্যাচটা দিল্লি ডেয়ারডেভিলসের সঙ্গে। আগের ম্যাচে তাদের সঙ্গে হেরেছিল হায়দরাবাদ। ওয়ার্নার পরের ম্যাচে জয়কেই পাখির চোখ করছেন, ‘আমাদের এখন দিল্লিতে গিয়ে পরের ম্যাচ খেলতে হবে। গত ম্যাচে আমরা ওদের সঙ্গে ভালো খেলতে পারিনি। নিজেদের সেরাটাই দিতে হবে আমাদের। ফাইনালে ওরা আমাদের একটা সম্ভাব্য প্রতিপক্ষ হতে পারে।’

ওয়ার্নার সুনির্দিষ্টভাবে না ব​ললেও হায়দরাবাদের এই সাফল্যের মূলে আছে তাদের পেস আক্রমণ। আইপিএলটা ভারতে হয় জন্যই বেশির ভাগ দল স্পিনের ওপর ভরসা করে। কিন্তু হায়দরাবাদ এবার দেখিয়ে দিয়েছে, পেস দিয়েই সাফল্য পাওয়া যায়। মুস্তাফিজ, নেহরা, ভুবনেশ্বররা তো আছেনই, চতুর্থ পেসার হিসেবে দুর্দান্ত করছেন ময়েজেস হেনরিকেসও। মূলত এই দুর্দান্ত পেস আক্রমণের জন্যই অনেক লো স্কোরিং ম্যাচও জিতে গেছে হায়দরবাদ। সঙ্গে আছে ওয়ার্নারের অধিনায়কত্ব, যে অধিনায়কত্ব ঠিক কেতাবি নয়।

দেখা যাক, কত দূর তারা যায়!
info: Prothom-alo

কলকাতা হতাশ করছে সাকিবকে

কলকাতার পিচও প্রতিপক্ষ সাকিবদের। ফাইল ছবি 
২০ ওভারে ১৮৩ রান করেও সেটিকে আগলে রাখতে পারল না কলকাতা নাইট রাইডার্স? বলতে পারেন, সময়ের দুই সেরা ব্যাটসম্যান বিরাট কোহলি ও এবি ডি ভিলিয়ার্স যখন আগুনে ফর্মে জ্বলে ওঠেন, তখন ১৮৩ কেন, আড়াই শ-ও কোনো রান নয়। সেটি মেনে নিয়েও, কাল কলকাতার ওভাবে পথ হারিয়ে ফেলার ক্রিকেটীয় কারণ কী? সাদা চোখে বোলারদের ব্যর্থতা। দলের ছয় বোলার কাল বল হাতে নিয়েছিলেন, প্রত্যেকেই ওভারপ্রতি রান দিয়েছেন সাড়ে ৮-এর ওপরে। তবে সাকিব আল হাসানের চোখে কারণটা পিচ। ঘরের মাঠ ইডেন গার্ডেনের পিচটা এবার কলকাতার জন্য বন্ধু নয়, বরং ‘বন্ধুর’ হয়ে দাঁড়িয়েছে। ঘরের মাঠের সুবিধা নিতে পারছে না কলকাতা। কালও কলকাতার উইকেট হতাশ করল সাকিবদের।
কোহলি-ভিলিয়ার্সের ঝড়ে পথ হারিয়ে ৯ উইকেটে ম্যাচ হেরে যাওয়া। সাকিব প্রথমে ঠিকই স্বীকৃতি দিয়েছেন প্রতিপক্ষ দলের দুই ব্যাটসম্যানকে, ‘ওরা যেভাবে রান করছিল, আমাদের আসলে কিছু করার ছিল না। আমরা আমাদের সেরাটা দিয়েছি, কিন্তু ওরা বেশি ভালো ক্রিকেট খেলেছে।’
প্রতিপক্ষের স্বীকৃতির পাশাপাশি সাকিব টেনে এনেছেন পিচের কথাও, ‘আমি শুধু নিজেকে নিয়েই বলতে পারি। হ্যাঁ, আমরা পিচ থেকে যতটা সাহায্য পাওয়ার কথা, সেটা পাচ্ছি না।’
রেকর্ড সাকিবের কথায় সমর্থন দেয়। আইপিএলে এই মৌসুমে ঘরের মাঠে ছয় ম্যাচের তিনটিতে হেরেছে কলকাতা। এর মধ্যে দুটি ম্যাচেই আগে ব্যাট করে ১৮০-এর বেশি স্কোর গড়েও হেরেছে, অন্যটিতে হারতে হয়েছে ১৫৮ রান করে। তিনটি ম্যাচেই ধুঁকেছেন কলকাতার বোলিংয়ের মূল শক্তি স্পিনাররা।
কালকের ম্যাচটিই দেখুন, দলের তিন স্পিনারের মধ্যে সাকিব ও নারাইন চার ওভারে রান দিয়েছেন যথাক্রমে ৩৯ ও ৩৪। আর পীযূষ চাওলা ৩.১ ওভারে ৩২! সাকিবের চোখে ইডেনের পিচই স্পিনারদের এভাবে ভুগতে হওয়ার কারণ, ‘আমরা স্পিননির্ভর দল। ঘরের মাঠে তাই পিচ থেকে কিছু বাড়তি সুবিধা আশা করাই স্বাভাবিক। এখন পর্যন্ত সেটা হয়নি। খেলোয়াড়দের জন্য ব্যাপারটা হতাশার।’
এই হতাশা অনূদিত হচ্ছে পয়েন্ট টেবিলেও। ১২ ম্যাচ শেষে ১৪ পয়েন্ট নিয়ে দ্বিতীয় স্থানে আছে কলকাতা। তবে পয়েন্ট টেবিলের তিন থেকে সাত—সবগুলো দলেরই এখনো সুযোগ আছে প্লে-অফে জায়গা করে নেওয়ার। কলকাতার জন্য কাজটা এখন বাঁচা-মরার মতো দাঁড়িয়েছে, পরের দুটি ম্যাচেই না জিতলে প্লে-অফ থেকে বাদও পড়তে হতে পারে।
২০১৫ সালেও শেষ দুই ম্যাচে ঠিক এমন সমীকরণ থেকে বাদ পড়েছিল কলকাতা। তবে এবার তেমনটা হতে না দেওয়ার ব্যাপারে বেশ দৃঢ়প্রতিজ্ঞ সাকিবরা। সেটি করতে গেলে প্রতিপক্ষের পাশাপাশি পিচকেও জয় করতে হবে। এমনিতেই পেশাদার ক্রিকেটার হিসেবে পিচকে অজুহাত হিসেবে দেখানো অশোভন, সেটি করতেও রাজি নন বাংলাদেশি অলরাউন্ডার, ‘সত্যি বলতে পিচকে দোষ দিতে পারি না আমরা। আমাদের দলে ম্যাচ জেতানোর মতো অনেক মানসম্পন্ন খেলোয়াড় আছে। হয়তো যেমন চেয়েছিলাম, ঘরের মাটিতে ততটা ভালো করতে পারিনি। তবে সব মিলিয়ে আমরা ভালো অবস্থানেই আছি। এখন পরের দুটি ম্যাচ ভালোভাবে খেলা খুব গুরুত্বপূর্ণ।
info:Prothom-alo

ফিটনেস ট্রেনিং করেই আস্ত ভেড়া খায় আফগান ক্রিকেটাররা!

ভাবনা-চিন্তায় খুবই সহজ-সরল আফগান ক্রিকেটাররা। ছবি: এএফপি। 
আফগানিস্তানের ক্রিকেটাররা নাকি খুবই সহজ-সরল আর ভালো মানুষ। ক্রিকেট দুনিয়ার জটিলতা তাঁদের এখনো স্পর্শ করে উঠতে পারেনি। খেলাটায় তাঁরা মাঠে নামেন মনের আনন্দে। সর্বোচ্চটা দিয়েই চেষ্টা করেন। জিতলে তো ভালোই, হারলেও কোনো অসুবিধা নেই। ফিটনেস ট্রেনিং তারা করেন ঠিকই। কিন্তু ভোজন রসিক আফগান ক্রিকেটাররা নাকি জিম-টিম শেষ করেই গ্রিল করা আস্ত ভেড়া সাবাড় করে দেন অবলীলায়!
আফগান ক্রিকেটারদের একেবারে অন্দরের কথা বেশ মজা করেই বলেছেন ইনজামাম-উল হক। পাকিস্তানি এই সাবেক ক্রিকেট তারকা ছিলেন আফগানিস্তান কোচের দায়িত্বে। সাফল্যমাখা সাতটি মাস কাটিয়ে ইনজামাম এখন নিজের দেশেরই বিরাট দায়িত্ব সামলাচ্ছেন—প্রধান নির্বাচকের। এই সাত মাস তাঁর জন্য অসম্ভব আনন্দের সময় ছিল বলেই জানিয়েছেন পাকিস্তানের ক্রিকেট ইতিহাসের অন্যতম সেরা ব্যাটসম্যান।

ইনজামামের অধীনে স্বপ্নিল এক সময় কাটিয়েছে আফগানরা। এই সময় ১৭টি টি-টোয়েন্টি ম্যাচ খেলে ১২টিতেই তুলে নিয়েছে জয়—এর মধ্যে একটি জয় টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ চ্যাম্পিয়ন ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে। ১০টি ওয়ানডে খেলে জয় ৬টিতে—প্রতিটি জয়ই জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে, জিম্বাবুয়ে ও সংযুক্ত আরব আমিরাতের মাটিতে। দুই জায়গাতেই সিরিজ জয়ের স্বাদ।

ইনজামাম নিজেও এত কিছু ভাবেননি দায়িত্ব নেওয়ার আগে। কিন্তু বাড়িতে ছোট ছোট বাচ্চা রেখে দীর্ঘদিন বিদেশের মাটিতে কাটানো তাঁর পক্ষে সম্ভব নয় বলেই দায়িত্বটা দীর্ঘ সময়ের জন্য কাঁধে তোলেননি তিনি। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের পর পাকিস্তান ক্রিকেটের প্রধান নির্বাচকের দায়িত্ব পাওয়ার ব্যাপারটিরও আছে একটা বড় ভূমিকা।

আফগানিস্তান ক্রিকেটকে খুব কাছ থেকে কেমন দেখলেন ইনজামাম? ক্রিকইনফোর সঙ্গে এক সাক্ষাৎকারে বলেছেন, ‘কোচ হওয়ার পর আমার হাতে খুব বেশি সময় ছিল না। জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে সিরিজ ছাড়াও এশিয়া কাপের বাছাইপর্ব ও টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ ছিল। আমি দলের খেলোয়াড়দের মৌলিক বিষয়ে খুব একটা মনোযোগ দিতে পারিনি। তবে কিছু জিনিস পরিবর্তন করার চেষ্টা করেছি। ওদের মধ্যে জয়ের ক্ষুধাটা এনে দিতে চেয়েছি। দেখেছি, ওদের খুব ভালো ব্যাটসম্যানও ৩০-৩৫ রান করেই সন্তুষ্ট থাকে। আমি ওদের বলেছি, এই মানসিকতা বদলাতে হবে। ৩০-৩৫ রান করে আউট হয়ে যাওয়াটা যে অপরাধের পর্যায়ে পড়ে, সেটাই ওদের বুঝিয়েছি।’

আফগানিস্তান ক্রিকেটের উন্নতির সবচেয়ে বড় বাধা দেশটিকে ঘিরে ভূ-রাজনৈতিক সমস্যা। ইনজামাম মনে করেন, নিজ দেশে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট আয়োজন না করতে পারলে আফগানিস্তানের পক্ষে উন্নতির গ্রাফটা ধরে রাখা মুশকিল, ‘দেখুন, যে সমস্যাটা পাকিস্তানের হয়েছে, সেটাই আরও বাজেভাবে হওয়ার শঙ্কা আফগানিস্তানের বেলায়। ঘরের মাঠে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট না হওয়ার কারণে পাকিস্তান ক্রিকেটের ক্রমাবনতি হয়েছে। মান নিচে নেমে গেছে। পাকিস্তান একটি প্রতিষ্ঠিত শক্তি। তাদেরই যদি এমন হয়, তাহলে আফগানিস্তানের ক্ষতির শঙ্কাটা আরও বেশি।’

আফগানিস্তান ক্রিকেটের সাফল্য ধরে রাখতে আইসিসির ভূমিকা খুব গুরুত্বপূর্ণ বলেই মনে করেন তিনি ,‘আইসিসিকে এগিয়ে আসতে হবে। বিশেষ করে আফগানিস্তানের মতো দেশগুলোকে তারা যদি কোচ দিয়ে সহায়তা করে তাহলে খুব  
info;Prothom-alo

Wednesday, May 11, 2016

রিয়ালের হার চান মেসি

রিয়ালের হার চান মেসি মাঠের লড়াইয়ে দুই দলের শত্রুতা অনেক দিনের। আর জাতিগত কিংবা রাজনৈতিক লড়াইয়ের হিসাবে সেটা আরো পুরনো। সব কিছু মিলিয়ে বার্সেলোনা ও রিয়াল মাদ্রিদের দ্বৈরথ ফুটবল বিশ্বের কাছে সবচেয়ে আকর্ষণীয় ম্যাচের একটি। চিরশত্রু বলেই কিনা রিয়ালের সাফল্য পছন্দ নয় বার্সেলোনার মহাতারকা লিওনেল মেসির। আর্জেন্টাইন খুদে জাদুকর জানিয়েছেন, চ্যাম্পিয়নস লিগের ফাইনালে ওঠা রিয়াল শিরোপাহীনভাবে মৌসুম শেষ করুক, এটাই চাওয়া তাঁর ক্লাবের সবার।

গত মৌসুমে রিয়াল একটি শিরোপাও জেতেনি। এবার অবশ্য চ্যাম্পিয়নস লিগ জয়ের ভালো সুযোগ তৈরি হয়েছে তাদের। ২০১৪ সালে ইউরোপিয়ান প্রতিযোগিতাটি জেতার পথে যাদের হারিয়েছিল, সেই অ্যাতলেতিকো মাদ্রিদ এবারও বাধা শিরোপার পথে। রিয়াল সমর্থকরা তাদের ‘উনদেসিমা’ জয়ের স্বপ্নে এখন বিভোর। চিরশত্রুদের আনন্দে খুশি হয় কী করে বার্সেলোনা সমর্থকরা! প্রত্যেক কাতালানের মনের কথাটা প্রকাশ পেল মেসির কণ্ঠে, ‘একদম পরিষ্কার কথা, বার্সেলোনার কেউই চায় না রিয়াল মাদ্রিদ কোনো কিছু জিতুক।’ বায়ার্ন মিউনিখকে হারিয়ে ফাইনালে নাম লেখানো অ্যাতলেতিকো কাতালান ক্লাবটিকে হারিয়েই উঠেছিল সেমিফাইনালে। এর পরও মেসি চাইছেন চ্যাম্পিয়নস লিগের শিরোপাটা যেন জেতে মাদ্রিদের ‘ছোট’রা, ‘বার্সেলোনা খুব খুশি হবে, যদি অ্যাতলেতিকো চ্যাম্পিয়নস লিগের ফাইনালে হারিয়ে দেয় তাদের (রিয়ালকে)। অ্যাতলেতিকো যা করেছে, তা সত্যি অসাধারণ, ওদের হারানো খুব কঠিন। অ্যাতলেতিকো কঠিন প্রতিপক্ষ, আর ওদের এই পারফরম্যান্সের কৃতিত্ব পাবেন (ডিয়েগো) সিমিওনে।’

ত্রিমুকুট জিতে গত মৌসুম শেষ করা বার্সেলোনার এবার সম্ভাবনা ছিল তিন শিরোপা জেতার। কিন্তু অ্যাতলেতিকোর বিপক্ষে হেরে চ্যাম্পিয়নস লিগ থেকে বিদায় নেওয়ায় ভেস্তে গেছে তা। অবশ্য ঘরোয়া ডাবল জেতার সুযোগ আছে এখনো। ২০১৫-১৬ মৌসুম সাফল্যময় করে রাখতে, দুটো শিরোপাই ঘরে তুলতে চান আর্জেন্টাইন অধিনায়ক, ‘চ্যাম্পিয়নস লিগ থেকে ছিটকে যাওয়াটা অনেক বড় ধাক্কা। প্রথম লেগে আমরা অ্যাতলেতিকোর চেয়ে অনেক ভালো জায়গায় ছিলাম, ওখানেই নিষ্পত্তি হয়ে যেতে পারত। কিন্তু পরে ভিসেন্তে কালদেরনের ফিরতি লেগে এলোমেলে হয়ে গেল সব।’ সঙ্গে যোগ করলেন, ‘এর পরও দারুণ হবে যদি আমরা লা লিগা ও কোপা দেল রে জিততে পারি, জানি সহজ হবে না। আমাদের সামনে এখন দুটো ফাইনাল, একটি লা লিগার, অন্যটি কোপা দেল রে।’ সেভিয়ার বিপক্ষে কাপ ফাইনালের আগেই লিগ শিরোপা নিশ্চিত হয়ে যাবে বার্সেলোনার, যদি বাকি থাকা ম্যাচটি জিতে নেয় লুই এনরিকের দল। মেসি তাই বললেন, ‘লা লিগায় অনেক পয়েন্ট হাতছাড়া করেছি, তবে সেটা পুষিয়েও নিয়েছি। এখনো সব কিছু আমাদের হাতে।
info
www.kalerkantho.com


মাঠের লড়াইয়ে দুই দলের শত্রুতা অনেক দিনের। আর জাতিগত কিংবা রাজনৈতিক লড়াইয়ের হিসাবে সেটা আরো পুরনো। সব কিছু মিলিয়ে বার্সেলোনা ও রিয়াল মাদ্রিদের দ্বৈরথ ফুটবল বিশ্বের কাছে সবচেয়ে আকর্ষণীয় ম্যাচের একটি। চিরশত্রু বলেই কিনা রিয়ালের সাফল্য পছন্দ নয় বার্সেলোনার মহাতারকা লিওনেল মেসির। আর্জেন্টাইন খুদে জাদুকর জানিয়েছেন, চ্যাম্পিয়নস লিগের ফাইনালে ওঠা রিয়াল শিরোপাহীনভাবে মৌসুম শেষ করুক, এটাই চাওয়া তাঁর ক্লাবের সবার।
গত মৌসুমে রিয়াল একটি শিরোপাও জেতেনি। এবার অবশ্য চ্যাম্পিয়নস লিগ জয়ের ভালো সুযোগ তৈরি হয়েছে তাদের। ২০১৪ সালে ইউরোপিয়ান প্রতিযোগিতাটি জেতার পথে যাদের হারিয়েছিল, সেই অ্যাতলেতিকো মাদ্রিদ এবারও বাধা শিরোপার পথে। রিয়াল সমর্থকরা তাদের ‘উনদেসিমা’ জয়ের স্বপ্নে এখন বিভোর। চিরশত্রুদের আনন্দে খুশি হয় কী করে বার্সেলোনা সমর্থকরা! প্রত্যেক কাতালানের মনের কথাটা প্রকাশ পেল মেসির কণ্ঠে, ‘একদম পরিষ্কার কথা, বার্সেলোনার কেউই চায় না রিয়াল মাদ্রিদ কোনো কিছু জিতুক।’ বায়ার্ন মিউনিখকে হারিয়ে ফাইনালে নাম লেখানো অ্যাতলেতিকো কাতালান ক্লাবটিকে হারিয়েই উঠেছিল সেমিফাইনালে। এর পরও মেসি চাইছেন চ্যাম্পিয়নস লিগের শিরোপাটা যেন জেতে মাদ্রিদের ‘ছোট’রা, ‘বার্সেলোনা খুব খুশি হবে, যদি অ্যাতলেতিকো চ্যাম্পিয়নস লিগের ফাইনালে হারিয়ে দেয় তাদের (রিয়ালকে)। অ্যাতলেতিকো যা করেছে, তা সত্যি অসাধারণ, ওদের হারানো খুব কঠিন। অ্যাতলেতিকো কঠিন প্রতিপক্ষ, আর ওদের এই পারফরম্যান্সের কৃতিত্ব পাবেন (ডিয়েগো) সিমিওনে।’
ত্রিমুকুট জিতে গত মৌসুম শেষ করা বার্সেলোনার এবার সম্ভাবনা ছিল তিন শিরোপা জেতার। কিন্তু অ্যাতলেতিকোর বিপক্ষে হেরে চ্যাম্পিয়নস লিগ থেকে বিদায় নেওয়ায় ভেস্তে গেছে তা। অবশ্য ঘরোয়া ডাবল জেতার সুযোগ আছে এখনো। ২০১৫-১৬ মৌসুম সাফল্যময় করে রাখতে, দুটো শিরোপাই ঘরে তুলতে চান আর্জেন্টাইন অধিনায়ক, ‘চ্যাম্পিয়নস লিগ থেকে ছিটকে যাওয়াটা অনেক বড় ধাক্কা। প্রথম লেগে আমরা অ্যাতলেতিকোর চেয়ে অনেক ভালো জায়গায় ছিলাম, ওখানেই নিষ্পত্তি হয়ে যেতে পারত। কিন্তু পরে ভিসেন্তে কালদেরনের ফিরতি লেগে এলোমেলে হয়ে গেল সব।’ সঙ্গে যোগ করলেন, ‘এর পরও দারুণ হবে যদি আমরা লা লিগা ও কোপা দেল রে জিততে পারি, জানি সহজ হবে না। আমাদের সামনে এখন দুটো ফাইনাল, একটি লা লিগার, অন্যটি কোপা দেল রে।’ সেভিয়ার বিপক্ষে কাপ ফাইনালের আগেই লিগ শিরোপা নিশ্চিত হয়ে যাবে বার্সেলোনার, যদি বাকি থাকা ম্যাচটি জিতে নেয় লুই এনরিকের দল। মেসি তাই বললেন, ‘লা লিগায় অনেক পয়েন্ট হাতছাড়া করেছি, তবে সেটা পুষিয়েও নিয়েছি। এখনো সব কিছু আমাদের হাতে।
- See more at: http://www.kalerkantho.com/print-edition/sports/2016/05/11/357156#sthash.y2qNeg2V.dpuf
মাঠের লড়াইয়ে দুই দলের শত্রুতা অনেক দিনের। আর জাতিগত কিংবা রাজনৈতিক লড়াইয়ের হিসাবে সেটা আরো পুরনো। সব কিছু মিলিয়ে বার্সেলোনা ও রিয়াল মাদ্রিদের দ্বৈরথ ফুটবল বিশ্বের কাছে সবচেয়ে আকর্ষণীয় ম্যাচের একটি। চিরশত্রু বলেই কিনা রিয়ালের সাফল্য পছন্দ নয় বার্সেলোনার মহাতারকা লিওনেল মেসির। আর্জেন্টাইন খুদে জাদুকর জানিয়েছেন, চ্যাম্পিয়নস লিগের ফাইনালে ওঠা রিয়াল শিরোপাহীনভাবে মৌসুম শেষ করুক, এটাই চাওয়া তাঁর ক্লাবের সবার।
গত মৌসুমে রিয়াল একটি শিরোপাও জেতেনি। এবার অবশ্য চ্যাম্পিয়নস লিগ জয়ের ভালো সুযোগ তৈরি হয়েছে তাদের। ২০১৪ সালে ইউরোপিয়ান প্রতিযোগিতাটি জেতার পথে যাদের হারিয়েছিল, সেই অ্যাতলেতিকো মাদ্রিদ এবারও বাধা শিরোপার পথে। রিয়াল সমর্থকরা তাদের ‘উনদেসিমা’ জয়ের স্বপ্নে এখন বিভোর। চিরশত্রুদের আনন্দে খুশি হয় কী করে বার্সেলোনা সমর্থকরা! প্রত্যেক কাতালানের মনের কথাটা প্রকাশ পেল মেসির কণ্ঠে, ‘একদম পরিষ্কার কথা, বার্সেলোনার কেউই চায় না রিয়াল মাদ্রিদ কোনো কিছু জিতুক।’ বায়ার্ন মিউনিখকে হারিয়ে ফাইনালে নাম লেখানো অ্যাতলেতিকো কাতালান ক্লাবটিকে হারিয়েই উঠেছিল সেমিফাইনালে। এর পরও মেসি চাইছেন চ্যাম্পিয়নস লিগের শিরোপাটা যেন জেতে মাদ্রিদের ‘ছোট’রা, ‘বার্সেলোনা খুব খুশি হবে, যদি অ্যাতলেতিকো চ্যাম্পিয়নস লিগের ফাইনালে হারিয়ে দেয় তাদের (রিয়ালকে)। অ্যাতলেতিকো যা করেছে, তা সত্যি অসাধারণ, ওদের হারানো খুব কঠিন। অ্যাতলেতিকো কঠিন প্রতিপক্ষ, আর ওদের এই পারফরম্যান্সের কৃতিত্ব পাবেন (ডিয়েগো) সিমিওনে।’
ত্রিমুকুট জিতে গত মৌসুম শেষ করা বার্সেলোনার এবার সম্ভাবনা ছিল তিন শিরোপা জেতার। কিন্তু অ্যাতলেতিকোর বিপক্ষে হেরে চ্যাম্পিয়নস লিগ থেকে বিদায় নেওয়ায় ভেস্তে গেছে তা। অবশ্য ঘরোয়া ডাবল জেতার সুযোগ আছে এখনো। ২০১৫-১৬ মৌসুম সাফল্যময় করে রাখতে, দুটো শিরোপাই ঘরে তুলতে চান আর্জেন্টাইন অধিনায়ক, ‘চ্যাম্পিয়নস লিগ থেকে ছিটকে যাওয়াটা অনেক বড় ধাক্কা। প্রথম লেগে আমরা অ্যাতলেতিকোর চেয়ে অনেক ভালো জায়গায় ছিলাম, ওখানেই নিষ্পত্তি হয়ে যেতে পারত। কিন্তু পরে ভিসেন্তে কালদেরনের ফিরতি লেগে এলোমেলে হয়ে গেল সব।’ সঙ্গে যোগ করলেন, ‘এর পরও দারুণ হবে যদি আমরা লা লিগা ও কোপা দেল রে জিততে পারি, জানি সহজ হবে না। আমাদের সামনে এখন দুটো ফাইনাল, একটি লা লিগার, অন্যটি কোপা দেল রে।’ সেভিয়ার বিপক্ষে কাপ ফাইনালের আগেই লিগ শিরোপা নিশ্চিত হয়ে যাবে বার্সেলোনার, যদি বাকি থাকা ম্যাচটি জিতে নেয় লুই এনরিকের দল। মেসি তাই বললেন, ‘লা লিগায় অনেক পয়েন্ট হাতছাড়া করেছি, তবে সেটা পুষিয়েও নিয়েছি। এখনো সব কিছু আমাদের হাতে।
- See more at: http://www.kalerkantho.com/print-edition/sports/2016/05/11/357156#sthash.y2qNeg2V.dpuf

৮ বছরে টানা ১৪৩ ম্যাচ খেলে ছুটিতে রায়না

১৪৩ ম্যাচ খেলে ছুটিতে রায়না। 
 ছুটিটা প্রাপ্যই ছিল সুরেশ রায়নার। নিজের জীবনের দারুণ একটা মুহূর্তেই সেই ছুটিটা নিলেন ভারতীয় ক্রিকেট দলের অন্যতম এই তারকা। আট বছরে টানা ১৪৩টি আইপিএল ম্যাচ খেলে অবশেষে অনাগত সন্তানের জন্ম মুহূর্ত উদযাপন করতে ছুটি নিয়েছেন তিনি।
ব্যাপারটা কিন্তু চমকে দেওয়ার মতোই। ২০০৮ সালে আইপিএলের প্রথম আসর থেকে এই পর্যন্ত চেন্নাই সুপার কিংস ও গুজরাট লায়নসের হয়ে রায়না খেলেছেন মোট ১৪৩টি আইপিএল ম্যাচ। গত আট বছরে একটি ম্যাচেও তিনি বাদ পড়েননি কিংবা বিশ্রামে যাননি। চেন্নাইয়ের হয়ে খেলেছেন ১৩২টি ম্যাচ। এ বছর চেন্নাই আইপিএলে নিষিদ্ধ থাকায় তাঁর নতুন দল গুজরাট। সে দলের হয়েও এরই মধ্যে খেলেছেন ১১ ম্যাচ।
কলকাতা নাইট রাইডার্সের বিপক্ষে গুজরাটের ৫ উইকেট জয়ের ম্যাচটা খেলেই হল্যান্ড উড়ে গেছেন তিনি। তাঁর স্ত্রী প্রিয়াঙ্কা যেকোনো দিন জন্ম দেবেন তাঁদের প্রথম সন্তান। ব্যাপারটা নিয়ে দারুণ রোমাঞ্চিত রায়না। রায়নার দলও আইপিএলে ভালো করছে। এর আগে ধোনির নেতৃত্বে চেন্নাই সুপার কিংসের হয়ে খেলতেন। চেন্নাই নিষিদ্ধ হওয়ায় ধোনি আর রায়না আলাদা দুটি দলে খেলছেন। রায়নার নেতৃত্বে নতুন দলটি দুর্দান্ত করছে। কিন্তু ধোনি নতুন দলে পুরোনো জাদু দেখাতে পারছেন না।
রায়নার সব মিলিয়েই কাটছে দারুণ সময়। তবে প্রথমবারের মতো বাবা হওয়ার সঙ্গে বাকি কিছুর তুলনায় নিশ্চয়ই হয় না! সূত্র: পিটিআই।
info: Prothom-alo

Monday, May 9, 2016

লড়াইয়ে এখন শুধু বার্সা-রিয়াল

লড়াইয়ে এখন শুধু বার্সা-রিয়াল 
 শেষ রাউন্ডেই হবে লা লিগার শিরোপা নিষ্পত্তি। যে লড়াইটা এখন শুধু বার্সেলোনার সঙ্গে রিয়াল মাদ্রিদের। লেভান্তের মাঠে শেষ মিনিটে গোল হজম করে হেরে যাওয়ায় শিরোপা রেস থেকে ছিটকে পড়েছে যে অ্যাতলেতিকো মাদ্রিদ।

এস্প্যানিওলকে গোলবন্যায় ভাসিয়ে ৫-০ গোলের বিশাল জয়ে শিরোপার সুবাসই পাচ্ছে বার্সেলোনা। আগামী শনিবার গ্রানাদার মাঠে জিতলেই উৎসবে ভাসবে লুই এনরিকের শিষ্যরা। অবশ্য কাতালানরা যদি হেরে যায় কিংবা ড্র করে তখন দেপোর্তিভো লা করুনাকে হারাতে পারলে লিগ ট্রফি চলে যাবে সান্তিয়াগো বার্নাব্যুতে। এক রাউন্ডের খেলা বাকি থাকতে ৮৮ পয়েন্ট নিয়ে শীর্ষে লুই এনরিকের দল। ভ্যালেন্সিয়ার বিপক্ষে ৩-২ গোলে জিতে তাদের চেয়ে এক পয়েন্ট পেছনেই আছে মাদ্রিদের অভিজাতরা। আর লেভান্তের বিপক্ষে ২-১ গোলে হেরে রেস থেকে ছিটকে পড়া অ্যাতলেতিকোর পয়েন্ট ৮৫।

ন্যু ক্যাম্পের ম্যাচে অষ্টম মিনিটে ফ্রি-কিকে চমত্কার গোল করে বার্সাকে এগিয়ে নেন লিওনেল মেসি। প্রথমার্ধে গোল ওই একটিই। এরপর দ্বিতীয়ার্ধে ৯ মিনিটের ব্যবধানে লুই সুয়ারেস জোড়া গোল করলে কাতালানদের জয়টা নিশ্চিতই হয়ে যায়!  এরপর রাফিনহা এবং নেইমারের লক্ষ্যভেদে ব্যবধানটা শুধু বেড়েছে। মেসির বাড়ানো পাসে প্লেসিং শটে লক্ষ্যভেদ করার খানিকটা পরে নেইমারের কর্নারে হেডে নিজের দ্বিতীয় গোল করেছেন উরুগুয়ে ফরোয়ার্ড। লিগে এবারের মৌসুমে সুয়ারেসের এটা ৩৭তম গোল। মিনিট দশেক পরে এস্পানিওল গোলরক্ষক পাউ লোপেজের ভুলে মাঠে নেমে নিজের প্রথম শটেই গোল করেছেন রাফিনহা। আর শেষ পেরেকটা ঠুকেছেন নেইমার।

লেভান্তের মাঠে শুরুটা স্বপ্নিল হয়েছিল বার্সার সমান পয়েন্ট নিয়ে মাঠে নামা অ্যাতলেতিকোরও। ম্যাচের দ্বিতীয় মিনিটেই ফের্নান্দো তোরেসের লক্ষ্যভেদে উৎসবে ভাসে চ্যাম্পিয়নস লিগের ফাইনালিস্টরা। তখন কেউ কি ভেবেছিল এই ম্যাচের গল্পটা একেবারে ভিন্নভাবে লিখতে হবে। বিরতির আগেই অবশ্য ভিক্তোর ক্যাসাদেসুসের গোলে সমতা ফেরায় লেভান্তে। এরপর আর কোনো দলই গোল করতে পারছিল না। যখন মনে হচ্ছিল ম্যাচের নিয়তি সম্ভবত ড্র-ই, ঠিক তখন জিয়ুসপি রসির গোল। সিমিওনের শিষ্যদের হৃদয় ভেঙে চুরমার! ৯০ মিনিটে করা রসির ওই গোলেই যে এবারের মৌসুমে লিগ শিরোপা জয়ের স্বপ্ন একেবারে বিলীন হয়ে গেছে অ্যাতলেতিকোর। তবে সান্তিয়াগো বার্নাব্যুতে ভ্যালেন্সিয়ার বিপক্ষে জিতে শিরোপা জয়ের সম্ভাবনা এখনো বাঁচিয়ে রেখেছে আগামী ২৯ মে চ্যাম্পিয়নস লিগ ফাইনালে তাদের প্রতিপক্ষ রিয়াল। ২৬ মিনিটে রোনালদোর গোলে এগিয়ে যায় ‘লস ব্লাংকোস’। মাঝবিরতির বাঁশি বাজার কয়েক মুহূর্ত আগে ব্যবধান দ্বিগুণ করেছেন করিম বেনজিমা। দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতে রোদ্রিগো ভ্যালেন্সিয়ার হয়ে একটি গোল শোধ দেন। চার মিনিট পরই রোনালদো নিজের দ্বিতীয় গোল করলে ব্যবধান হয় ৩-১। শেষ দিকে আন্দ্রে গোমেজ গোল করে ম্যাচটা জমিয়ে তুললেও রিয়ালকে পূর্ণ তিন পয়েন্ট থেকে বঞ্চিত করতে পারেনি ভ্যালেন্সিয়া।

ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগে শীর্ষ চারে থেকে মৌসুম শেষ করে আগামী মৌসুমে চ্যাম্পিয়নস লিগে যোগ্যতা অর্জনের গুরুত্বপূর্ণ লড়াইয়ে আর্সেনালের সঙ্গে ২-২ গোলে ড্র করেছে ম্যানচেস্টার সিটি। ইতিহাদ স্টেডিয়ামে অষ্টম মিনিটে গোল করে সিটিজেনদের উৎসবে ভাসান সের্হিয়ো আগুয়েরো। তাদের ওই উৎসব যদিও মুহূর্তেই মিলিয়ে যায় দশম মিনিটে অলিভিয়ের জিরোদ গানারদের হয়ে সমতা ফেরালে। দ্বিতীয়ার্ধের শুরতে ডি ব্রুইন আবার এগিয়ে দেন ম্যানচেস্টারের ক্লাবটিকে। এ উৎসবও খানিকটা পরে মাটি করে দিয়ে আর্সেনালের হয়ে সমতা ফেরান অ্যালেক্সিজ সানচেস। এ ড্রয়ে তিনে থাকা আর্সেনালের পয়েন্ট ৬৮, সমান ৩৭ ম্যাচে সিটিজেনদের অর্জন ৬৫। এক ম্যাচ কম খেলা তাদের প্রতিবেশী ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড ৬৩ পয়েন্ট নিয়ে রয়েছে পাঁচে। রাতের অন্য ম্যাচে লিভারপুল ২-০ গোলে হারিয়েছে ওয়াটফোর্ডকে। আর নিজ মাঠে সাউদাম্পটনের বিপক্ষে ২-১ গোলে হেরে গেছে দ্বিতীয় স্থানে থাকা টটেনহাম।
info

www.kalerkantho.com
শেষ রাউন্ডেই হবে লা লিগার শিরোপা নিষ্পত্তি। যে লড়াইটা এখন শুধু বার্সেলোনার সঙ্গে রিয়াল মাদ্রিদের। লেভান্তের মাঠে শেষ মিনিটে গোল হজম করে হেরে যাওয়ায় শিরোপা রেস থেকে ছিটকে পড়েছে যে অ্যাতলেতিকো মাদ্রিদ।
এস্প্যানিওলকে গোলবন্যায় ভাসিয়ে ৫-০ গোলের বিশাল জয়ে শিরোপার সুবাসই পাচ্ছে বার্সেলোনা। আগামী শনিবার গ্রানাদার মাঠে জিতলেই উৎসবে ভাসবে লুই এনরিকের শিষ্যরা। অবশ্য কাতালানরা যদি হেরে যায় কিংবা ড্র করে তখন দেপোর্তিভো লা করুনাকে হারাতে পারলে লিগ ট্রফি চলে যাবে সান্তিয়াগো বার্নাব্যুতে। এক রাউন্ডের খেলা বাকি থাকতে ৮৮ পয়েন্ট নিয়ে শীর্ষে লুই এনরিকের দল। ভ্যালেন্সিয়ার বিপক্ষে ৩-২ গোলে জিতে তাদের চেয়ে এক পয়েন্ট পেছনেই আছে মাদ্রিদের অভিজাতরা। আর লেভান্তের বিপক্ষে ২-১ গোলে হেরে রেস থেকে ছিটকে পড়া অ্যাতলেতিকোর পয়েন্ট ৮৫।
ন্যু ক্যাম্পের ম্যাচে অষ্টম মিনিটে ফ্রি-কিকে চমত্কার গোল করে বার্সাকে এগিয়ে নেন লিওনেল মেসি। প্রথমার্ধে গোল ওই একটিই। এরপর দ্বিতীয়ার্ধে ৯ মিনিটের ব্যবধানে লুই সুয়ারেস জোড়া গোল করলে কাতালানদের জয়টা নিশ্চিতই হয়ে যায়!  এরপর রাফিনহা এবং নেইমারের লক্ষ্যভেদে ব্যবধানটা শুধু বেড়েছে। মেসির বাড়ানো পাসে প্লেসিং শটে লক্ষ্যভেদ করার খানিকটা পরে নেইমারের কর্নারে হেডে নিজের দ্বিতীয় গোল করেছেন উরুগুয়ে ফরোয়ার্ড। লিগে এবারের মৌসুমে সুয়ারেসের এটা ৩৭তম গোল। মিনিট দশেক পরে এস্পানিওল গোলরক্ষক পাউ লোপেজের ভুলে মাঠে নেমে নিজের প্রথম শটেই গোল করেছেন রাফিনহা। আর শেষ পেরেকটা ঠুকেছেন নেইমার।
লেভান্তের মাঠে শুরুটা স্বপ্নিল হয়েছিল বার্সার সমান পয়েন্ট নিয়ে মাঠে নামা অ্যাতলেতিকোরও। ম্যাচের দ্বিতীয় মিনিটেই ফের্নান্দো তোরেসের লক্ষ্যভেদে উৎসবে ভাসে চ্যাম্পিয়নস লিগের ফাইনালিস্টরা। তখন কেউ কি ভেবেছিল এই ম্যাচের গল্পটা একেবারে ভিন্নভাবে লিখতে হবে। বিরতির আগেই অবশ্য ভিক্তোর ক্যাসাদেসুসের গোলে সমতা ফেরায় লেভান্তে। এরপর আর কোনো দলই গোল করতে পারছিল না। যখন মনে হচ্ছিল ম্যাচের নিয়তি সম্ভবত ড্র-ই, ঠিক তখন জিয়ুসপি রসির গোল। সিমিওনের শিষ্যদের হৃদয় ভেঙে চুরমার! ৯০ মিনিটে করা রসির ওই গোলেই যে এবারের মৌসুমে লিগ শিরোপা জয়ের স্বপ্ন একেবারে বিলীন হয়ে গেছে অ্যাতলেতিকোর। তবে সান্তিয়াগো বার্নাব্যুতে ভ্যালেন্সিয়ার বিপক্ষে জিতে শিরোপা জয়ের সম্ভাবনা এখনো বাঁচিয়ে রেখেছে আগামী ২৯ মে চ্যাম্পিয়নস লিগ ফাইনালে তাদের প্রতিপক্ষ রিয়াল। ২৬ মিনিটে রোনালদোর গোলে এগিয়ে যায় ‘লস ব্লাংকোস’। মাঝবিরতির বাঁশি বাজার কয়েক মুহূর্ত আগে ব্যবধান দ্বিগুণ করেছেন করিম বেনজিমা। দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতে রোদ্রিগো ভ্যালেন্সিয়ার হয়ে একটি গোল শোধ দেন। চার মিনিট পরই রোনালদো নিজের দ্বিতীয় গোল করলে ব্যবধান হয় ৩-১। শেষ দিকে আন্দ্রে গোমেজ গোল করে ম্যাচটা জমিয়ে তুললেও রিয়ালকে পূর্ণ তিন পয়েন্ট থেকে বঞ্চিত করতে পারেনি ভ্যালেন্সিয়া।
ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগে শীর্ষ চারে থেকে মৌসুম শেষ করে আগামী মৌসুমে চ্যাম্পিয়নস লিগে যোগ্যতা অর্জনের গুরুত্বপূর্ণ লড়াইয়ে আর্সেনালের সঙ্গে ২-২ গোলে ড্র করেছে ম্যানচেস্টার সিটি। ইতিহাদ স্টেডিয়ামে অষ্টম মিনিটে গোল করে সিটিজেনদের উৎসবে ভাসান সের্হিয়ো আগুয়েরো। তাদের ওই উৎসব যদিও মুহূর্তেই মিলিয়ে যায় দশম মিনিটে অলিভিয়ের জিরোদ গানারদের হয়ে সমতা ফেরালে। দ্বিতীয়ার্ধের শুরতে ডি ব্রুইন আবার এগিয়ে দেন ম্যানচেস্টারের ক্লাবটিকে। এ উৎসবও খানিকটা পরে মাটি করে দিয়ে আর্সেনালের হয়ে সমতা ফেরান অ্যালেক্সিজ সানচেস। এ ড্রয়ে তিনে থাকা আর্সেনালের পয়েন্ট ৬৮, সমান ৩৭ ম্যাচে সিটিজেনদের অর্জন ৬৫। এক ম্যাচ কম খেলা তাদের প্রতিবেশী ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড ৬৩ পয়েন্ট নিয়ে রয়েছে পাঁচে। রাতের অন্য ম্যাচে লিভারপুল ২-০ গোলে হারিয়েছে ওয়াটফোর্ডকে। আর নিজ মাঠে সাউদাম্পটনের বিপক্ষে ২-১ গোলে হেরে গেছে দ্বিতীয় স্থানে থাকা টটেনহাম।
- See more at: http://www.kalerkantho.com/print-edition/sports/2016/05/09/356326#sthash.C51tQmyg.dpuf
শেষ রাউন্ডেই হবে লা লিগার শিরোপা নিষ্পত্তি। যে লড়াইটা এখন শুধু বার্সেলোনার সঙ্গে রিয়াল মাদ্রিদের। লেভান্তের মাঠে শেষ মিনিটে গোল হজম করে হেরে যাওয়ায় শিরোপা রেস থেকে ছিটকে পড়েছে যে অ্যাতলেতিকো মাদ্রিদ।
এস্প্যানিওলকে গোলবন্যায় ভাসিয়ে ৫-০ গোলের বিশাল জয়ে শিরোপার সুবাসই পাচ্ছে বার্সেলোনা। আগামী শনিবার গ্রানাদার মাঠে জিতলেই উৎসবে ভাসবে লুই এনরিকের শিষ্যরা। অবশ্য কাতালানরা যদি হেরে যায় কিংবা ড্র করে তখন দেপোর্তিভো লা করুনাকে হারাতে পারলে লিগ ট্রফি চলে যাবে সান্তিয়াগো বার্নাব্যুতে। এক রাউন্ডের খেলা বাকি থাকতে ৮৮ পয়েন্ট নিয়ে শীর্ষে লুই এনরিকের দল। ভ্যালেন্সিয়ার বিপক্ষে ৩-২ গোলে জিতে তাদের চেয়ে এক পয়েন্ট পেছনেই আছে মাদ্রিদের অভিজাতরা। আর লেভান্তের বিপক্ষে ২-১ গোলে হেরে রেস থেকে ছিটকে পড়া অ্যাতলেতিকোর পয়েন্ট ৮৫।
ন্যু ক্যাম্পের ম্যাচে অষ্টম মিনিটে ফ্রি-কিকে চমত্কার গোল করে বার্সাকে এগিয়ে নেন লিওনেল মেসি। প্রথমার্ধে গোল ওই একটিই। এরপর দ্বিতীয়ার্ধে ৯ মিনিটের ব্যবধানে লুই সুয়ারেস জোড়া গোল করলে কাতালানদের জয়টা নিশ্চিতই হয়ে যায়!  এরপর রাফিনহা এবং নেইমারের লক্ষ্যভেদে ব্যবধানটা শুধু বেড়েছে। মেসির বাড়ানো পাসে প্লেসিং শটে লক্ষ্যভেদ করার খানিকটা পরে নেইমারের কর্নারে হেডে নিজের দ্বিতীয় গোল করেছেন উরুগুয়ে ফরোয়ার্ড। লিগে এবারের মৌসুমে সুয়ারেসের এটা ৩৭তম গোল। মিনিট দশেক পরে এস্পানিওল গোলরক্ষক পাউ লোপেজের ভুলে মাঠে নেমে নিজের প্রথম শটেই গোল করেছেন রাফিনহা। আর শেষ পেরেকটা ঠুকেছেন নেইমার।
লেভান্তের মাঠে শুরুটা স্বপ্নিল হয়েছিল বার্সার সমান পয়েন্ট নিয়ে মাঠে নামা অ্যাতলেতিকোরও। ম্যাচের দ্বিতীয় মিনিটেই ফের্নান্দো তোরেসের লক্ষ্যভেদে উৎসবে ভাসে চ্যাম্পিয়নস লিগের ফাইনালিস্টরা। তখন কেউ কি ভেবেছিল এই ম্যাচের গল্পটা একেবারে ভিন্নভাবে লিখতে হবে। বিরতির আগেই অবশ্য ভিক্তোর ক্যাসাদেসুসের গোলে সমতা ফেরায় লেভান্তে। এরপর আর কোনো দলই গোল করতে পারছিল না। যখন মনে হচ্ছিল ম্যাচের নিয়তি সম্ভবত ড্র-ই, ঠিক তখন জিয়ুসপি রসির গোল। সিমিওনের শিষ্যদের হৃদয় ভেঙে চুরমার! ৯০ মিনিটে করা রসির ওই গোলেই যে এবারের মৌসুমে লিগ শিরোপা জয়ের স্বপ্ন একেবারে বিলীন হয়ে গেছে অ্যাতলেতিকোর। তবে সান্তিয়াগো বার্নাব্যুতে ভ্যালেন্সিয়ার বিপক্ষে জিতে শিরোপা জয়ের সম্ভাবনা এখনো বাঁচিয়ে রেখেছে আগামী ২৯ মে চ্যাম্পিয়নস লিগ ফাইনালে তাদের প্রতিপক্ষ রিয়াল। ২৬ মিনিটে রোনালদোর গোলে এগিয়ে যায় ‘লস ব্লাংকোস’। মাঝবিরতির বাঁশি বাজার কয়েক মুহূর্ত আগে ব্যবধান দ্বিগুণ করেছেন করিম বেনজিমা। দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতে রোদ্রিগো ভ্যালেন্সিয়ার হয়ে একটি গোল শোধ দেন। চার মিনিট পরই রোনালদো নিজের দ্বিতীয় গোল করলে ব্যবধান হয় ৩-১। শেষ দিকে আন্দ্রে গোমেজ গোল করে ম্যাচটা জমিয়ে তুললেও রিয়ালকে পূর্ণ তিন পয়েন্ট থেকে বঞ্চিত করতে পারেনি ভ্যালেন্সিয়া।
ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগে শীর্ষ চারে থেকে মৌসুম শেষ করে আগামী মৌসুমে চ্যাম্পিয়নস লিগে যোগ্যতা অর্জনের গুরুত্বপূর্ণ লড়াইয়ে আর্সেনালের সঙ্গে ২-২ গোলে ড্র করেছে ম্যানচেস্টার সিটি। ইতিহাদ স্টেডিয়ামে অষ্টম মিনিটে গোল করে সিটিজেনদের উৎসবে ভাসান সের্হিয়ো আগুয়েরো। তাদের ওই উৎসব যদিও মুহূর্তেই মিলিয়ে যায় দশম মিনিটে অলিভিয়ের জিরোদ গানারদের হয়ে সমতা ফেরালে। দ্বিতীয়ার্ধের শুরতে ডি ব্রুইন আবার এগিয়ে দেন ম্যানচেস্টারের ক্লাবটিকে। এ উৎসবও খানিকটা পরে মাটি করে দিয়ে আর্সেনালের হয়ে সমতা ফেরান অ্যালেক্সিজ সানচেস। এ ড্রয়ে তিনে থাকা আর্সেনালের পয়েন্ট ৬৮, সমান ৩৭ ম্যাচে সিটিজেনদের অর্জন ৬৫। এক ম্যাচ কম খেলা তাদের প্রতিবেশী ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড ৬৩ পয়েন্ট নিয়ে রয়েছে পাঁচে। রাতের অন্য ম্যাচে লিভারপুল ২-০ গোলে হারিয়েছে ওয়াটফোর্ডকে। আর নিজ মাঠে সাউদাম্পটনের বিপক্ষে ২-১ গোলে হেরে গেছে দ্বিতীয় স্থানে থাকা টটেনহাম।
- See more at: http://www.kalerkantho.com/print-edition/sports/2016/05/09/356326#sthash.C51tQmyg.dpuf

তিন শিকারে তিনে মুস্তাফিজ

তিন শিকারে তিনে মুস্তাফিজ
টানা তিন ম্যাচ জিতে আকাশেই উড়ছিল মুম্বাই ইন্ডিয়ানস। কিন্তু ‘অচেনা ঘরের মাঠে’ গতকাল পড়ল মুখ থুবড়ে। মহারাষ্ট্র থেকে আইপিএল সরে যাওয়ায় মুম্বাইয়ের ঘরের মাঠ এখন বিশাখাপত্তনম। সেখানে খেলা প্রথম ম্যাচে সানরাইজার্স হায়দরাবাদের কাছে রোহিত শর্মার দল হেরেছে ৮৫ রানে। হায়দরাবাদের ১৭৭ রানের জবাবে মুম্বাই গুটিয়ে গেছে মাত্র ৯২ রানে। এই জয়ে সাময়িকভাবে পয়েন্ট টেবিলের শীর্ষে উঠে আসে মুস্তাফিজুর রহমানের হায়দরাবাদ। তবে পরের ম্যাচে কলকাতা নাইট রাইডার্সকে ৫ উইকেটে হারিয়ে আবার শীর্ষে ফিরেছে গুজরাট লায়ন্স।
গতকাল ৩ উইকেট নিয়ে আইপিএলের এবারের আসরে তৃতীয় সর্বোচ্চ উইকেট এখন বাংলাদেশি কাটার মাস্টারের। ১০ ম্যাচে মুম্বাইয়ের মিচেল ম্যাকক্লেনাঘনের উইকেট ১৪টি, সমান ১৪ উইকেট এখন আন্দ্রে রাসেলেরও। মুস্তাফিজের উইকেট ১৩টি। সমান ১৩ উইকেট হায়দরাবাদের ভুবনেশ্বর কুমারেরও। পরের ম্যাচে সাকিব আল হাসান ৪৯ বলে ৪টি চার ও ৪টি ছক্কায় অপরাজিত ৬৬ রানের পর বল হাতে একটি উইকেট নিয়েও জেতাতে পারেননি কলকাতাকে। কলকাতার ১৫৮ রান দুই ওভার বাকি থাকতে টপকে গেছে গুজরাট।
হায়দরাবাদের ম্যাচ মানেই মুস্তাফিজুর রহমানের বিস্ময়। ইয়র্কার, কাটার, স্লোয়ারের বিষে বিপক্ষকে নীল করা। তাঁর জন্যই হায়দরাবাদের ম্যাচের টিআরপি বাড়ে হু-হু করে। তবে গতকাল মুস্তাফিজ বল হাতে নেওয়ার আগেই ৬ উইকেট হারিয়ে বসে মুম্বাই। ৩ ওভারে ১৫ রানে ৩ উইকেট নিয়ে টপ অর্ডার গুঁড়িয়ে দিয়েছিলেন ম্যাচ সেরা আশিস নেহরা। দশম ওভারে আক্রমণে এসে প্রথম বলেই হার্দিক পাণ্ডেকে উইকেটের পেছনে ক্যাচ বানান মুস্তাফিজ। এরপর তুলে নেন টিম সাউদি আর মিচেল ম্যাকক্লেনাঘনের উইকেট। ৩ ওভারে ১৬ রানে ৩ উইকেট নেওয়া মুস্তাফিজ বল পাননি আর।
গতকাল টস হেরে ব্যাট করতে নেমে শিখর ধাওয়ানের ৫৭ বলে ৮২*, ডেভিড ওয়ার্নারের ৩৩ বলে ৪৮ আর যুবরাজ সিংয়ের ২৩ বলে ৩৯-এ ৩ উইকেটে ১৭৭ করেছিল হায়দরাবাদ। গুজরাটের বিপক্ষে আগের ম্যাচে ৪৭ রানে অপরাজিত থাকা ধাওয়ান নিজের চেনা ছন্দেই ছিলেন গতকাল। অপরাজিত ৮২ রানের ইনিংসে বাউন্ডারি ১০ আর ছক্কা ছিল ১টি। হরভজন সিং ২৯ রানে নেন ২ উইকেট। টপ অর্ডারের ব্যর্থতায় সেই হরভজনই মুম্বাইয়ের হয়ে করেন সর্বোচ্চ ২১। কিয়েরন পোলার্ড ১১, রোহিত শর্মা ৫, জস বাটলার ফেরেন ২ রানে। ক্রিকইনফো
- See more at: http://www.kalerkantho.com/print-edition/sports/2016/05/09/356324#sthash.0P40IBVt.dpuf

টানা তিন ম্যাচ জিতে আকাশেই উড়ছিল মুম্বাই ইন্ডিয়ানস। কিন্তু ‘অচেনা ঘরের মাঠে’ গতকাল পড়ল মুখ থুবড়ে। মহারাষ্ট্র থেকে আইপিএল সরে যাওয়ায় মুম্বাইয়ের ঘরের মাঠ এখন বিশাখাপত্তনম। সেখানে খেলা প্রথম ম্যাচে সানরাইজার্স হায়দরাবাদের কাছে রোহিত শর্মার দল হেরেছে ৮৫ রানে। হায়দরাবাদের ১৭৭ রানের জবাবে মুম্বাই গুটিয়ে গেছে মাত্র ৯২ রানে। এই জয়ে সাময়িকভাবে পয়েন্ট টেবিলের শীর্ষে উঠে আসে মুস্তাফিজুর রহমানের হায়দরাবাদ। তবে পরের ম্যাচে কলকাতা নাইট রাইডার্সকে ৫ উইকেটে হারিয়ে আবার শীর্ষে ফিরেছে গুজরাট লায়ন্স।

গতকাল ৩ উইকেট নিয়ে আইপিএলের এবারের আসরে তৃতীয় সর্বোচ্চ উইকেট এখন বাংলাদেশি কাটার মাস্টারের। ১০ ম্যাচে মুম্বাইয়ের মিচেল ম্যাকক্লেনাঘনের উইকেট ১৪টি, সমান ১৪ উইকেট এখন আন্দ্রে রাসেলেরও। মুস্তাফিজের উইকেট ১৩টি। সমান ১৩ উইকেট হায়দরাবাদের ভুবনেশ্বর কুমারেরও। পরের ম্যাচে সাকিব আল হাসান ৪৯ বলে ৪টি চার ও ৪টি ছক্কায় অপরাজিত ৬৬ রানের পর বল হাতে একটি উইকেট নিয়েও জেতাতে পারেননি কলকাতাকে। কলকাতার ১৫৮ রান দুই ওভার বাকি থাকতে টপকে গেছে গুজরাট।

হায়দরাবাদের ম্যাচ মানেই মুস্তাফিজুর রহমানের বিস্ময়। ইয়র্কার, কাটার, স্লোয়ারের বিষে বিপক্ষকে নীল করা। তাঁর জন্যই হায়দরাবাদের ম্যাচের টিআরপি বাড়ে হু-হু করে। তবে গতকাল মুস্তাফিজ বল হাতে নেওয়ার আগেই ৬ উইকেট হারিয়ে বসে মুম্বাই। ৩ ওভারে ১৫ রানে ৩ উইকেট নিয়ে টপ অর্ডার গুঁড়িয়ে দিয়েছিলেন ম্যাচ সেরা আশিস নেহরা। দশম ওভারে আক্রমণে এসে প্রথম বলেই হার্দিক পাণ্ডেকে উইকেটের পেছনে ক্যাচ বানান মুস্তাফিজ। এরপর তুলে নেন টিম সাউদি আর মিচেল ম্যাকক্লেনাঘনের উইকেট। ৩ ওভারে ১৬ রানে ৩ উইকেট নেওয়া মুস্তাফিজ বল পাননি আর।

গতকাল টস হেরে ব্যাট করতে নেমে শিখর ধাওয়ানের ৫৭ বলে ৮২*, ডেভিড ওয়ার্নারের ৩৩ বলে ৪৮ আর যুবরাজ সিংয়ের ২৩ বলে ৩৯-এ ৩ উইকেটে ১৭৭ করেছিল হায়দরাবাদ। গুজরাটের বিপক্ষে আগের ম্যাচে ৪৭ রানে অপরাজিত থাকা ধাওয়ান নিজের চেনা ছন্দেই ছিলেন গতকাল। অপরাজিত ৮২ রানের ইনিংসে বাউন্ডারি ১০ আর ছক্কা ছিল ১টি। হরভজন সিং ২৯ রানে নেন ২ উইকেট। টপ অর্ডারের ব্যর্থতায় সেই হরভজনই মুম্বাইয়ের হয়ে করেন সর্বোচ্চ ২১। কিয়েরন পোলার্ড ১১, রোহিত শর্মা ৫, জস বাটলার ফেরেন ২ রানে। ক্রিকইনফো
info
www.kalerkantho.com
টানা তিন ম্যাচ জিতে আকাশেই উড়ছিল মুম্বাই ইন্ডিয়ানস। কিন্তু ‘অচেনা ঘরের মাঠে’ গতকাল পড়ল মুখ থুবড়ে। মহারাষ্ট্র থেকে আইপিএল সরে যাওয়ায় মুম্বাইয়ের ঘরের মাঠ এখন বিশাখাপত্তনম। সেখানে খেলা প্রথম ম্যাচে সানরাইজার্স হায়দরাবাদের কাছে রোহিত শর্মার দল হেরেছে ৮৫ রানে। হায়দরাবাদের ১৭৭ রানের জবাবে মুম্বাই গুটিয়ে গেছে মাত্র ৯২ রানে। এই জয়ে সাময়িকভাবে পয়েন্ট টেবিলের শীর্ষে উঠে আসে মুস্তাফিজুর রহমানের হায়দরাবাদ। তবে পরের ম্যাচে কলকাতা নাইট রাইডার্সকে ৫ উইকেটে হারিয়ে আবার শীর্ষে ফিরেছে গুজরাট লায়ন্স।
গতকাল ৩ উইকেট নিয়ে আইপিএলের এবারের আসরে তৃতীয় সর্বোচ্চ উইকেট এখন বাংলাদেশি কাটার মাস্টারের। ১০ ম্যাচে মুম্বাইয়ের মিচেল ম্যাকক্লেনাঘনের উইকেট ১৪টি, সমান ১৪ উইকেট এখন আন্দ্রে রাসেলেরও। মুস্তাফিজের উইকেট ১৩টি। সমান ১৩ উইকেট হায়দরাবাদের ভুবনেশ্বর কুমারেরও। পরের ম্যাচে সাকিব আল হাসান ৪৯ বলে ৪টি চার ও ৪টি ছক্কায় অপরাজিত ৬৬ রানের পর বল হাতে একটি উইকেট নিয়েও জেতাতে পারেননি কলকাতাকে। কলকাতার ১৫৮ রান দুই ওভার বাকি থাকতে টপকে গেছে গুজরাট।
হায়দরাবাদের ম্যাচ মানেই মুস্তাফিজুর রহমানের বিস্ময়। ইয়র্কার, কাটার, স্লোয়ারের বিষে বিপক্ষকে নীল করা। তাঁর জন্যই হায়দরাবাদের ম্যাচের টিআরপি বাড়ে হু-হু করে। তবে গতকাল মুস্তাফিজ বল হাতে নেওয়ার আগেই ৬ উইকেট হারিয়ে বসে মুম্বাই। ৩ ওভারে ১৫ রানে ৩ উইকেট নিয়ে টপ অর্ডার গুঁড়িয়ে দিয়েছিলেন ম্যাচ সেরা আশিস নেহরা। দশম ওভারে আক্রমণে এসে প্রথম বলেই হার্দিক পাণ্ডেকে উইকেটের পেছনে ক্যাচ বানান মুস্তাফিজ। এরপর তুলে নেন টিম সাউদি আর মিচেল ম্যাকক্লেনাঘনের উইকেট। ৩ ওভারে ১৬ রানে ৩ উইকেট নেওয়া মুস্তাফিজ বল পাননি আর।
গতকাল টস হেরে ব্যাট করতে নেমে শিখর ধাওয়ানের ৫৭ বলে ৮২*, ডেভিড ওয়ার্নারের ৩৩ বলে ৪৮ আর যুবরাজ সিংয়ের ২৩ বলে ৩৯-এ ৩ উইকেটে ১৭৭ করেছিল হায়দরাবাদ। গুজরাটের বিপক্ষে আগের ম্যাচে ৪৭ রানে অপরাজিত থাকা ধাওয়ান নিজের চেনা ছন্দেই ছিলেন গতকাল। অপরাজিত ৮২ রানের ইনিংসে বাউন্ডারি ১০ আর ছক্কা ছিল ১টি। হরভজন সিং ২৯ রানে নেন ২ উইকেট। টপ অর্ডারের ব্যর্থতায় সেই হরভজনই মুম্বাইয়ের হয়ে করেন সর্বোচ্চ ২১। কিয়েরন পোলার্ড ১১, রোহিত শর্মা ৫, জস বাটলার ফেরেন ২ রানে। ক্রিকইনফো
- See more at: http://www.kalerkantho.com/print-edition/sports/2016/05/09/356324#sthash.0P40IBVt.dpuf

টানা তিন ম্যাচ জিতে আকাশেই উড়ছিল মুম্বাই ইন্ডিয়ানস। কিন্তু ‘অচেনা ঘরের মাঠে’ গতকাল পড়ল মুখ থুবড়ে। মহারাষ্ট্র থেকে আইপিএল সরে যাওয়ায় মুম্বাইয়ের ঘরের মাঠ এখন বিশাখাপত্তনম। সেখানে খেলা প্রথম ম্যাচে সানরাইজার্স হায়দরাবাদের কাছে রোহিত শর্মার দল হেরেছে ৮৫ রানে। হায়দরাবাদের ১৭৭ রানের জবাবে মুম্বাই গুটিয়ে গেছে মাত্র ৯২ রানে। এই জয়ে সাময়িকভাবে পয়েন্ট টেবিলের শীর্ষে উঠে আসে মুস্তাফিজুর রহমানের হায়দরাবাদ। তবে পরের ম্যাচে কলকাতা নাইট রাইডার্সকে ৫ উইকেটে হারিয়ে আবার শীর্ষে ফিরেছে গুজরাট লায়ন্স।
গতকাল ৩ উইকেট নিয়ে আইপিএলের এবারের আসরে তৃতীয় সর্বোচ্চ উইকেট এখন বাংলাদেশি কাটার মাস্টারের। ১০ ম্যাচে মুম্বাইয়ের মিচেল ম্যাকক্লেনাঘনের উইকেট ১৪টি, সমান ১৪ উইকেট এখন আন্দ্রে রাসেলেরও। মুস্তাফিজের উইকেট ১৩টি। সমান ১৩ উইকেট হায়দরাবাদের ভুবনেশ্বর কুমারেরও। পরের ম্যাচে সাকিব আল হাসান ৪৯ বলে ৪টি চার ও ৪টি ছক্কায় অপরাজিত ৬৬ রানের পর বল হাতে একটি উইকেট নিয়েও জেতাতে পারেননি কলকাতাকে। কলকাতার ১৫৮ রান দুই ওভার বাকি থাকতে টপকে গেছে গুজরাট।
হায়দরাবাদের ম্যাচ মানেই মুস্তাফিজুর রহমানের বিস্ময়। ইয়র্কার, কাটার, স্লোয়ারের বিষে বিপক্ষকে নীল করা। তাঁর জন্যই হায়দরাবাদের ম্যাচের টিআরপি বাড়ে হু-হু করে। তবে গতকাল মুস্তাফিজ বল হাতে নেওয়ার আগেই ৬ উইকেট হারিয়ে বসে মুম্বাই। ৩ ওভারে ১৫ রানে ৩ উইকেট নিয়ে টপ অর্ডার গুঁড়িয়ে দিয়েছিলেন ম্যাচ সেরা আশিস নেহরা। দশম ওভারে আক্রমণে এসে প্রথম বলেই হার্দিক পাণ্ডেকে উইকেটের পেছনে ক্যাচ বানান মুস্তাফিজ। এরপর তুলে নেন টিম সাউদি আর মিচেল ম্যাকক্লেনাঘনের উইকেট। ৩ ওভারে ১৬ রানে ৩ উইকেট নেওয়া মুস্তাফিজ বল পাননি আর।
গতকাল টস হেরে ব্যাট করতে নেমে শিখর ধাওয়ানের ৫৭ বলে ৮২*, ডেভিড ওয়ার্নারের ৩৩ বলে ৪৮ আর যুবরাজ সিংয়ের ২৩ বলে ৩৯-এ ৩ উইকেটে ১৭৭ করেছিল হায়দরাবাদ। গুজরাটের বিপক্ষে আগের ম্যাচে ৪৭ রানে অপরাজিত থাকা ধাওয়ান নিজের চেনা ছন্দেই ছিলেন গতকাল। অপরাজিত ৮২ রানের ইনিংসে বাউন্ডারি ১০ আর ছক্কা ছিল ১টি। হরভজন সিং ২৯ রানে নেন ২ উইকেট। টপ অর্ডারের ব্যর্থতায় সেই হরভজনই মুম্বাইয়ের হয়ে করেন সর্বোচ্চ ২১। কিয়েরন পোলার্ড ১১, রোহিত শর্মা ৫, জস বাটলার ফেরেন ২ রানে। ক্রিকইনফো
- See more at: http://www.kalerkantho.com/print-edition/sports/2016/05/09/356324#sthash.0P40IBVt.dpuf
টানা তিন ম্যাচ জিতে আকাশেই উড়ছিল মুম্বাই ইন্ডিয়ানস। কিন্তু ‘অচেনা ঘরের মাঠে’ গতকাল পড়ল মুখ থুবড়ে। মহারাষ্ট্র থেকে আইপিএল সরে যাওয়ায় মুম্বাইয়ের ঘরের মাঠ এখন বিশাখাপত্তনম। সেখানে খেলা প্রথম ম্যাচে সানরাইজার্স হায়দরাবাদের কাছে রোহিত শর্মার দল হেরেছে ৮৫ রানে। হায়দরাবাদের ১৭৭ রানের জবাবে মুম্বাই গুটিয়ে গেছে মাত্র ৯২ রানে। এই জয়ে সাময়িকভাবে পয়েন্ট টেবিলের শীর্ষে উঠে আসে মুস্তাফিজুর রহমানের হায়দরাবাদ। তবে পরের ম্যাচে কলকাতা নাইট রাইডার্সকে ৫ উইকেটে হারিয়ে আবার শীর্ষে ফিরেছে গুজরাট লায়ন্স।
গতকাল ৩ উইকেট নিয়ে আইপিএলের এবারের আসরে তৃতীয় সর্বোচ্চ উইকেট এখন বাংলাদেশি কাটার মাস্টারের। ১০ ম্যাচে মুম্বাইয়ের মিচেল ম্যাকক্লেনাঘনের উইকেট ১৪টি, সমান ১৪ উইকেট এখন আন্দ্রে রাসেলেরও। মুস্তাফিজের উইকেট ১৩টি। সমান ১৩ উইকেট হায়দরাবাদের ভুবনেশ্বর কুমারেরও। পরের ম্যাচে সাকিব আল হাসান ৪৯ বলে ৪টি চার ও ৪টি ছক্কায় অপরাজিত ৬৬ রানের পর বল হাতে একটি উইকেট নিয়েও জেতাতে পারেননি কলকাতাকে। কলকাতার ১৫৮ রান দুই ওভার বাকি থাকতে টপকে গেছে গুজরাট।
হায়দরাবাদের ম্যাচ মানেই মুস্তাফিজুর রহমানের বিস্ময়। ইয়র্কার, কাটার, স্লোয়ারের বিষে বিপক্ষকে নীল করা। তাঁর জন্যই হায়দরাবাদের ম্যাচের টিআরপি বাড়ে হু-হু করে। তবে গতকাল মুস্তাফিজ বল হাতে নেওয়ার আগেই ৬ উইকেট হারিয়ে বসে মুম্বাই। ৩ ওভারে ১৫ রানে ৩ উইকেট নিয়ে টপ অর্ডার গুঁড়িয়ে দিয়েছিলেন ম্যাচ সেরা আশিস নেহরা। দশম ওভারে আক্রমণে এসে প্রথম বলেই হার্দিক পাণ্ডেকে উইকেটের পেছনে ক্যাচ বানান মুস্তাফিজ। এরপর তুলে নেন টিম সাউদি আর মিচেল ম্যাকক্লেনাঘনের উইকেট। ৩ ওভারে ১৬ রানে ৩ উইকেট নেওয়া মুস্তাফিজ বল পাননি আর।
গতকাল টস হেরে ব্যাট করতে নেমে শিখর ধাওয়ানের ৫৭ বলে ৮২*, ডেভিড ওয়ার্নারের ৩৩ বলে ৪৮ আর যুবরাজ সিংয়ের ২৩ বলে ৩৯-এ ৩ উইকেটে ১৭৭ করেছিল হায়দরাবাদ। গুজরাটের বিপক্ষে আগের ম্যাচে ৪৭ রানে অপরাজিত থাকা ধাওয়ান নিজের চেনা ছন্দেই ছিলেন গতকাল। অপরাজিত ৮২ রানের ইনিংসে বাউন্ডারি ১০ আর ছক্কা ছিল ১টি। হরভজন সিং ২৯ রানে নেন ২ উইকেট। টপ অর্ডারের ব্যর্থতায় সেই হরভজনই মুম্বাইয়ের হয়ে করেন সর্বোচ্চ ২১। কিয়েরন পোলার্ড ১১, রোহিত শর্মা ৫, জস বাটলার ফেরেন ২ রানে। ক্রিকইনফো
- See more at: http://www.kalerkantho.com/print-edition/sports/2016/05/09/356324#sthash.0P40IBVt.dpuf

আল-আমিন নাম্বার টু, আল-আমিন নাম্বার ওয়ান

আল-আমিন, ব্যাটিংয়ে দারুণ ধারাবাহিক। ছবি: ফাইল ছবি 
বোলার আল আমিন হোসেনকে চেনেন সবাই। জাতীয় দলের এই ফাস্ট মিডিয়াম বোলার নিজের পারফরম্যান্স দিয়েই পরিচিতি আদায় করে নিয়েছেন সকলের। সেই তুলনায় ব্যাটসম্যান আল-আমিন তো অনেকেরই অচেনা। এবার যেন নিজেকে চেনানোর মিশনই নিয়েছেন আল-আমিন নাম্বার টু। প্রিমিয়ার ক্রিকেট লিগে রানের পর রান করে চলেছেন। আর এই রান তোলাতেই যেন তিনি হতে চান নাম্বার ওয়ান। এবারের প্রিমিয়ার লিগে শীর্ষ দুই রানের মালিকের একজন তিনি।

এখন পর্যন্ত পাঁচ ম্যাচের প্রতিটিতেই দুর্দান্ত ভিক্টোরিয়া স্পোর্টিংয়ের এই ডানহাতি ব্যাটসম্যান। লিজেন্ড অব রূপগঞ্জের বিপক্ষে ১০২ রানের দুর্দান্ত এক ইনিংস দিয়েই শুরু করেছিলেন এবারের লিগ। এরপরের চারটি ম্যাচেই অসাধারণ ধারাবাহিক তাঁর ব্যাট। তিনটিতে করেছেন ফিফটি। আর একটিতে ২৭।

কলাবাগান ক্রিকেট একাডেমি, আবাহনী ও আজ প্রাইম দোলেশ্বরের বিপক্ষে তাঁর তিনটি অর্ধশতকের প্রতিটিই বলের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে। স্ট্রাইক রেট ১০০-এর ওপরে। ৫ ম্যাচে ৯২.০৬ গড়ে ২৯০ রান করেছেন। রান তোলায় যাঁর সঙ্গে প্রতিযোগিতা, এরই মধ্যে টুর্নামেন্টে ৩০০ রান পেরিয়ে যাওয়া সেই ইমতিয়াজদের সঙ্গেই খেলা ছিল আল-আমিনের। প্রাইম দোলেশ্বরের ইমতিয়াজ ২৯ রান করেও ফেলেছেন। ভিক্টোরিয়া-প্রাইম দোলেশ্বরের ম্যাচটি তাই আল-আমিন বনাম ইমতিয়াজের ম্যাচও!

৩২-এ পা রাখা ইমতিয়াজ জাতীয় দল নিয়ে এখনো স্বপ্ন দেখেন কি না কে জানে। তবে ২২ বছর বয়সী আল-আমিনের তো মাত্রই শুরু। এরই মধ্যে নির্বাচকদের দৃষ্টিসীমার মধ্যেই নিজেকে নিয়ে গেছেন। আজ ফতুল্লায় ৪৬ বলে তাঁর ৫১ রানের ইনিংসটি ভিক্টোরিয়ার বড় সংগ্রহে রেখেছে দারুণ ভূমিকা।

ঢাকা মেট্রোপলিসের হয়ে ২০১৪ সালে প্রথম শ্রেণির ক্রিকেট অভিষেক তাঁর। এখন পর্যন্ত ১৭টি প্রথম শ্রেণির ম্যাচ খেলে ৪০.০৪ গড়ে তাঁর মোট রান ১ হাজার ১। এরই মধ্যে করে ফেলেছেন দুটি প্রথম শ্রেণি-সেঞ্চুরি। ফিফটিও আছে ৬টি।

লিস্ট ‘এ’র অভিষেকটা অবশ্য এক মৌসুম আগেই—২০১৩ সালে। শেখ জামাল ধানমন্ডি ক্লাবের হয়ে। ২৪টি লিস্ট ‘এ’ ম্যাচে ৩০.২০ গড়ে করেছেন ৫০৪ রান। এই তো সেদিন রূপগঞ্জের বিপক্ষেই পেলেন প্রথম লিস্ট ‘এ’ সেঞ্চুরিটি। ফিফটি আজকের ম্যাচ নিয়ে ৩টি। গত ডিসেম্বরেই কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ানসের হয়ে বিপিএলের অভিষেকও হয়ে গেছে তাঁর।

ব্যাটিংয়ের পাশাপাশি বোলিংটাও খুব খারাপ করেন না আল-আমিন। ডানহাতি অফ স্পিনার হিসেবে প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে এরই মধ্যে ১৩টি উইকেট তুলে নিয়েছেন তিনি। লিস্ট ‘এ’তেই বোধ হয় বল হাতে একটু বেশি সাবলীল। এই পর্যায়ে ২৪ ম্যাচে ২৯.৬৮ গড়ে ২২ উইকেট কিন্তু খুব খারাপ নয়।

বাংলাদেশের ক্রিকেটে একই নাম নিয়ে খেলতে এলে দ্রুত ‘জুনিয়র’ পরিচয় জুটে যায়। তবে আল-আমিন ‘জুনিয়র’ কিংবা ‘নাম্বার টু’-এর আড়াল ছেড়ে বেরিয়ে আসতে পারবেন কি না, সময়ই বলে দেবে।
info;  Prothom-alo

সৌম্যর ব্যাটে স্বস্তির বৃষ্টি

রানে ফিরলেন সৌম্য। ছবি: প্রথম আলো 
 ঠিক যেন এক বছর আগের সৌম্য সরকারই ফিরে এলেন আজ। ঠিক আগের মতোই ব্যাট থেকে ঠিকরে বের হচ্ছিল আত্মবিশ্বাসের ছটা। সেই আত্মবিশ্বাস অনূদিত হচ্ছিল দৃষ্টিনন্দন সব শটে। কখনো কাভার ড্রাইভ, কখনো পুল, কখনো বা স্কয়ার কাট। গত বছর দেশের মাঠে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে ওয়ানডে সিরিজটি যেখানে শেষ করেছিলেন সেখানেই যেন আজ সবাইকে ফিরিয়ে নিয়ে গিয়েছিলেন সৌম্য। ৮৪ রানের ঝকঝকে এক ইনিংসে।
মাঝের সময়গুলো যেন ছিল দুঃস্বপ্ন। দুঃস্বপ্নের বিভীষিকা কাটিয়ে নতুন রৌদ্রোজ্জ্বল এক সুন্দর সকালই যেন আজ ভর করেছিল সৌম্যর ব্যাটে। দীর্ঘ খরা কাটিয়ে আজ তিনি খেললেন দারুণ এক ইনিংস।
প্রিমিয়ার লিগে আজ এই প্রথম কথা বলে উঠল সৌম্যর ব্যাট। মিরপুর শেরেবাংলা স্টেডিয়ামে আবাহনীর বিপক্ষে তাঁর ৮৪ রানের ইনিংসই গুরুত্বপূর্ণ লিজেন্ড অব রূপগঞ্জের জয়ে। আবাহনীর ২৫৫ রানের সংগ্রহ তাড়া করতে নেমে রূপগঞ্জ যখন জয়ের দোরগোড়ায় (৪৬.৪ ওভারে ৫ উইকেটে ২৪৫), তখনই বৃষ্টির কবলে পড়ে বন্ধ হয়ে যায় খেলা। ডাকওয়ার্থ লুইস পদ্ধতিতে ২১ রানে জয়ী হয় রূপগঞ্জ। সৌম্যর ৮৪ রানের পাশাপাশি মোহাম্মদ মিঠুনের ৭৫ রানের ইনিংসেরও বড় ভূমিকা এই জয়ে। শেষের দিকে আসিফ আহমেদের ১৯, মোশাররফ রুবেলের অপরাজিত ২৫ ও নাহিদুল ইসলামের ২৫ রূপগঞ্জকে তুলেছে জয়ের মঞ্চে।
৮৯ বলে সৌম্য ৮৪ রান করেছেন ৯টি চার ও ২টি ছয়ে। ৬৬ বলে ফিফটি পূর্ণ করেছেন। তখনই ছিল পাঁচটি চার ও একটি ছয়। ফর্মে নেই বলেই যে ধুঁকে ধুঁকে রান করবেন, সৌম্য তেমন ব্যাটসম্যানই নন। সেঞ্চুরিটা প্রাপ্যই মনে হচ্ছিল। কিন্তু দুর্ভাগ্য তাঁর। সাকলাইন সজীবের বলে ফিরলেন সেঞ্চুরি থেকে ১৬ রান দূরে থাকতে।
তবে নিখুঁত ও সাবলীল এই ইনিংসটি দীর্ঘ রান খরার পর এক পশলা বৃষ্টির মতোই স্বস্তিদায়ক। প্রিমিয়ার লিগে এখনো পর্যন্ত চার ম্যাচে মোটে ৫২ রান করা সৌম্যকে এই ইনিংসটি নিশ্চয়ই যথেষ্ট আত্মবিশ্বাসী করে তুলবে।
     info: Prothom-alo

Saturday, May 7, 2016

ফের ক্রুইফকে ফিরিয়ে আনছে বাফুফে

ফের জাতীয় দলের কোচ হিসেবে এক মাসের নিয়োগ দিয়ে লুডভিক ডি ক্রুইফকে ফিরিয়ে আনতে যাচ্ছে বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশন (বাফুফে)। আজ বাফুফে ভবনে অনুষ্ঠিত ফেডারেশনের নবনির্বাচিত কার্যনির্বাহী কমিটির প্রথম সভায় এই সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়েছে।
বাফুফে’র সঙ্গে মতের অমিল হওয়ায় বাংলাদেশ ছেড়ে চলে যাওয়া এই ডাচ কোচকে এএফসি এশিয়ান কাপ কোয়ালিফায়ার্স-২০১৯ উপলক্ষে একমাসের জন্য ফের নিয়োগের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে নবনির্বাচিত কমিটি।
এর আগে ১৬ মাস বাংলাদেশ জাতীয় দলের কোচের দায়িত্ব পালন করেছিলেন তিনি। ডি ক্রুইফের সময় জাতীয় দলের খেলাতেও পরিবর্তন এসেছিল। তাই তাকে ফিরিয়ে আনার গুঞ্জন চলছিল বেশ কিছুদিন ধরেই। - See more at: info:www.dailynayadiganta.com

আজ কঠিন পরীক্ষা সাকিবদের

ব্রেন্ডন ম্যাকালাম, অ্যারন ফিনচ আর ইডেনের পিচ। আইপিএলে গুজরাট লায়ন্সকে হারাতে হলে এই তিন বাধা অতিক্রম করতে হবে সাকিব আল হাসানদের কলকাতা নাইট রাইডার্সকে। 
প্রাক্তন নাইট ম্যাকালামের ব্যাটে ঝড় উঠলে কেকেআরের কপালে দুঃখ রয়েছে। ব্রেন্ডন এখন পর্যন্ত ১০ ম্যাচে ২২৭ রান করেছেন। সর্বাধিক রান ৬০। অ্যারন ফিনচের ফর্ম বিপক্ষ দলের বোলারদের কপালে ভাঁজ ফেলার পক্ষে যথেষ্ট। ৭ ম্যাচে তাঁর সংগ্রহ ২৪৭ রান। গড় ৬১.৭৫। এর মধ্যে চারটি হাফ-সেঞ্চুরিও রয়েছে তাঁর ঝুলিতে। গুজরাতের সবথেকে সফল ব্যাটসম্যান সুরেশ রায়না হলেও কেকেআর টিম ম্যানেজমেন্ট কিন্তু ম্যাকালাম-ফিনচকেই বেশি ভয় পাচ্ছে।
তার উপর ঘাসের উইকেট। ইডেনের পিচ দেখে নাইট শিবির একেবারেই খুশি নয়। ‘গ্রিন টপ’বললে অতিরঞ্জিত করা হবে ঠিকই, তবে রবিবার যে পিচে খেলা হবে তাতে পর্যাপ্ত ঘাস থাকার ইঙ্গিত পাওয়া গেল শনিবার। যাতে বল পড়ে ঠিকমতো ব্যাটে আসে। সেক্ষেত্রে প্রচুর রান ওঠার সম্ভাবনা থাকবে। সিএবি সভাপতি সৌরভ গাঙ্গুলি নাকি এমনই নির্দেশ দিয়েছেন কিউরেটরকে। ঘরের মাঠে পছন্দের উইকেট না পেয়ে তাই নাইটদের মুখ ভার। কেকেআর কর্তাদের যুক্তি, বিপক্ষ দলে ম্যাকালাম, ফিনচ, ডোয়েন স্মিথের মতো ব্যাটসম্যান দেখার পর কোন দল স্পোর্টিং উইকেট খেলতে চাইবে?
পিচ নিয়ে কোনো বিতর্ক বোক সেটা গম্ভীর নিজেও চান না। কারণ, তিনি জানেন তাতে ফোকাস নড়ে যেতে পারে। ৯টি ম্যাচ খেলে কেকেআর ১২ পয়েন্ট পেয়ে শীর্ষ স্থানে আছে। সিংহের গর্জন থামিকে নিজেদের অবস্থান আরো মজবুত করাই লক্ষ্য নাইটদের। ১০ ম্যাচ খেলে গুজরাটের সংগ্রহ ১২ পয়েন্ট। দুই দলই প্লে-অফে দৌড়ে থাকায় এই ম্যাচটিকে ঘিরে ক্রিকেটপ্রেমীদের আগ্রহ অনেক বেশি।
গত দু’টি ম্যাচে কেকেআর হারিয়েছে রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরু ও কিংস ইলেভেন পাঞ্জাবকে। গুজরাতকে হারিয়ে নাইটদের সামনে ফের জয়ের হ্যাটট্রিক করার হাতছানি। আর সেটা হলে গৌতম গম্ভীরের নেতৃত্বাধীন কেকেআর প্লে-অফে ওঠার পথে আরও একধাপ এগিয়ে যাবে।
আইপিএলে এখন সাপ-লুডোর খেলা চলছে। একটা সময় গুজরাট লায়ন্স যে ভাবে ম্যাচ জিতছিল, তা দেখে অনেকেই ভেবেছিলেন সুরেশ রায়নারা সহজেই শেষ চারে জায়গা পাকা করে ফেলবেন। কিন্তু পর পর তিনটি ম্যাচ হেরে বেশ চাপে পড়ে গিয়েছে গুজরাত। তাদের ঘাড়ে নিঃশ্বাস ফেলছে দিল্লি ডেয়ারডেভিলস, সানরাইজার্স হায়দরাবাদ, মুম্বই ইন্ডিয়ান্স। কেকেআরের বিরুদ্ধে বেশ সতর্ক হয়েই মাঠে নামবে‘লায়ন্স’।
ধারাবাহিকতার বিচারে আইপিএল নাইনে যে কোনও দলকে টেক্কা দিতে পারে কেকেআর। ছ’টি অ্যাওয়ে ম্যাচের মধ্যে গম্ভীর বাহিনী জিতেছে চারটিতে। আর এই সাফল্যই নাইটদের মনোবল কয়েকগুণ বাড়িয়ে দিয়েছে। পাঁচটির মধ্যে কেকেআরের চারটি হোম ম্যাচ বাকি। তাই ক্রিকেট বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ফোকাস ধরে রাখতে পারলে কেকেআরের প্লে-অফে না খেলার কোনও কারণ নেই। তবে একটা কথা মনে রাখা দরকার, গতবারও নাইটরা পর পর ছ’টি ম্যাচ জিতেও শেষ দিকে খারাপ খেলার খেসারতি দিয়ে প্লে-অফে জায়গা করে নিতে ব্যর্থ হয়েছিল। তাই গম্ভীর সাফ বলে দিলেন, ‘এখন প্রতিটি ম্যাচই আমাদের কাছে গুরুত্বপূর্ণ। আগে প্লে-অফে জায়গা পাকা করতে হবে। তারপর পজিশন নিয়ে ভাবা যাবে।’
কখনও ওপেনিং জুটির সাফল্য, কখনও আবার মিডল অর্ডারের দুরন্ত পারফরম্যান্স, কয়েকটি ম্যাচে দুরন্ত বোলিং কেকেআরকে জিতিয়েছে। মূলত আইপিএল নাইনে নাইটদের সাফল্য এসেছে ‘টিম গেম-এর সৌজন্যে। দারুণ ছন্দে আছেন ওপেনার রবীন উথাপ্পা, গৌতম গম্ভীর। তাঁরা শুরুটা ভালো করতে পারলে বাকি ব্যাটসম্যানরা চাপ মুক্ত হয়ে খেলতে পারবেন। ইউসুফ পাঠান, আন্দ্রে রাসেল সময়ের সঙ্গে সঙ্গে নিজেদের ভুল শুধরে নিয়েছেন। সূর্যকুমার যাদব, মণীশ পাণ্ডে, সাকিব-আল-হাসানরা যদি নামের প্রতি সুবিচার করতে পারেন তাহলে কেকেআরের পক্ষে বড় রান করা অসম্ভব নয়। তবে রাসেলের অলরাউন্ড পারফরম্যান্স নাইটদের গত দু’টি ম্যাচে অপ্রত্যাশিত জয় এনে দিয়েছে। প্রত্যেক ম্যাচেই যে রাসেলের ঘাড়ে চড়ে ম্যাচ জেতা যাবে, সেটা ভাবলে ভুল করবেন নাইটরা। বাকি ব্যাটসম্যানদেরও দায়িত্ব নিয়ে খেলতে হবে।
কেকেরের পেস বোলিংয়ে রয়েছেন মর্নি মর্কেল, উমেশ যাদব, আন্দ্রে রাসেল। ধারাবাহিকতার বিচারে উমেশ কিছুটা পিছিয়ে পড়েছেন। তাই মর্কেল ও রাসেলকে বাড়তি চাপ নিতে হচ্ছে। গুজরাত লায়ন্সের ব্যাটিং যথেষ্ট শক্তিশালী। ডোয়েন স্মিথ, ব্রেন্ডন ম্যাকালাম ওপেনিং জুটিতে ঝোড়ো ইনিংস খেলতে পারেন। অ্যারন ফিনচ দুরন্ত ফর্মে আছেন। অধিনায়ক সুরেশ রায়নাও বড় ম্যাচ উইনার। দীনেশ কার্তিক, রবীন্দ্র জাদেজার মতো ব্যাটসম্যান কেকেআরের বোলিংকে নিয়ে ছেলেখেলা করতে পারেন। তাই পেস ও স্পিনের যুগলবন্দিতে গুজরাতের ব্যাটিংয়ে ধস নামানোর পরিকল্পনা রয়েছে গম্ভীরের। তিনি সাকিবকে বসিয়ে এই ম্যাচে খেলানো হতে পারেন সুনীল নারিনকে। ব্র্যাড হগকে খেলানো হবে কিনা, তা হয়তো ঠিক হবে ম্যাচের আগে উইকেট দেখে। কেকেআরের স্পিনারদের মধ্যে পীযূষ চাওলা সব থেকে ভালো বল করছেন। প্রয়োজনে পার্টটাইম স্পিনারের কাজটা করে দিতে পারেন ইউসুফও।
কেকেআরের তুলনা গুজরাতের বোলিং কাগজে-কলমে কিছুটা দুর্বল। নামী কোনও পেসার নেই। প্রবীণ কুমার, প্রদীপ সংওয়ান ও ধবল কুলকার্নির উপর ভরসা রাখতে হচ্ছে রায়নাকে। স্পিনার হিসাবে রবীন্দ্র জাদেজা কতটা দাগ কাটবেন সেটা বলা কঠিন। তবে ব্যতিক্রমী ডেলিভারির জন্য শিবিল কৌশিক সাড়া ফেলে দিয়েছেন। তাঁকে দিকে নজর রাখতেই হবে। রাসেল যেমন নাইটদের ‘কালো ঘোড়া’, তেমনি রায়নার ‘ট্রাম্প কার্ড’ ডোয়েন ব্র্যাভো। তার অলরাউন্ড পারফরম্যান্স অনেক হিসাব উলটে দিতে পারেন।
তবে টস এই ম্যাচে গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠতে পারে। কারণ, বৃষ্টির পূর্বাভাস রয়েছে। সেক্ষেত্রে ডাকওয়ার্থ লুইস নিয়মে ম্যাচের ভাগ্য নির্ধারিত হতে পারে।info:www.dailynayadiganta.com

পাকিস্তানের কোচ হলেন মিকি আর্থার

শুক্রবার এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে পিসিবি জানায কোচের দায়িত্ব নেওয়ার বিষয়টি আর্থার নিশ্চিত করেছেন।
টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ থেকে পাকিস্তান আগেভাগে বিদায় নিলে গত এপ্রিলে দলের প্রধান কোচের দায়িত্ব থেকে পদত্যাগ করেন ওয়াকার ইউনুস। তার জায়গায় নতুন কোচ নিয়োগ দিতে ওয়াসিম আকরাম, রমিজ রাজা, ফয়সাল মির্জাদের নিয়ে একটি প্যানেল গঠন করে পিসিবি।
পিসিবি এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানায়, প্যানেল চার জন কোচের ব্যাপারে সুপারিশ করে। সংক্ষিপ্ত তালিকায় আর তিন জন কারা ছিলেন সে ব্যাপারে কিছু জানায়নি পিসিবি।
আর্থারের প্রোফাইল বেশ সমৃদ্ধ, একই সঙ্গে বিতর্কিতও। জন্ম দক্ষিণ আফ্রিকার ট্রান্সভালে, খেলোয়াড়ি জীবনে ছিলেন ব্যাটসম্যান। ১১০টি প্রথম শ্রেণির ম্যাচ খেললেও জাতীয় দলে খেলতে পারেননি কখনও।
২০০১ সালে ক্রিকেট ছাড়ার পর ২০০৩ সালে গ্রিকুয়াল্যান্ডকে দিয়ে শুরু কোচিং ক্যারিয়ারের। ২০০৫ সালে অনেকেই চমকে দিয়ে দায়িত্ব পেয়ে যান দক্ষিণ আফ্রিকা জাতীয় দলের। দায়িত্বের প্রথম দুই বছর সাফল্য-ব্যর্থতার মিশ্রণ থাকলেও পরের সময়টা ছিল সাফল্যে ভরা।
আর্থারের কোচিং ও গ্রায়েম স্মিথের নেতৃত্বে টেস্ট ইতিহাসে নিজেদের সেরা সময়টা কাটায় দক্ষিণ আফ্রিকা। ৪৩ বছর পর ইংল্যান্ডের বিপক্ষে টেস্ট সিরিজ জয়ের পর আসে অস্ট্রেলিয়ার মাটিতে প্রথমবার সিরিজ জয়। টানা ৯টি টেস্ট সিরিজ অপরাজিত ছিল দক্ষিণ আফ্রিকা, ওয়ানডেতেও উঠেছিল র‌্যাঙ্কিংয়ের শীর্ষে। কিন্তু ক্রিকেট দক্ষিণ আফ্রিকার সঙ্গে ঝামেলায় দায়িত্ব ছেড়ে দেন ২০১০ সালের জানুয়ারিতে।
সে বছরই আর্থার দায়িত্ব নেন ওয়েস্টার্ন অস্ট্রেলিয়ার। ২০১১ সালের নভেম্বরে প্রথম বিদেশি কোচ হিসেবে দায়িত্ব পান অস্ট্রেলিয়া জাতীয় দলের।
অস্ট্রেলিয়ার কোচ হিসেবে তার সময়টা ছিল বিতর্কময়। ভারত সফরে ‘হোমওয়ার্কগেট’ কেলেঙ্কারিতে চার ক্রিকেটারের নিষিদ্ধ হওয়ার ঘটনায় সমালোচিত হয়েছিলেন তুমুলভাবে। ২০১৩ সালের জুনে, অ্যাশেজের দুই সপ্তাহ আগে তাকে বরখাস্ত করে অস্ট্রেলিয়া। সে বছরই ক্রিকেট ডিরেক্টরের দায়িত্ব নেন পার্থের ক্রাইস্ট চার্চ গ্রামার স্কুলের।
info:bdnews24.com

ব্রাজিলের কোপা আমেরিকার দল থেকে বাদ কাকা


আবাহনীর হৃদয় ভাঙল আবাহনী

এই ট্রফি জয়ে বড় অবদান চট্টগ্রাম আবাহনীর হাইতিয়ান স্ট্রাইকার লিওনেলের (ডানে)। তাঁর উদ্‌যাপনে সঙ্গী হলেন জাহিদ। কাল বঙ্গবন্ধু স্টেডিয়ামে l শামসুল হক
একদল সমর্থক উচ্চ স্বরে স্লোগান দিয়েই চলেছে ‘আবাহনী, আবাহনী’। হঠাৎ করে কেউ এসে পড়লে বুঝতেই পারতেন না আসলে কোন আবাহনী জিতেছে। দুটিই আবাহনী, পতাকা, জার্সি, সংস্কৃতি সবই যে একাকার!
এমন দৃশ্য বঙ্গবন্ধু স্টেডিয়াম তো বটেই, দেশের অন্য কোনো মাঠেও আগে কখনো দেখা যায়নি। দুই আবাহনী এই প্রথম মুখোমুখি হলো ঘরোয়া কোনো টুর্নামেন্টের ফাইনালে, তাতে জিতল চট্টগ্রাম আবাহনী। ক্লাবটি এই প্রথম সর্বোচ্চ পর্যায়ে কোনো ট্রফি ঘরে তোলার আনন্দে উদ্বেল হলো কাল সন্ধ্যায়। ঢাকা আবাহনী শুধু চেয়ে চেয়েই দেখেছে চট্টগ্রাম আবাহনীর এই উদ্যাপন।
শেষ বাঁশির সঙ্গে সঙ্গে চট্টগ্রাম আবাহনী স্লোভাক কোচ যোসেফ পাভলিক এসে সান্ত্বনা দিলেন ঢাকা আবাহনীর কোচ অমলেশ সেনকে। মুখে অস্ফুট উচ্চারণ, ‘আবাহনী ঢাকা, বিগ রেসপেক্ট। ইউ পিপল গুড প্লে...গুড প্লে।’ ততক্ষণে স্মারক নিতে মঞ্চে ডাক পড়ল জয়ী দলের ৪৩ বছর বয়সী কোচের। যাওয়ার পথেই তাঁকে নিয়ে চট্টগ্রাম আবাহনীর খেলোয়াড়-কর্মকর্তাদের সে কী উচ্ছ্বাস!
কিন্তু ২-০ গোলে হেরে ঢাকা আবাহনী যেন নিস্তব্ধ। আত্মসমালোচনা করে চলেছেন ম্যানেজার সত্যজিৎ দাশ রুপু, ১৯৮৯-৯০ মৌসুমে তাঁর নেতৃত্বেই আবাহনী শেষবার ঘরে তোলে এই স্বাধীনতা কাপের ট্রফি। দীর্ঘ বিরতি দিয়ে আরেকটি স্বাধীনতা কাপ জয়ের কাছে এসে আসল দিনেই মাঠে নিজেদের সেরাটা দিতে পারল না ঢাকা আবাহনী।
দুই আবাহনীর ব্যতিক্রমী এই ফাইনালটা ঢাকা আবাহনী জিততে পারল না অনেক ভুলের কারণে। খেলোয়াড়েরা বল তুলে দিয়েছেন প্রতিপক্ষের পায়ে, প্রথমার্ধের চেয়ে দ্বিতীয়ার্ধেই এই ভুলটা তাদের বেশি ছিল। তিন বড় অস্ত্র সানডে, লি টাক ও কামারা কেউই ছন্দে ছিলেন না। সানডে নষ্ট করলেন গোটা তিনেক সুযোগ, লি টাকও এদিন ভুলে গেলেন গোলের রাস্তা।
গ্যালারির দিকে চোখ রেখে মনেই হচ্ছিল না এটি একটা ফাইনাল ম্যাচ। মাত্র কয়েক হাজার দর্শক! উত্তাপ নেই, ম্যাচেও ছিল না পরিকল্পিত আনন্দদায়ী ফুটবল। প্রথমার্ধটা ছিল নিষ্প্রাণ। তবে ম্যাচে প্রাণ ফিরল দ্বিতীয়ার্ধে, যখন দু-দুটি গোল করল চট্টগ্রাম আবাহনী।
অফসাইডের ফাঁদ তৈরি করেছিল ঢাকা আবাহনীর রক্ষণ। ওটা করতে গিয়েই ৫৫ মিনিটে সর্বনাশ। ডিফেন্ডার তপু বর্মণ সহজ বলটা হারালেন, তাঁর অসতর্কতায় ছোঁ মেরে বলটা নিলেন টুর্নামেন্ট-সেরা চট্টগ্রাম আবাহনীর লিওনেল প্রিউক্স। হাইতিয়ান স্ট্রাইকার এককভাবে ঢুকে এরপর কোনাকুনি শটে করলেন ১-০। ম্যাচে ফেরার চেষ্টায় ব্যর্থ ঢাকা আবাহনী ৬ মিনিট পরই খায় দ্বিতীয় গোল। এটি অসাধারণ এক গোল। তরুণ খেলোয়াড় কৌশিকের ক্রসকে দুর্দান্ত সাইড ভলিতে গোলে পরিণত করেন তরুণ ফরোয়ার্ড রুবেল মিয়া। তাঁর এই গোল অনেকদিন মনে থাকবে দর্শকদের।
লিওনেল ও রুবেলের গোলে চট্টগ্রাম আবাহনী যোগ্যতর দল হিসেবেই মৌসুমের প্রথম ফাইনালটা জিতল। তাদের রানিং ছিল দারুণ, মোটের ওপর গতিতেই তারা পেছনে ফেলেছে ঢাকা আবাহনীকে। নিজেরা খেলতে না পারলেও ঢাকা আবাহনী যাতে মাথা তুলতে না পারে সেসব রাস্তাও বন্ধ করে দেয় চট্টগ্রাম আবাহনী। একটু খালি জমিও তারা দিতে চায়নি প্রতিপক্ষকে। রক্ষণ জমাট রেখে পাল্টা আক্রমণে দ্রুত উঠেছে এবং সুফলও তুলেছে ঘরে।
ঢাকা আবাহনী সুযোগ তৈরি করের কাজে লাগাতে পারেনি, চট্টগ্রাম আবাহনী এখানেই ষোলো আনা সফল। তা দেখে হতাশ সত্যজিৎ দাশ রুপু বলছিলেন, ‘এমন কঠিন লড়াইয়ের ম্যাচে সুযোগ হারালে খেসারত দিতেই হয়, যেটা দিলাম আমরা।’
তাঁর পাশ দিয়ে তখন আকাশি-নীল পতাকা নিয়ে ছুটছেন চট্টগ্রাম আবাহনীর কর্মকর্তারা। সন্ধ্যাটা যে তাঁদের কাছে স্মরণীয়। ঘরোয়া ফুটবলে প্রথম ট্রফি জয়, সেটিও বড় আবাহনীকে হারিয়ে! ঢাকা আবাহনীর হৃদয় ভাঙলে ভাঙুক, এই মাহেন্দ্রক্ষণে চট্টগ্রাম আবাহনীর তা নিয়ে ভাবার সময় আছে!
চট্টগ্রাম আবাহনী: আশরাফুল রানা, সোহেল জুনিয়র, রেজা, সৈকত (শরিফুল), আরমান আজিজ, রুবেল (ইব্রাহিম), তারিক আল জানাবি, কৌশিক, অ্যালিসন, জাহিদ, লিওনেল (মিঠু)।
ঢাকা আবাহনী: শাকিল, আরিফুল, ওয়ালী, তপু, মামুন মিয়া, ইমন, ফয়সাল মাহমুদ (শাহেদ), জুয়েল রানা, লি টাক, সানডে, কামারা (জীবন)।
এক নজরে
চ্যাম্পিয়ন
চট্টগ্রাম আবাহনী
রানার্সআপ
ঢাকা আবাহনী
টুর্নামেন্ট-সেরা
লিওনেল প্রিউক্স (চট্টগ্রাম আবাহনী)
ফাইনালের সেরা খেলোয়াড়
রুবেল মিয়া (চট্টগ্রাম আবাহনী)
সর্বোচ্চ গোলদাতা (৬টি)
সানডে সিজোবা (ঢাকা আবাহনী)
এমেকা ডার্লিংটন (শেখ জামাল)
ফিকরু তেফেরা (শেখ রাসেল)

বোলার মুস্তাফিজ, মানুষ মুস্তাফিজ

গত পরশু গুজরাট লায়ন্সের বিপক্ষে জয়ের পর ড্রেসিংরুমে সানরাইজার্স হায়দরাবাদ সতীর্থদের সঙ্গে মুস্তাফিজ l ফেসবুক
২৩ এপ্রিল রাতে বাংলায় বলেছিলেন, ‘ভালো লাগছে।’ এদিন কী বলেন, সে প্রতীক্ষায় টিভি পর্দার দিকে তাকিয়ে ছিলেন অনেকেই। ম্যাচসেরা তো মুস্তাফিজুর রহমানই। কিন্তু পরশু আর তা হলো না, ম্যান অব দ্য ম্যাচ হিসেবে ঘোষিত হলো মুস্তাফিজের সতীর্থ ভুবনেশ্বর কুমারের নাম। যা একটু বিস্ময়ই জাগাল।
এই ম্যাচের আগে আইপিএলে মুস্তাফিজের সেরা বোলিং কিংস ইলেভেন পাঞ্জাবের বিপক্ষে (৪-১-৯-২)। পরশুর ম্যাচের পরও ২৩ এপ্রিলের সেই পারফরম্যান্সই সেরা হয়ে থাকল। তবে পরশু সেটি নতুন করে লেখার সম্ভাবনা ভালোই জাগিয়েছিলেন। প্রথম বলেই উইকেট পেতে পারতেন, কিন্তু শিখর ধাওয়ান ক্যাচ ফেলে দেওয়ায় পেলেন না। চতুর্থ বলে কেন উইলিয়ামসনের দুর্দান্ত ক্যাচে সে দুঃখ ঘুচল। মুস্তাফিজ এর পরও ধাঁধাই হয়ে থাকলেন ব্যাটসম্যানদের কাছে। কাটার, স্লোয়ার কিংবা হঠাৎ তীব্র গতি—পেস বোলিংয়ের অনুপম এক প্রদর্শনীতে প্রথম ৩ ওভারে মাত্র ৯ রান। চতুর্থ ওভারের প্রথম বলেই ফেরালেন রবীন্দ্র জাদেজাকেও। পঞ্চম বলে অ্যারন ফিঞ্চের ছক্কার পরও ওই ওভার থেকে রান এল মাত্র ৮। ৪ ওভারে ১৭ রান দিয়ে ২ উইকেট, এরপরও অন্য কেউ ম্যাচসেরা হন কী করে! ভুবনেশ্বরের ২ উইকেট যেখানে ২৮ রান খরচ করে।
ভুবনেশ্বরের পক্ষে যুক্তি হতে পারে, বোলিং ওপেন করতে এসেই মেডেন ওভার, পরের ২ ওভারে ফিরিয়ে দিয়েছেন দুই টপ অর্ডার ব্যাটসম্যানকে। ম্যাচসেরার পুরস্কার নিতে এসে অবশ্য তিনিও মুস্তাফিজের প্রশংসাতেই মাতলেন, ‘আমি বোলিং নিয়ে মুস্তাফিজকে কিছু বলতে যাই না। তাঁর স্লোয়ারগুলো ভয়ংকর। আর ওর কারণেই শেষ দিকে আমার ও নেহরার ওপর চাপ থাকে না।’
পরশু মুস্তাফিজের বাংলা শুনতে না পেলেও এ নিয়ে দারুণ মজা চলছে সানরাইজার্সের ড্রেসিংরুমে। দলের কোচ টম মুডি, অধিনায়ক ডেভিড ওয়ার্নার ও মেন্টর ভিভিএস লক্ষ্মণ বাংলায় টুইট করেছেন। মুস্তাফিজের ইংরেজি বলতে না-পারা নিয়ে একটু বেশিই কথা হচ্ছে ভেবেই কি না ম্যাচ শেষে সংবাদ সম্মেলনে মুডি বলেছেন, ‘ওর ভাষা নিয়ে অনেক কথা হচ্ছে। সে ইংরেজিতে ঠিক স্বচ্ছন্দ নয়, আমরাও সেভাবে বাংলা বলতে পারি না। তবে ক্রিকেটের ভাষা সর্বজনীন, আমাদের তাই ওর সঙ্গে যোগাযোগ করতে সমস্যা হয় না।’
আইপিএল শুরুর আগেই মুডি বলেছিলেন, দলের সঙ্গে খাপ খাইয়ে নিতে মুস্তাফিজের সমস্যা হবে না। প্রথম ম্যাচ থেকেই মুডির কথাকে ঠিক প্রমাণ করে যাচ্ছেন মুস্তাফিজ। ৮ ম্যাচে নিয়েছেন ১০ উইকেট। তবে এটি খুব সামান্যই বোঝাতে পারছে মুস্তাফিজের প্রভাব। এই আইপিএলে কমপক্ষে ২০ ওভার করেছেন, এমন বোলারদের মধ্যে সবচেয়ে মিতব্যয়ী মুস্তাফিজ (ওভারপ্রতি রান ৬.২৩)। বোলিং গড়ের বিচারে তৃতীয় (১৮.৭০)। বোলার মুস্তাফিজের আসল মহিমা অবশ্য অন্যখানে, যেভাবে ব্যাটসম্যানদের নাকানিচুবানি খাওয়াচ্ছেন, তা না দেখলে ঠিক বোঝানো যায় না।
বোলার মুস্তাফিজকে বিশ্ব দেখছে। মানুষ মুস্তাফিজকে দেখার সুযোগ পাচ্ছে শুধু তাঁর দলই। টম মুডি সেটিতেও মুগ্ধ, ‘মানুষ হিসেবে সে দারুণ। দলের সঙ্গে ভালো মানিয়ে নিয়েছে। খুব মজার ছেলে, রসবোধও দারুণ। সহজেই সবার সঙ্গে মিশে যায়। মাঠে সে যা করেছে, সেটা এরই মধ্যে সবার নজর কেড়েছে। আর মাঠের বাইরে সে যা করছে, সেটাও দলের জন্য দারুণ।
info:
protom alo