Tuesday, April 12, 2016

বিপিএলের কারণে চাকরি হারিয়েছিলেন অরুণ লাল!

বিপিএলের কারণেই বিসিসিআইয়ের আশীর্বাদ হারিয়েছেন অরুণ লাল। ছবি: ফাইল ছবিআইপিএলের ম্যাচগুলো দেখতে বসে হার্শা ভোগলের কণ্ঠ শুনতে না পেরে অনেকেই হয়তো হতাশ। তবে কোনো ধারাভাষ্যকার ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডের রোষানলে এই প্রথম পড়ল না। ২০১২ সালে বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের (বিপিএল) প্রথম সংস্করণে ধারাভাষ্য দেওয়ার ‘অপরাধে’ বিসিসিআই আয়োজিত কিংবা ভারত-সংশ্লিষ্ট ক্রিকেট ম্যাচ ও সিরিজে ধারাভাষ্য দেওয়ার অধিকার হারিয়েছেন অরুণ লালের মতো জনপ্রিয় ভাষ্যকারও।
আইপিএল পুরো উপমহাদেশে জাঁকিয়ে বাজার ধরতে চায়। এ কারণে অন্যান্য টি-টোয়েন্টি টুর্নামেন্টকে তারা দেখে প্রতিদ্বন্দ্বী হিসেবেই। বিপিএলে ধারাভাষ্য দেওয়াটা তাই আইপিএলের কর্তাব্যক্তিরা ভালোভাবে নেয়নি। বিসিসিআইয়ের চোখে ‘অপরাধ’ হিসেবেই ধরে নিয়েছিল। 
বিসিসিআইয়ের রোষানলে পড়েছিলেন সঞ্জয় মাঞ্জরেকারও। ২০১৩ সালে তাঁর কোনো লেখা বা আলোচনায় ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডের বিরুদ্ধে কিছু কথা খরচের শাস্তি পেয়েছিলেন আইপিএলের ধারাভাষ্য কক্ষ থেকে বিতাড়িত হয়ে। 
নিউজিল্যান্ডের সাবেক পেসার ড্যানি মরিসন ২০১৩ সালে বিরাট কোহলিকে ভারতীয় ক্রিকেট দলের ‘অপেক্ষমাণ অধিনায়ক’ বলার শাস্তি পেয়েছিলেন আইপিএল থেকে বিতাড়িত হয়ে। প্রোটিয়া ভাষ্যকার এডি অ্যাকারম্যানের অপরাধ ছিল তিনি সহ-ভাষ্যকার হিসেবে মরিসনের কথায় ‘সায়’ দিয়েছিলেন। ওই সময়টা নিজের অধিনায়কত্ব নিয়ে ভারতে প্রচণ্ড সমালোচনার মুখে ছিলেন মহেন্দ্র সিং ধোনি। 
ইয়ান চ্যাপেলের মতো ক্রিকেট ব্যক্তিত্বও রেহাই পাননি ভারতীয় বোর্ডের হাত থেকে। ২০১৪ সালের শেষ দিকে ভারত-অস্ট্রেলিয়া টেস্ট সিরিজে ধারাভাষ্য দেওয়ার কথা ছিল ক্রিকেটের অন্যতম সেরা এই অধিনায়কের। কিন্তু সিরিজের সম্প্রচারকারী সংস্থার কাছ থেকে তিনি যে খসড়া চুক্তিপত্র পেয়েছিলেন, তাতে ভারতীয় ক্রিকেট দলের সমালোচনা না করা, ডিআরএস নিয়ে কোনো কথা না বলার শর্ত ছিল। চ্যাপেল সেই শর্ত না মানায় তাঁর আর সেই সিরিজে ধারাভাষ্য দেওয়া হয়নি। 
এই ঘটনার জের ধরে নিজ দেশে অনুষ্ঠিত ২০১৫ বিশ্বকাপেও ধারাভাষ্য দেওয়া হয়নি তাঁর। এখানে বলে রাখা ভালো, ভারত-অস্ট্রেলিয়া সিরিজ ও বিশ্বকাপের সম্প্রচারকারী সংস্থা স্টার স্পোর্টস ভারতীয় ক্রিকেট দলের স্পনসর। 
ধারাভাষ্যকারদের ওপর খড়্গ নেমে আসার সর্বশেষ উদাহরণ ভোগলে। অনেকে সহমর্মিতা জানাচ্ছেন। অনেকে বলছেন, ঠিক সময়ে ভোগলেরা এক জোট হয়ে নানা অনিয়মের ব্যাপারে সোচ্চার হননি, স্পট ফিক্সিং নিয়ে টুঁ শব্দটি পর্যন্ত করেননি। সূত্র: এনডিটিভি।

No comments:

Post a Comment