দশ বছর। টি-টোয়েন্টিতে সেঞ্চুরি পেতে বাংলাদেশকে অপেক্ষা করতে হলো দশ বছর। সেই সেঞ্চুরি এল তামিম ইকবালের হাত ধরে।
ধর্মশালায় আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে ম্যাচটি পরিত্যক্ত হওয়ার পর ওমান-ম্যাচ
বাংলাদেশের জন্য হয়ে উঠেছিল খুবই গুরুত্বপূর্ণ। জিততেই হবে। হারলেই
সর্বনাশ! এই যখন সমীকরণ, চিন্তা আরও বাড়িয়ে দিয়েছিল বৃষ্টি। অবশেষে থেমেছিল
ধর্মশালার বৃষ্টি। কিন্তু ম্যাচ শুরু হওয়ার পর শুরু হয়েছিল আরেক
বৃষ্টি—চার-ছক্কার বৃষ্টি! নামিয়েছিলেন তামিম!
১০ চার আর ৫ ছক্কায় ৬৩
বলে ১০৩ রানে অপরাজিত ছিলেন বাংলাদেশ দলের এই বাঁহাতি ওপেনার। টি-টোয়েন্টি
বিশ্বকাপে আইসিসির সেরা ১০ পারফরম্যান্সে জায়গা পেয়েছে তামিমের অসাধারণ
ইনিংসটি। সেরা দশ পারফরম্যান্সে আছেন মুস্তাফিজও।
ইডেনে
নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে বাংলাদেশের ভরাডুবির দিনেও উজ্জ্বল ছিলেন
মুস্তাফিজুর রহমান। বাঁহাতি পেসারের কাটার-ইয়র্কার আর নিখুঁত ডেলিভারিতে
খাবি খেয়েছিলেন কিউই ব্যাটসম্যানরা। মুস্তাফিজের ২২ রানে ৫ উইকেট এখনো
পর্যন্ত টুর্নামেন্টে সেরা বোলিং। যদিও দল মাত্র ৭০ রানে অলআউট হয়ে যাওয়ায়
দুর্দান্ত বোলিংয়ের আনন্দ তাঁর মুখে শেষ পর্যন্ত আর থাকেনি। তবে আইসিসির
সেরা ১০ পারফরম্যান্সে থাকাটা নিশ্চয় মুস্তাফিজকে তৃপ্তি দেবে।
সেরা ১০
পারফরম্যান্সের তালিকায় আছে ইংল্যান্ডের সঙ্গে ক্রিস গেইলের দুর্দান্ত
সেঞ্চুরি, অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে বিরাট কোহলির অপরাজিত ৮২ রান, দক্ষিণ
আফ্রিকার সঙ্গে ইংলিশ ব্যাটসম্যান জো রুটের ৮৩, প্রোটিয়াদের বিপক্ষে
আফগান ওপেনার মোহাম্মদ শেহজাদের ৪৪, ইংল্যান্ডের বিপক্ষে লঙ্কান অধিনায়ক
অ্যাঞ্জেলো ম্যাথুসের লড়াকু ৭৩, বাংলাদেশের সঙ্গে শহীদ আফ্রিদির ৪৯ রান।
সেরা
দশে ব্যাটসম্যানদের আধিপত্য। মাত্র তিনজন বোলার আছেন এই তালিকায়।
বৃষ্টি-বিঘ্নিত ম্যাচে আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে ডাচ পেসার পল ফন মিকেরেন ১১
রানে ৪ উইকেট, ভারতের বিপক্ষে ১১ রানে ৪ উইকেট পাওয়া কিউই স্পিনার মিচেল
স্যান্টনার এবং নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে অসাধারণ বোলিংয়ে মুস্তাফিজ জায়গা
করে নিয়েছেন সেরা দশে।
No comments:
Post a Comment