Sunday, April 10, 2016

সোসিয়েদাদের মাঠে সেই বার্সেলোনা

সোসিয়েদাদের মাঠে সেই বার্সেলোনাপেপ গার্দিওলা, তিতো ভিলানোভা, জেরার্দো মার্তিনো—স্যান সেবাস্তিয়ান থেকে ব্যর্থ হয়ে ফিরেছেন সবাই। এমনকি গত মৌসুমে বার্সেলোনাকে ত্রিমুকুট জেতানোর পথেও অ্যানোয়েতা ‘ভূত’ তাড়াতে পারেননি লুইস এনরিকে। দ্বিতীয়বারের মিশনেও ব্যর্থ তিনি। রিয়াল সোসিয়েদাদের মাঠ থেকে ০-১ গোলে হেরে ফিরে হতাশার আরেকটি অধ্যায় খুলেছে বার্সেলোনা। তাতে জমে উঠেছে লা লিগার শিরোপা দৌড়। কাতালানরা হারলেও অ্যাতলেতিকো মাদ্রিদ আগের ম্যাচে এস্পানিওলের মাঠ থেকে ৩-১ গোলে জিতে ফিরে পয়েন্ট ব্যবধান নামিয়ে এনেছিল ৩-এ। রিয়াল মাদ্রিদও ঘরের মাঠে এইবারকে ৪-০ গোলে উড়িয়ে দিয়ে ১ পয়েন্টের ব্যবধান ধরে রেখেছে নগর প্রতিপক্ষদের সঙ্গে। এ নিয়ে টানা ছয় মৌসুম সোসিয়েদাদের মাঠ থেকে না জিতে ফিরল বার্সেলোনা। সব শেষ চার মৌসুমে তো হেরেই ফিরেছে স্যান সেবাস্তিয়ান থেকে। গত মৌসুমে এনরিকের দল হেরেছিল ০-১ গোলে। ঠিক একই ব্যবধানে হেরে ফিরতে হয়েছে এবারও। অ্যানোয়েতা স্টেডিয়ামের ওই ম্যাচে মেসি ও নেইমারকে বেঞ্চে বসিয়ে রেখে হারের পর কঠিন সমালোচনার মুখে পড়েছিলেন এনরিকে। হারের কারণ হিসেবে ‘অজুহাত’ দাঁড় করার ব্যাপার ছিল বার্সা সমর্থকদের কাছে। কিন্তু এবার? লুই সুয়ারেস নিষেধাজ্ঞার কারণে না থাকলেও শুরু থেকে ছিলেন মেসি-নেইমার। তবু সোসিয়েদাদের রক্ষণ ভেঙে বল জালে জড়াতে পারেনি ইউরোপ চ্যাম্পিয়নরা। ম্যাচের পঞ্চম মিনিটে মিকেল ওয়েরজাবাদের লক্ষ্যভেদের পর গোল শোধের জন্য ৮৫ মিনিট সময় পেয়েও কিছুই করতে পারেনি বার্সেলোনা। যে বার্সেলোনা হারতে ভুলে গিয়েছিল, ৩৯ ম্যাচ অপরাজিত থাকা সেই দলটি কিনা লিগে টানা দুই ম্যাচ হেরে বসল! রিয়ালের বিপক্ষে এল ক্লাসিকোর পর সোসিয়েদাদ ম্যাচ, সঙ্গে ভিয়ারিয়ালের ম্যাচটা যোগ করলে স্প্যানিশ চ্যাম্পিয়নরা জয়ের মুখ দেখেনি টানা তিন ম্যাচে। সেই ২০০৬-০৭ মৌসুমে ফ্রাঙ্ক রাইকার্ডের যুগে শেষবার সোসিয়েদাদের মাঠ থেকে জিতে ফিরেছিল বার্সেলোনা। স্যান সেবাস্তিয়ানের ম্যাচের আগে তাই কোচ এনরিকে শিষ্যদের সতর্ক করে বলেছিলেন, ‘এই ম্যাচে আমাদের মোটেও গা ছেড়ে দেওয়া চলবে না।’ শিষ্যদের কথা বাদ দিন, ম্যাচের শুরুতে নিজেই তো গা এলিয়ে দিলেন! যে অ্যানোয়েতা ‘ভূত’ চেপে ধরেছিল বার্সা, সেখানে কিনা বেঞ্চে বসিয়ে রাখলেন আন্দ্রেস ইনিয়েস্তা, ইভান রাকিটিচ, জোর্দি আলবাদের। পরে নামালেও কাজে আসেনি। সোসিয়েদাদের জয়ের পথে অবশ্য সবচেয়ে বেশি প্রশংসা কুড়াবেন গোলরক্ষক জেরোনিমো রুলি। ২৩ বছর বছর বয়সী এই আর্জেন্টাইনের অসাধারণ সব সেভে গোলবঞ্চিত হয়েছেন মেসি-ইনিয়েস্তা-নেইমাররা। ছোট বক্সের সামনে থেকে মেসির শট ঠেকিয়েছেন এক হাতে, ইনিয়েস্তার দূরপাল্লার শটও দারুণ দক্ষতায় রুখে দিয়েছেন রুলি। এই হারে বার্সেলোনার পয়েন্ট থাকল আগের মতোই—৭৬। তাদের চেয়ে মাত্র ৩ পয়েন্ট দূরে এখন দ্বিতীয় স্থানে থাকা অ্যাতলেতিকো। ৭২ পয়েন্ট নিয়ে কাছাকাছি রিয়ালও। ৬ রাউন্ড বাকি থাকতে তাই লা লিগা জমে উঠেছে নতুন করে। কঠিন চ্যালেঞ্জের মুখেই নিজেদের বিশ্বসেরা দল হিসেবে প্রমাণ করতে চান এনরিকে, ‘আমরা কখনোই বলব না লিগ শেষ। নিজেদের সেরা দল হিসেবে প্রমাণ করার জন্য এটা আমাদের জন্য দারুণ এক সুযোগ। আর এ জন্যই আমাদের বুকের ওপর আঁকা আছে চ্যাম্পিয়ন চিহ্ন।’ অধিনায়ক ইনিয়েস্তা বললেন, ‘প্রথমার্ধে আমরা সুযোগ তৈরি করতে পারিনি। তবে দ্বিতীয়ার্ধে ভালো খেলেছি, তবে সুযোগগুলো কাজে লাগাতে পারিনি।info,kalerkantho.com

No comments:

Post a Comment